মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী, ২০২০

রীনা তালুকদার


রীনা তালুকদার

কিশোর কবি

কিশোর কবি তোমার হাতে
দিলাম আমার সৃজনের চাবি
সযত্মে আগলে রেখো তারে
হৃদয় উজাড় চিত্তহারী দাবী।







তোমার মন খারাপ-১

তোমার মন খারাপ হলে
ঢাকা শহর থমকে যায়
ঝিম খায় শাহবাগ মোড়
দাঁড় কাকেরা সারিবেঁধে বসে থাকে
ডাস্টবিনের দেয়ালের কার্ণিশে
মৌনতায় মাথা নিচু করে থাকে
নগর ভবনের কোলাহল চুপসে যায়
শোক কাতর হয়
শহীদ মিনারের সুউঁচ্চ বৃক্ষরাজি

তোমার মন খারাপে বাসস্টপ খালি
একটিও বাস চলবে না
কাঁচাবাজারের ফল গুলো
পাংশুটে মুখে বিশ্রী  তাকিয়ে রয়
রূপালী ইলিশের চাহিদা কমে যায়
রুচিহীন লাগে ফাস্টফুডের খাবার
কবিতার আড্ডা মুখরিত হয় না
চাঁদের হাটে দিশাহীন বেচাকেনা বন্ধ
পথস্বামীরা অস্থিরতায় উসখুঁস
পথবধূরা বিষন্নতায় কাটায় প্রহর
বর্ষায় খরা জাগে উড়ানি মনোচরে
কেবল তুমি একজনই পারো
এসব স্বাভাবিক রাখতে সম সাময়িক।






তোমার মন খারাপ -২

যখন বলো মন খারাপ
তখন তোমার দীর্ঘশ্বাস
ছুঁয়ে যায় আমার বন্ধ দুয়ার
জানান ছাড়াই বড় বিষন্ন হই
পর্বত ঝলসে ওঠে
কোনো অজানা আশংকায়
বিধবা বসনে মুখ ঢাকে সুখ

তোমার নিঃশ্বাসের ঘুর্ণি ঝড়ে
তছনছ মৌ মধুবন
টগবগে কুমারী স্রোতে ভাসে
অদেখা ঐতিহ্যের নগর

কষ্টের দেজল নদীর হামলে পড়া ঢেউ
তোলপাড় করে বেলা অবেলা
তুষার পথে কখন যে এসে দাঁড়ায়
সমর্পণের সঙ্গোপণ সুখপাখি।






গোলাপ

কিছু কিছু গোলাপ যায় না ছোঁয়া
পাঁপড়ি খোয়াবার ভয়ে
স্বপ্নদ্বীপের ঘুম ভেঙ্গে
লাজ ভাঙ্গে যদি
এ কথা ভ্রমরেরও জানা

তীব্র ঝাঁঝালো সুগন্ধে কেবল
মোহিনী মাতাল হওয়া যায়
চুমে যাওয়া স্বপ্নের স্বর্গবাসে
স্বর্গীয় জলে হাবুডুবু খেয়ে
ক্লান্ত মদির চোখ দূর থেকে
ভালোবাসে ; দেখার অদম্য নেশায়
ভুলে যায় সবকিছু আরো কোনো
গোলাপকে দেখেছিলো কি-না সে আগে।






দূরত্ব

বলো...
আর কতো দূরে গেলে
তোমার আমার মধ্যে
ঠুনকো বিবাদ থাকবে না
থাকবে কাছে থাকার ধৈর্য

যেতে যদি হয় একদম ;
তবে তাই হোক ; চলো...
যাই অসীমের পথে চলে
যেই পথে সব স্মৃতি যাবো ভুলে।