অনিন্দ
ঘোষ
প্রেম ও মশাল
লাখো উদ্বাস্তু পণ্ডিত
দিল্লীর ক্যাম্পে ক্যাম্পে তাণ্ডবী -
তা সে আধ শতকীর বারোমাস্যা , জীবনের চেয়ে বেশী ভালো কেউ বাস্তে পারে ? মানুষীর প্রতি প্রেম কমরেডের কাছেও বেশি অর্থবহ তার
কম্যুন ও আদর্শ নিষ্ঠার থেকে , তার বিপ্লবের মজবের থেকে , কারণ সেও তো মানুষ - প্রতি মানুষী তার মরদের
প্রেমে দাস্তানের চেয়েও উন্মাদিনী - জংলী কমরেডের জীবনে
না প্রেমিক না প্রেমিকা না ঘর না আশ্রয় না মা না বাপ ... জংলী জীবনে হারাবার কিছু নেই , না ছিল না থকবে কখনো । কেবল অ্যাক অনিমিখ ইন্তেকাম আগুন অনির্বাণ - মিছিলেরা মশাল হাতে সীমা
পেরোয় প্রতিশোধ নিতে .,
অনিন্দ ঘোষ
কবিকে সন্ন্যাস দিও না
কবি কি সন্ন্যেসী হবে ? সহজতম জীবনে উচ্চতর
চিন্তার চাট মশ্লায় ? জলফড়িং লাফাচ্ছে আকাশে । অর্ধেক জলনারী যেন , অথবা কবিরই ডানামোড়া আকাশ - সবুজ শস্যক্ষেতে কবির জন্যেই ডানা ডানা পদ্মফড়িং -
কিম্বা অ্যাকটা পলুজীবন কেটে
অবাক মথজীবন - কবি কি প্রজপতি হবে ? শুককীটের খোলস কেটে ইতিউতি
জীবন কাটাবে ? সহজতম জীবনের বোধে হবে প্রজ্ঞাপারমিতা ?
কবিতা তো মৈত্রেয়ী নয় । অথবা
যাজ্ঞবল্ক্য । অথবা কোনো বুদ্ধশরণ । বড় জোর কবিতা আচার্য রজনীশ । সঙ্ঘের অধীনে ঘোর
সন্ন্যাসী । জন্মগত অধিকার সহজাত মাৎসর্য । ব্রহ্মচর্যে কখনই নয় ।
তোমরা কবিকে সন্ন্যাসী কোরো
না । পলু কেটে উড়িয়ে দাও প্রজাপতির রেশম । মোহনানন্দের রাজবেশে ধেকে রাখো দরবেশের
বৈরাগ্যসাধনা । কবি তো সাধিকা বৈরাগী নন । জন অরণ্যের সমস্ত রূপদর্শী কবির আলেখ্য
। বৈরাগীর ধুনি ময় ।
অনিন্দ
ঘোষ
হায় হায়দার । যেও না হারিয়ে
প্রতিদিন গায়েব হচ্ছে মানুষ
। দুই চোখে মূর্ছিত , শেকল থেকে দড়ি , দড়ি থেকে বাঁধনছাড়া হাত
খোঁজা মানুষ – ছিলাম আছি থাকবোর শিয়াসুন্নী পাণ্ডিত্যে বিধৌত
অলঙ্কার- ঝঙ্কৃত বিশ্বাসঘাত আধাবিধবার সুর্মায় ঢালে নব্যতর মেহেন্দি আরক –
লাখো czuzspa সহজতম ধারায়
রাজদ্রোহ sedition হতে পারে ভাইয়ের থেকে রাজরক্ত আছে ভাইয়ে গমন করে নারী –
হোয়ে ওঠে দ্রৌপদী তারা মন্দোদরী । AFSPA ঠেকে সহজতর POTA –
দেশের থেকে আপনতর বিদেশ – চেনার চিনারের থেকে বরফজলের
নীচে
স্রোতস্বিনী শ্বাস ন্যায় যেভাবে –
শেকলছেড়া হাত শেকলবাঁধা হাত পা ভাসিয়ে দ্যায় চেনাব থেকে
ঝিলাম ।
গুলমোহর থেকে মাচিস জ্বলে
ঝুলনঝালরে – নগ্নতার উৎসবে কাঁপে গুমশুদা ক্যাম্প ।
অনিন্দ
ঘোষ
তাণ্ডব
শবের কটুগন্ধে ম ম বাতাস ।
মৃত্যু খুন রক্ত করোটির নগ্ননৃত্যের তালে তালে দমকা রাতে দুঃস্বপ্নরা শ্বাস ন্যায়
বিপন্ন মগজের গন্ধে ,
হাজার হাজার ধর্ষিতা মেয়ের
পাশে খ্যালা করে শকুনের দল । লাজবতী কুন্তীর নূপুর রিনিঝিনি –
বুভুক্ষু অশনি আর দুর্বলতম শিকারী কুত্তাদের উচ্চগ্রামে
কফিনরাও নাচে । মাধবপ্রেয়সীর ছন্দে । বিনিদ্র রাতের চোখে সন্ত্রস্ত বার্তা আনে আয়লা নটরাজ ।
অনিন্দ
ঘোষ
কথা বলা গাছ
বাচাল গাছদের কথাকলিতে পুরনো
যাত্রীরা খোঁজে অতীতের স্তন –
কৈশোর থেকে যৌবন । মেঘ ওড়ে ঢেউপানে । রামধনুর হাসিতে বাসা
ভাঙে বাবুই পরিযায়ীর চান্দ্রসারণী জুড়ে ।
সূর্যমুখী গোনে আলোকবর্ষ – কালো গোলাপ গোনে
কৃষ্ণগহ্বরের লটারী ও জুয়া । হাসিসের অমাবস্যায় কৃষ্ণগহ্বর জুড়ে শেফরেসিপি। সেখানে
ইঁদুর মানে শীতাতপ ঘর । সেমিনার । ওয়ার্কশপ । গোল্ডডিস্ক মহোৎসবে মহাসাগর ইঁদুরে
ইঁদুরে হ্যাম্লিনের বাঁশীওয়ালার মৃত্যুঘণ্টা – বাঁশফুলে মড়কী খরার কুত্তাবিলিমিছিল মূষিক প্রসবে
।
হরপ্পা ও পাম্পেই থেকে
দৈবমূর্তির চতুষ্পদী শিলান্যাস । কবিরা ডুবন্ত কোম্পানির ক্যাটওয়াকে বপন করে
যৌনশীতের বিমানপোত ।