মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী, ২০২০

দেবযানী বসু


দেবযানী বসু

নখ বেড়ে গেলে

সকাল সন্ধ্যা শুভ মোরগ ডাকে। হাসপাতাল সিরিজের গুরুশিষ্য পরম্পরা ভেদ করে মোরগ ডাকে। এম্বুলেন্স অভিযোগ জানায় মোরগ দেবতার কাছে। একদিন মোরগের ডাক ডাকার অধিকার সে পাবে। মানুষের মাংসের স্টু্ স্বর্গে খুব মুখরোচক। ক্রমশ আধ্যাত্মিক হয়ে গেছে মানুষের মাংস। ওম ভুটিয়ার পিঠে পিঠ লাগিয়ে ঘুমিয়েছি সন্ধ্যার জ্বলে ওঠা জানলার স্তব শুনে শুনে। এক চান্সে উপন্যাসের শেষ পুড়িয়ে দিয়েছে একসাথে বিপুল মানুষ।







উট্র কালিদাস

স্বাস্থ্যকর মুখোশগুলো একটু বেশি ঘুমোয়। হুইলচেয়ারে রাত ওঠে নামে। জাহাজের প্রান্তিক অংশটি ত্রিকালজ্ঞ। আর যুগোপযোগী। আধুনিকতার ধু ধু প্রান্তরে আমি উট্র কালিদাস। উটপাখি বলে নিজেকে দাবি করি নি কোনো দিন। এখানে একোয়াগার্ডের জল পড়ে আর নার্স পরীরা নড়েচড়ে। সমস্ত ঘাম অতিরিক্ত সময় বেছে নেয়। বিপুল স্তনের আপেল গাছ গুলো মনে রেখেছে কিনা আমাকে ভাবি। অচেনা কোমোড ভরে উঠছে শুধু কান্নায়। রক্তহীন কান্না আর কাঁদতে পারিনা।







মুভিমুভিং

ষোলোঘন্টা ওভারটাইমের উপর ঝুঁকে আছে পরীদের প্রেমিকের মুখ। কবির কৈফিয়ত আল্ট্রাসোনোগ্ৰাফির স্রোতে ভেসে যায়। লক্ষ হাঁড়িকাঠ পেরিয়ে আমার প্রেমিক ছুটে আসে। শান্ত ঝিনুকের খোলসে ঢাকা নিরামিষ সিরিঞ্জ। মাইসিন ফ্লক্সাসিনের রক্তক্ষয়ী জমিন। অক্ষর নতজানু করে রেখেছে আমাকে চীৎকৃত চিকিৎসালয়ে। বিলম্বিত লয়ে। পঞ্চমী পরীর হাতে স্বীকারোক্তিরেখা। ভালোবেসে স্বীকারোক্তি দিয়ে যাব। ছুটি পেলেই প্রেয়সের সঙ্গে মুভিমুভিমুভিং।