জয়া চৌধুরী
আগুন আগুন জ্বালা
দারুণ
ক্রোধে জ্বলতে জ্বলতে ধূপ পুড়ে
ছাই হয়ে
যেতে থাকলে
ছাইয়ের ভেতর
পাক খেতে খেতে
মরীয়া হয়ে
খুঁজি প্রেম
দুহাতে
আঁজলা ভরা ক্রোধ
মেপে নিতে
নিতে
চোখ জল মাপে
হরঘড়ি
অতঃপর
অগ্নিজলে স্নান সারা হলে
শরীরে ছড়িয়ে
নিই তোমার ঘৃণা গুঁড়ো
আগুন তাপে
কালি উঠলে পরে
অঞ্জন করে
পড়ে নিই তুমিময় চোখে
আমাকে
পুড়িয়ে নেই করে দাও তুমি
সব কবিতারা
জ্বলুক দহন দানে।
জয়া চৌধুরী
বিজ্ঞাপন
আবার, আবার তুমি লিপস্টিক লাগাচ্ছো?
আরেঃ তাতে
তোমার আপত্তি না কি?
হ্যাঁ হ্যাঁ
হ্যাঁ
কারণ টা
জানতে পারি?
তোমাকে বড্ড
সুন্দরী লাগে যে
তোমার তো
সুন্দর পছন্দই!
তা ঠিক ...
কিন্তু
আবার কিন্তু
বললে কেন?
না তুমি
পরতে পাবে না ওসব।
কোনদিন তো
দেখি নি বাপু এতো গোঁড়ামি
কোনদিন দেখো
নি বলে কোনদিন দেখবেও না?
আরেঃ কি
আশ্চর্য তোমার হলো টা কি?
তোমার ওই
ফোলা ঠোঁট দেখলে আমার ভেতরে কি হয় তুমি জানো না?
ইস... জানি
তো, কিন্তু এখন বেরোবার সময় ওসব কেন?
ও জিনিষ
আমার , ওর স্বাদ অন্য কেউ পাবে কেন?
অসভ্য... কে
আবার স্বাদ নেবে তুমি ছাড়া?
তাই না কি
কই দেখি তো কেমন খেতে
এই এই এই...
কি হচ্ছে কি-
উমম তুমি
যেন ঠিক ইউনিভার্সিটির দিনগুলোয় ফিরে গেছো
ইসস তাই না
তাই
হ্যাঁ গো
তোমায়...আবার ফোন করে কে...হ্যালো
...তোমার
অফিসের ফোন?
হ্যাঁ
হ্যাঁ... হ্যালো হ্যাঁ আমি যাবো আজ রাতের ফ্লাইটেই এখনই বেরোচ্ছি তাহলে বাই।
তোমাকে
ট্যুরে যেতে হবে?
ইয়ে কিছু
মনে কোরো না সোনা... খুব জরুরী ডিল বসের হুকুম
বেশ। তাহলে
বিয়েবাড়ি ক্যানসেল।
হ্যাঁ সোনা।
আগে তো চাকরি তাই না?
সত্যি তুমি
কত যে খাটো
সবই তো
তোমার জন্য...ইস
কি হলো?
তোমাকে রেখে
যেতে হবে বলে এত কষ্ট হচ্ছে...
ভেবো না।
মাত্র তো কটা দিন... এই তোমার ফোন বাজছে
তাই তো
দেখছি। তাহলে আসি সোনা?
এসো , সাবধানে যেও
হ্যাঁ হ্যাঁ
হ্যালো হ্যালো... নীতা?
-
আমি বেরিয়ে
পড়েছি তুমি অপেক্ষা কোরো এয়ারপোর্টে
হ্যাঁ হ্যাঁ
স্যুইট বুক করা আছে চার দিনের ছুটি বাগিয়েছি... এখন শুধু তুমি আর আমিইইইই...
জয়া চৌধুরী
ছুঁয়ে থাকি তোকে
ছুঁয়ে থাকি
তোকে
দিনভর যখন
যেখানে যাস
চোখ ছাড়া
তোকে করি না কখনো।
সুখ ঝলমল
করে তোকে বাজালে সাজালে
আনন্দে তোকে
ছুঁয়ে থাকি ভেজা
একা রাত
জাগা তোর
বুক ফাটা
চুপে
চুপচাপই
তোকে টেনে নিই বুকে
গন্ধ বাতি
জেলে দিই মন্দিরে
তোর চোখহীন
চাহনিতে
তোর অভিমানী
চিবুকে
তোর বেভুল
নাচের পায়ে
আমি চুমু
খাই
একটা দুটো
অগণ্য
শুধু ছুঁয়ে
থাকি তোকে সোনা
শুধু বুকে
রাখি তোকে।
*************************
জয়া চৌধুরী
শুনতে পাচ্ছ... দিলদার?
কিছু একটা
চাই, বুঝলে?
কিছুর জন্য
মরে যেতে চাই।
ধরো একটা
নীল লাল শার্ট আর গ্রে কালার প্যান্ট একজোড়া
না হয় চিকেন
রেশমী বাটার মসালা
খুব বেশি
চাওয়া- জানো ভালো নয়...
এই দেখো না
আগে অশান্ত হয়েছি হিমালয়ে যাবার কথা ভেবে
চিঠি পত্তর
ও লিখতাম এক জমানায়
তারপর ফোন
ডিসকানেক্ট হয়ে যেতে
স্তোত্র
পাঠে জোর দিলাম। দিনভর শুধু একটা ফ্যালফ্যালানি
বুকের নিচে
বালিশ চেপে কটা সিগারেট ও পুড়িয়েছি
ক্যান্সার
হয়েছিল বাবার ফুসফুসে, ভেবে
জল খেয়ে
নিলুম এক জগ ঢকঢক
কই!
বাড়ি ফেরার
রাস্তাটাও কি চাইতে নেই...
দিলদার?
জয়া চৌধুরী
একটি অর্ধ সমাপ্ত ঘটনা...
সোমবার
বিকেল চারটেয় আইল্যান্ড পার্কে ও আসবে
এমন নয় যে
সেদিন প্রথম আসবে
আসলে প্রতি
সোমবারেই আমরা মিট করি
ঠিক চারটে
বাজবে পার্কের সামনে মূর্তিমান হাজির
আমি বেশ
লক্ষ্য করে দেখেছি
শুধু সোমবার
শুধু চারটে শুধু পার্কে
এখনও ও
ছাত্র, এর বেশি দেখা আমাদের সম্ভব না
ও বলে ওসব
আমার বাড়াবাড়ি...
ঠিক জানি কালকের কথা অরিন ভুলবেই
কাল তো
সোমবার নয়
কাল
ভ্যালেন্টাইন
সব্বাই কত
চকোলেট বাইকে করে রাইড মলে ঢুকে মজা
আমার ভাগ্যে
হোস্টেল ঘর বান্ধবীর হ্যা হ্যা ...দূর ছাই
আজ একবার
ওকে ফোন করব?
নাঃ থাক
বারবার ফোন করলে হ্যাংলা ভাববে
কিন্তু
একটিবার না দেখলে বুকের ভেতর কেমন যেন করে
করব ফোন? একবারটি? রাগ করবে? ফোনটা আমার কেটে দেবে? অরিন...অরিন...অরিন
-হ্যালো
অরিন আছে?...