মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী, ২০২০

নির্মাল্য ঘোষ


নির্মাল্য ঘোষ

নির্বাসন

দ্বীপ নিয়ে বসে আছি একা নির্জনতায়
জংলীরা কথা বলে দুর্বোধ্য ভাষায়

মীনাক্ষীর লক্ষ্যভেদ এটাই যে বোঝে
অকারণে দিকে দিকে সুনামি খোঁজে

ধোঁয়া দিয়ে পুড়ে যায় ফুল পাখি পাতা
থাকলে থাকতে পারে কবিতার খাতা

যদি ফিরি কোনোদিন নির্বাসন হতে
বহুবচনেরা জয়ী কবিতার ক্ষেতে

আমার দ্বীপের নীচে লক্ষ বিস্ফোরক
খাঁটি দুধে স্বর পড়া লক্ষ যুবক

উথলানো দুধে যে উনুন নেভা শুরু
দ্বীপের অল্প আঁচ- সর পড়ে না পুরু






মেটামরফসিস

নিঃশ্বাস প্রশ্বাসের দৃশ্যমান হওয়া
দেখি
বর্তমান সর্বশক্তিমান...
টিকটিক ঘড়ির কাঁটার প্রাণ আগে
দেখিনি...
তাই বিস্ময় ডালপালা ছড়ায়...
বাঁচতে জানলে মরুভূমিও সবুজ লাগে...
মন্থন মনে হয় সহজ পাটীগণিত...
আর মৃত নগরীতে 'ন হন্যতে' র গান
শোনা যায় ...
কেউ শোনে  - কেউ শুনতে পায় না...
নিজের ডিমে তা দিতে হয়
ব্রহ্মত্বের জন্য...
পাঁজরে বেঁধে নিতে হয় মেঘ..
সংক্রমণের খাঁজে খাঁজে তখন অন্য
আকাশ...
অন্য বাতাস....
ক্ষরণের ইতিহাসে তখন মেটামরফসিস...






সেদিন

মনে রেখো, সমুদ্র বর্ষায় স্ফীত হয় না
কিম্বা গ্রীষ্মে শুকিয়ে যায় না
যেদিন ইশ্বর উগরে দেব একটু একটু করে...
লিপি কিম্বা অক্ষর কোনটারই প্রয়োজন
হবে না...
শুধু অনন্ত চেতনা...
উপন্যাসে শুধু একটি মাত্র পর্ব থাকবে...
আর অনন্তের ওষ্ঠে চুম্বনের মেলা...
বৈজ্ঞানিক মস্তিষ্কে কাঁটা তারের বেড়া
দেখবে  অনন্ত আধ্যাত্মর ঘুরে বেড়ান...
পালকের মত...
সেদিন বাতাসের গায়ে কিছু কথা
লিখে দিও...
আমার জন্য...