মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী, ২০২০

চিরঞ্জীব হালদার


চিরঞ্জীব হালদার

বর্ণমালা

হসন্ত আর ফুটকি গুলো বেহিসাবী ঢুকে পড়েছে
লাজুক নিশিজানালার ফাঁক গলে।
আত্মহত্যাকামী বিড়ির ধোঁয়াকে জিজ্ঞেস করি
শেষ কোন ইচ্ছা পুরনের আহ্লাদ জেগেছে কিনা।
কোন খদ্দের না পাওয়া চল্লিশোর্ধ যুবতীর
 নীল উল্লাস ও ঢুকে পড়েছে এই অবসরে সাদা পাতায়।
ঠিক যেমন আর্দ্র মাটিতে ভেসে থাকা
 কুমারী শরত শিউলি।
তাকে কি বন্ধনীর মধ্যে রাখা মানান সই হবে।
আজ সব অবৈতনিক প্রেম কথনের জন্ম রাত।
আমাকে জলাতঙ্কের ভয় দেখাচ্ছে এক অহিংস কুকুর।

এক একটি ঝড় আসে আর তছনছ করার পর
যে হাসি অবশিষ্ট থাকে ব্যঞ্জনবর্ণের কোন অক্ষরে
তাকে পোষ মানাবো।
হে আমার মরনশীল মাতৃভাষী পাঠক
একদিনও না পরা পোষাক আর
লক্ষীর ভান্ডারে জমানো অন্ধকার দিয়ে
কোন ঋণ কী শোধ হবেনা।








অন্ধদ্বীপে বসে লেখা

একপাটি চশমা সিদুরে ঢাকা তা কি আহম্মকের বেশভূষা।
আজ ভুল বাসে উঠে দেখি নপুংসকের সিট আমাকে ডেকেছে।

আধাক্যালানে এক কবির গুপ্ত পকেটে কি কি থাকতে পারে।
বিশ্বাস করুন নগরপাল হাওয়া দিয়ে গড়া
এই অর্ন্তবাসের কোন পকেট নেই।
আমাদের দুপুর গুলো হাই টিআরপি থাপ্পা পাওয়া
ক্রাইম সিরিযালে দাসখৎ দেওয়া নাব্যতা।
সিন্থেটিক সিদুর ঢাকা চশমার একটা কাচ অন্যটায়
কি হতে পারে ভাবুন।
হতে পারে গীতা আমার বান্ধবী।
হতে পারে কোন এক কুষ্ঠ রোগী আমার হৃদয়
 বান্ধব।

হতে পারে আর্ট অফ ক্যারেক্টার এর মধ্যবর্তী দ্বীপে
আমরা সজনে শাকের সাথে যুদ্ধ করছি অনন্তকাল
আমাদের গলিত শবই আমাদের স্বপ্নের আয়ুধ।
বানীদি আপনি কি ঘুমিয়ে পড়লেন।
প্রকৃতি আর প্রণয়কথনের মধ্য যে তির-তিরে নদী বহমান
তার একটি যুথসই নাম দেবেন না!








পারফিউম

অলীক নারীর কাছে প্রেম নয়
মুকুট চাইতে গিয়ে ধরা পড়ে গেছো
তুমি তার আপ্ত সহায়ক।

সেই সব যন্ত্র সংবাদ বায়োস্কোপে ভরে
অজানুলম্বিত সময়ের পাদদেশে হারাতে চাইলেই
কুন্দ ফুল জেগে ওঠে ভোরের অঘ্রানে।

রাজপথ জেনে যায় শাড়ির কুচির ভাঁজে
জন্ম নেয় প্রকৃত প্রজাপতি।
নিমেষে বাবুইয়ের বাঁসা দুলে ওঠে মৃদুমন্দ বাতাসে।

সাড়ে সাতি কেটে গেলে দেখো
কাগজের নৌকা বিলোয় ফরাসী পারফিউম।







মনোবিকলনী কবিতা


মনোবিকলনী না বান্ধবী
তার নেই এক ছিল কবি
হয়তো ছিলো হয়তো ছিলো না
আহা সব মিথ্যা মিল ও না
কে লিখেছে সুলিখিত পত্র
ভাবো যাহা তাহা অহোরাত্র
এক যে ছিলো প্রেমিক প্রকৃতি
মধুসুদনের মত মাঝে সিঁথি
ধরো তার নাম ই কুয়াসা
আসলে সে কাশ্মীরি চাষা
ছাষার পকেটে পাঁচ কড়ি
গুমড়ায় দুচারটে রগড়ি
কে লিখেছে তাহাকেই প্রেম
সাক্ষাত ছাড়াই দেখিলেম
মধুসূদনের সাগর দাড়ি
রজকিনী যদি হন রাঁঢ়ি
আমরাই বলো কম কিসে
মরো মনোবিকলনী বিষে


দেবদাসী কোন সুতনুকা
দিনে পাঁচ বানায় সে উকা
দিনে পাঁচ বাড়ির বাসন
তাহারও আছিল এক মন
মাজিতে মাজিতে ভাবে কেহ
যৌন যন্ত্র ছাড়া দেহ
শুষে নেয় নগর কোটাল
কথ্য ভাষায় তিনি মাল
দামাদামি পরশ পাথর
মনোবিকলনী মন তোর
পদ্ম পাতায় ঢাকো তাকে
মাছ ঢাকো সাবলিল শাকে
ঢাকলেই সব ঢাকা যায়
তিনি হৃদি তিনি শ্যামোরায়