কফিনভর্তি
কোলাহল
কচি রেজা
নোনতা নেমেছে দুপুরবেলার জোড়া পায়ে
একটি নিষিদ্ধ ওষ্ঠ ছুঁয়ে গেল
আসলে উত্তাপ
ধুলো আর চুনসুরকির স্তূপ জ্ব্ললো ভোর অবধি
কান্না ভাঙছিল
বেসবল খেলছিল
মায়ের কানপাশা কারা নিয়ে গেল
মৃত নিজেই বলল , ওইযে মাঠ
কোমরের ভাষা
কচি রেজা
গ্রীষ্মকাল ও তার পশ্চাৎবর্তীদের হাত
ধরে
নিয়ে যাচ্ছে অন্ধ প্রেমিক
শব্দরা ঝুঁকে ঢেকে রেখেছে কোমরের ভাষা
পাশাপাশি মোম , চুমুর ধ্বনি
দূর দিগন্ত থেকে ফিরবার পথে গা খুঁটছিল
দু"ফোঁটা মুছছিল
আকাশে মেঘের ছায়া রেখে
গুলির শব্দের কথা বলে
উড়ে গেল পাখি দু'টি
রাধার
শাড়িটি দাও
কচি রেজা
আজ রাধার শাড়িটি দাও , আমি পরবো , ওই বিষন্নতা আমাকে
মানায়
গতকাল বটপাতা প"ড়তে গিয়েও কিছু প্রবচন দেখি , এক অতিচেতনার
কপালে মৃত ঘোড়ার রক্ত । জ্যোতিবিশিষ্ট গানের ভিতর ঢুকে পড়েছে
অম্বুরী তামাক , স্থাবর গান তাই শোনাতে পারি না
। ঘোড়ার ভয়ে পাগল
মেয়েটা কোথায় যে পালালো ।
অসার্থক
জন্ম
কচি রেজা
পাশ ফিরে জন্মদিন দেখি , আমারতো প্রতিদিনই
অসার্থক জন্ম
তাই উদযাপন করিনা দুঃখি মুখ
সে গল্পও এত অবাঞ্ছিত যে মরিয়া হয়ে বেঁচে থাকাই চূড়ান্ত
তুমিকী ক্রুশবিদ্ধ কোনও কাঠের চিৎকার শোনো ?
শোনা যায় যুদ্ধের বাজনা
পৃথিবীর একপিঠে ক্ষুধা , উদবাস্তুর ভাঙা
বাক্স
নৈরাশ্য শেষে যেবেদনা তার গায়ে এত লাল পিঁপড়ে
কতদিন আশঙ্কায় কেঁপে চলে আসি সেরা
বালিহাঁস না ছুঁয়েই
অর্ধেক
ভালোবাসি
কচি রেজা
গতকাল তোমার ঠিকানায় যে অন্ধ পাখিগুলো আমি পোষ্ট করেছি
সেগুলো আমাদের সম্পর্কের সারমর্ম
পাখিগুলো অন্ধ কারন আমাদের সম্পর্কেরও কোনও চোখ নেই
নতুন পর্বের জন্য তৈরি হতে পারিনি এখনও
এইযে বেঁচে আছি একহাতে বিষন্নতা বাজিয়ে , সেতো তোমাকে
অর্ধেক ভালবাসি বলে
নিরাপদ দূরত্বে দাঁড়িয়ে তাই দেখি তোমাকেও
শেষ পর্যন্ত কোনও , গল্প নেই , ভাগশেষ , অবশিষ্ট নেই