মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী, ২০২০

শুভদীপ চক্রবর্তী


শুভদীপ চক্রবর্তী

২৬/১১

শান্ত থেকে আমরা করছি শোক,
বিবেকের কাছে শুদ্ধ হবো বলে,
ক্ষত দিয়ে গেলো ওপারের কিছু লোক–
আগুন এখনো ভারতের বুকে জ্বলে।

গদ্যে পদ্যে থাকবো তুমি আমি,
কখনো হাঁটব মোম নিয়ে ঘন রাতে,
বারুদ কেনো জীবনের চেয়ে দামী-
'মুম্বই' আজও ঘুমায়না একসাথে।

রক্তের রোষ ভুলব নিজের মতো,
তারিখের চাপে আজ দাঁড়াচ্ছি রুখে,
বিষাদ ঝরছে এখনো অবিরত –
'২৬' কাঁদে এ কোন্ মিথ্যে সুখে?

মা মা করে দেহ এলো তিরঙ্গায়,
বিদায়ের গান যাদের জন্য বাজে,
তাদের জীবন সময় অসময়ে যায়-
মানুষ কাঁদে অজানা কোনো লাজে।

এ কোন দিন, আঁধারের চেয়ে ঘন,
বলিদান আজ, তবে কি হবে ক্লিশে?
মনখারাপি, কাঁদছে জনগণমন...
রক্ত এখনো জমে আছে ছাব্বিশে।







আগুন

তোমার সমস্ত শরীর পুড়ে গেছে
দাহ্য সম্পদের মতো।
একতালু ছাইয়ের মাঝে জেগে আছে
শুধু তোমার নাভি, যা পুড়েও পোড়ে না।
তোমার নাভি শুধু নাভি নয় -
একটা নীরব প্রতিবাদ,
রয়ে যাবে জীবনভর।
তোমার সাথে পুড়ে গেছে দাহ্য মানবতা, বিবেক আর বিশ্বাস।

শুধু প্রতিবাদটাকে পুড়তে দিও না।







উদযাপন

ক্লান্ত চরণে হেমন্ত গড়িয়ে চলেছে অন্তিম পর্যায়ের দিকে। আর এই শূন্যতা থেকেই পরবর্তী অধ্যায়ের সূচনা হবে।

কঙ্কালসার শুষ্করুক্ষ শূন্যতার গর্ভগৃহ থেকেই জন্ম নেবে পূর্ণতার অনুচ্ছেদ। জন্মদাত্রী শূন্যতার অস্তিত্বকে অস্বীকার করলে পূর্ণতাকে আস্বাদন করা যাবেনা।

জীবনের প্রতিটি উচ্ছ্বাসের গহীনে লুকিয়ে থাকে বুড়ো হয়ে যাওয়া অন্ধকার। সেই অন্ধকারকে দু'হাতে আলিঙ্গন করতে পারলেই, সার্থক হবে আনন্দ-উদযাপন।