ইন্দ্রজিৎ দত্ত
রঁদেভূ
-------
ছায়ারা বিবশ হয়। ঋতুজন্মকাল
লক্ষ অযুত প্রতিধ্বনী নেমে
আসে
জাহাজের নোঙরে ভোঁ
তুমি কি তেমনই
সান্তাক্লজ,
বিষবালিকে
থোড়া সা সজদা করো, এ জীবন
এ আলমারীর জীবন
পটভূমিকা দেখে মিউচুয়াল ফান্ড
কেনা, বেচা, চার নম্বর
লায়ন্স রেঞ্জ
এখনও জেগে আছো যাদুকরী? শুনেছো
এবারো হেদুয়ায়
শীতের পশরা চেয়েচিন্তে
বিকেলের চাওমিন
যতটা ফুরিয়ে যাওয়ার পরিচর্যা
ততটাই কাউন্টডাউন
গরম হচ্ছে
======================
ইন্দ্রজিৎ দত্ত
উল্টোটাও তো হতে
পারতো
-------------------------
তুমি আমি একঘরেই তো থাকতাম
নিষিদ্ধ.. যা কিছু
সত্যাভিলাষ
কিছুটা অবরুদ্ধ গমক্ষেত। রমন
তোমার সনে প্রাণের খেলা
যেভাবে বাঁক নেয় ভয়
ভোরের কর্নফ্লেকস
কুয়াশা কুয়াশা
সরাইঘাট প্যাসেঞ্জার
প্লাটফর্মে কেউ নেই
আক্রান্ত
পা আর কার্পেট
একে অপরের উদ্যোগী যতটা
দূর্ঘটনা
ফিরছে
মকররাশির অবস্থান
লুঠ কর লুঠ কর হে বেলেঘাটা
তুমি আমি যে একঘরে থাকতাম
এখানে তাজা পনির বিক্রি হয়
সকলের জন্য কাজ
খাদ্যাধিকার
লালবাড়ি, নীলবাড়ি
==========================
ইন্দ্রজিৎ দত্ত
নন-রিফান্ডেবল
---------------
মাঝপথে যেটুকু রাখাল
তুমি থামলে না
মরশুমি প্রেমে স্বস্তি খোঁজা
যে কোন চোখ, যে কোন
ডিভাইডার
গ্রামের নাম টমেটো পালং
বিপিএল কার্ড, এসো চা খাই
উগরে দিই বৎসরান্ত
উপস্থিত যারা ছিলো, সর্বস্ব
নদীরাস্তা বেয়ে হরিণের ছাল
বেনীমাধব জিতে গ্যালো
শিস শুনে বোঝো না কি উন্মত্ত
যুবক
শীৎকার ফেরৎ নেই
লক্ষ্মীকান্তপুরে
ধরে নাও
বিয়েবাড়ীটুকুই ভরোসা আর
তুমি সেখানে
জাস্ট ইনভাইটি, সূচের মত
কলোনিয়াল
======================
ইন্দ্রজিৎ দত্ত
কনফেশন
-----------
রাধুনী নিয়ে বলছি না
জিরা মরিচ থাকুক শাহী গরমমশলা
যথা শুভেচ্ছা। আহা, তুমি পানীয়
ঢকঢক খেয়ে নেওয়া উপাচার
সমুদ্র মন্থনের বিরল প্রতিভাস, বিষবৃক্ষ
তোমার স্তনের দিকে চেয়ে থাকি
কোমল, সুঠাম
একে অপরের ফিতে। অংকে কম
পৌষমাস এতো থ্রিল এতো আপনজনের
পর
পরীক্ষা গো এ যে মাধ্যমিক
আমাকে পিডিএফ দাও, ফিউশন
তিনটে সাতচল্লিশের শুনানী
নিচ্ছি আমি
তারপর বিকেল। পেরিয়ে গেলাম
এই যে
জানেমনের দিক
প্রতিটি মাংসের টূকরোয়
জড়িয়ে যে
পাঁচমাথার জানুয়ারি। তুমি তো
জানোই
এবার অন্ততঃ ছাড়িয়ে নাও যা
কিছু বন্ধক
এয়োদের সুখ...
শাস্তি দাও
শাস্তি দাও, হে সর্বনাম, সেইটুকু
==========================
ইন্দ্রজিৎ দত্ত
রঞ্জাবতী
---------
খোলা রাস্তা জুড়ে ঘোড়া ছুটছে
আমাদের কোনো মশাল নেই
আমাদের কোনো মোমবাতি নেই
অন্ধকারেই মিছিল
আলোর দপদপ
পিছিয়ে দিচ্ছে আলো
সম্প্রতি ঘরে শুয়ে আছি
পংক্তি পড়া হলে তুমি শাড়ি
খুলে নাও
আমি বিধ্বস্ত কাম
দম্পতি ফিরে এলে
নতুন উৎসবে তোমার ইনোভেশন
তোমার পুরুষার্থ
মাঝে মাঝে নদীতে হাইওয়ে আসে
তুমি কি বিবাহিত? ঋতবান?
প্রবেশ করো তবে
নতুন শোওয়া
নতুন খুন নিশ্চিত করো, আরপার
টিকে যাও