ফুলকি
পৃথা রায় চৌধুরী
এরপর আগুনকুর্সি চিল্লিয়ে উঠে বলবে,
কোল তোর অপেক্ষাতেই ছিল, জমে যা
বালিশের ঢাকায় যত সুতোফুল, রাতচরা
গানে লিখে দেবে, কানে তুলো না নিঃশ্বাস।
কোল তোর অপেক্ষাতেই ছিল, জমে যা
বালিশের ঢাকায় যত সুতোফুল, রাতচরা
গানে লিখে দেবে, কানে তুলো না নিঃশ্বাস।
জেনেশুনে দুর্গ গড়া চলুক,
পরিখায় স্নান করে ওঠে
চলকে ওঠা মাদকতা;
রূপোলী শেকল, বিভ্রান্তিতে
বড় বেশি ঘেমেছে।
পরিখায় স্নান করে ওঠে
চলকে ওঠা মাদকতা;
রূপোলী শেকল, বিভ্রান্তিতে
বড় বেশি ঘেমেছে।
অনেক চাঁদের হাটে এক তারা নিরুদ্দেশে
একতারা লেখে নিরুদ্দিষ্টের প্রতি,
হে বসন্ত,
পোড়ানো কি বাধ্যতামূলক, চাঁদনি?
একতারা লেখে নিরুদ্দিষ্টের প্রতি,
হে বসন্ত,
পোড়ানো কি বাধ্যতামূলক, চাঁদনি?
বেচাল ধুন
পৃথা রায় চৌধুরী
এক বাক্স নদী এ-আঁচ ও-আঁচ ঘুরে
স্যালাইন চোষা কানাগলি, বেহুঁশ মিটমিট
ইশারা কুপোকাত আগামী,
একটা দুটো একচোখা তীর পাঁজরে লুকিয়ে থাক
সিঁড়ি বেয়ে খইপ্লাবন, চেপেচুপে
"বল হরি, হরিবোল" নোনতা দেওয়াল
খাঁজে আটকে টাইট্যানিক,
পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক মানুষ রক্তনাভি পাতাল শোক
রজনীগন্ধা শপিং মল থেকে সেন্ট কিনে বেরোয়
প্রেতকোষ কেড়ে গেছে আনকোরা ছাঁচ
বারান্দাময় তুলোফুল।
শূন্য দখল
পৃথা রায় চৌধুরী
গোল্লায় যাচ্ছি একটু একটু হেসে
ঘাসফড়িঙ রক পাড়া চিৎপাত
জিন্স পেখম পাঞ্জা লড়ে মরে
অল্প চালে দুলকি প্যাডেল ছাঁচ।
কাটিং কালোয় গ্লাস গভীর খাদ
টলটলে চাঁদ দুপুর মেখে চুপ
সেলুন চুলের কাঁচি কচি ছাঁট
টাকাপয়সা তির্যক ভুলচুক।
চা পেয়ালা বাইফোকালের "আহ!"
ঢেঁইকুচকুচ বারোয়ারি জল ঠং
সন্ধ্যে সাজা খিড়কি হুঁশিয়ার
ধরতে আড়ি চার হাত লাল রঙ।
পক্ষকালে পক্ষপাতী ঘুম
নুড়ি কুড়োয় হরিণ শহর ঝিম
দোষের দোষী আগডুম বাগডুম
বইছে নেশার সাহস ফিমেল তিল।
শোনা যায়
পৃথা রায় চৌধুরী
অতএব,
ফুলবানু ডাকে সাড়া দেওয়া যাবে না
ঠিক হতেই, লক্ষ ফণা ছুঁয়ে দিলো তার সমস্ত
ঝর্ণা দেওয়াল। তাকিয়ে থেকে বাগান গড়ো,
ও রাধেশ্যাম...
পূর্ণতা পেতে চাইলে, লোকে গো শ্যামের রাই
দেখলে বেচাল।
ঠিক হতেই, লক্ষ ফণা ছুঁয়ে দিলো তার সমস্ত
ঝর্ণা দেওয়াল। তাকিয়ে থেকে বাগান গড়ো,
ও রাধেশ্যাম...
পূর্ণতা পেতে চাইলে, লোকে গো শ্যামের রাই
দেখলে বেচাল।
অন্ধকার, তুমি পাশ ফেরো নিজের মতো;
চাই, না চাই বোঝার লুকোচুরি নিঃশ্বাস নেয়,
প্রহরান্তরের পাখালি সুর। খেলায় জিতে এসেছ
যত ছলনায় গো ললিতা, শাপ খণ্ডিয়ো,
দোষ নিও না ধর্মভোর।
চাই, না চাই বোঝার লুকোচুরি নিঃশ্বাস নেয়,
প্রহরান্তরের পাখালি সুর। খেলায় জিতে এসেছ
যত ছলনায় গো ললিতা, শাপ খণ্ডিয়ো,
দোষ নিও না ধর্মভোর।
প্রতি অজুহাতে বুলিয়ে চলো,
তোমাকে ভালোবাসি পালক
কি নামে ডাকলে এবার বলবে
... শুনছি, বলো!
তোমাকে ভালোবাসি পালক
কি নামে ডাকলে এবার বলবে
... শুনছি, বলো!
সেই জানা
পৃথা রায় চৌধুরী
বাগানের গাছগুলোও বুঝে গেছে, কর্তব্যের আরেক নাম প্রেম
এই যে হিংসে হিংসে করে তাকিয়ে ভেবে নেওয়া, আমার জিনিস
এরও নাম...
থাক,
তার নাম হোক, যন্ত্রণা; ঠিকানা, করোনারি আর্টারি।
বারান্দায় দাঁড়ানো মেয়েলি স্পর্ধায় স্পষ্ট ফুটে ওঠে জ্যোৎস্নার গ্লানি
কোনো এক বিশেষ আইন আয়না দেখিয়ে দেয়,
মোড়ের মাথার জটলায় জোর আলোচনার বিষয়, লিঙ্গভেদে সে দোষী।
দেওয়ালের সামনে একা পুরুষ হাহাকার করে ওঠে,
বৃষ্টির ধোঁয়া উপেক্ষা করে যে ছুট 'পরোয়া করি না'র,
নিঃসঙ্গ হাতছানির দিকে,
তাকে ডাকা যায় একঘেয়ে নামে
... ভালোবাসা।