সোমবার, ২১ মার্চ, ২০১৬

রত্নদীপা


অশ্লীলতার দায় কবির নয়
রত্নদীপা

ন্যাকা ন্যাকা প্রেমগুলি বড্ড বিরক্তি দ্যায় ... আরে ইয়ার ... শরীর ইজ দ জিং থিং । কনভেনশনাল কবিতা লিখে লিখে ক্লান্ত । ভালোবাসো আর ভালোবাসো বলে যতই আঁকাআকি করো না কেন , শেষ অবধি অই শরীরেই তো আটকে থাকবে , জানি ...

তার চেয়ে বরং কাশো জোরে । চটিসাহিত্যের পংক্তিগুলিকে ক্যাশ করো । কাউন্টার অব্ধি নিয়ে যাও । যে কোন হোটেলরুম মকশো করো । টকশো করো তোমার বারমুডা আর নীল টি । সেক্সের সময় নীল আমার পছন্দ , আমিও হাল্কা নীল ব্রোকেড ক্যাপরি ... আরে বস , জানবে না কেউ । টেক ইট ইজি । না না , কবজিতে ঘড়িটা থাক । ওকে খুলো না ... ওকে বাজতে দাও ... ও বন্ধ হবার আগে আমি বাজাতে শুরু করি নিজেকে ... তুমি কত সময় নাও ? আমি কিন্তু শেষ হতে অনেক ... আমাকে সইতে পারবে তো ? বইতে পারবে আমাকে ? নাকি পরিশ্রান্ত তোমার পা দু' খানি গুটিয়ে যাবে ... আর তোমার শুশুবেড়াল ? তার খবর কি ? ... আড় ভাঙেনি এখনো ? সে আবার সিং ভেঙে ধলভূম থেকে সিংভুমে পৌঁছতে কাত হয়ে যাবে নাতো ? আমি বাপু শক্তপোক্ত স্যাটিননারী ...  ঢিলেঢালা নই  ... আমাকে ভেতরে বলড্যান্সের আগে ... শক্ত করো ... জমজমাট করো ... আমার কোণে ... আমার প্রতিটি কোণে আগে করো ... ঘড়িটা বন্ধ হয়নি এখনো ... টিক টিক ঠিক ঠিক ...
আগুন চলছে ... উফফ , তুমি সেই ম্যাদামারা  মিডিলক্লাস ... মিনমিনে ঘেমো প্রেমিক আমার ...
হরকদম আঁকছ গ্রীকড্রামা ... পয়ার ছন্দে অয়দিপাউস আর ইদিপাস কপচে যাচ্ছ সেই কখন থেকে ...
অথচ গ্রে-হাউন্ডের মত সরল আর সাধাসিধে একটা অর্গাজম মাড়াতে পারছ না ..








নারীবাদী আমি নই

ছেলেদের বেশ লাগে আমার


দোষ গুণ দাঁড়ি গোঁফ সহকারে ভালোই লাগে


বিশেষ করে পুরুষ
এই ধরুন মধ্য বয়েস
চল্লিশের ওপরে হলেই
ব্যাপারটা দারুন জমে যায়


এই সময়কেই ব্যাটাছেলেরা আসলে
ঠিকঠাক সোমত্ত হয়
এটা মানেন তো ?
নড়াচড়ার সময়
জল পড়ে লালা ঝরে হুশহাশ শব্দ
বারো হাত কাঁকুড় ... দুটি মাত্র বীচি
তাই নিয়ে কত নাচানাচি
এই জাতীয় পুরুষকে
প্রতিবাদ করতে জানিনে আমি


বরং তাদের প্রতিবাদের সামনে
জমিয়ে ফেলি
ব্রেসিয়ারের সাংগঠনিক শক্তি


নারীবাদী নই
জাস্ট এইটুকুই  শুধু

দাবী না মানা পর্যন্ত
বিছানা  ছেড়ে যাই নে








সে যখন উল্টোদিক

... উল্টোদিকেও সোনালী ফুটো
উল্টে খাও আর পাল্টে খাও
গাছ তো একটাই মুল কাণ্ড লতা পাতা আর কোটর ...
 দিকে দিকে একই সিস্টেম ...
গর্তের মধ্যে ঢোকো আর আছোলা ছ্যাঁদা কোরে বেরিয়ে পরো ...
সো সিমপল ম্যান ... পান খাও ,
আর সেমিলিকুইড জর্দার জর্জেট ওড়াও ঘরে অথবা পরে ...
লাগাও তেলের সিসেম
আর সামলে থেকো না হামলে পরো
সেই একই আচার
কখনো আমের আর কখনো চালতার  ...
টক টক নোনতা ...
লিঙ্গের চোয়াল দাঁতের স্তর ... লালফৌজের লালা মার্চ
জল খুলছে  ? ইচ্ছায় অনিচ্ছায় যৌনতায়
আলুবালু বেবুন
চলছে চলছে সেগুন কাঠের বেবুন
সিঁড়ি বেয়ে উঠছে কখনো শিং বেয়ে নামছে
শ্যামঘন ব্লু লেগুন

ঝাঁঝালো সৈনিকটি মত্ত আছে এখন
ল্যান্ডস্কেপের ধর্ষণ স্কোয়াডে







শরীর থেকে বেরিয়ে একটা অণু কবিতা লিখলাম । হঠৎ । যেন শুধু একটা শম্পা  অথবা এক দলা পম্পা । বর্ষার খিল খুলে বেরিয়ে গেল ওরা আর দূরে মিলিয়ে গেল পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ বয়ঃসন্ধি । কিছু আকাশ বাতাস পকেটে থাকলে আজ একটা পূর্ণ অবয়ব কবিতা লিখতাম ...

অথবা দরমার বেড়ায় ঘেরা এক ঘর গোলার্ধ ... একটি সুমধুর শরীর থেকে বেরোবার পর নিজেকে কেমন রোববার রোববার লাগে ... ভাতের পাতে সামান্য করলা সেদ্ধ আর নুন মনে হয় অমৃত ... স্ট্রেট ফ্রম হেভেন্স কিচেন ... বিশ্বাস করো , এক পাত থেকে অন্য পাতে উঠে যেতে কবিরা বেশি সময় ন্যায় না ... তুমি নাও ? যারা মশাল জ্বালো , ছবি আঁকো অথবা ড্রাম পেটাও ...আর গলাবাজি করো ধর্ষণের বিপক্ষে ... তোমরাও সময় নাও ?

ভালো কথা , আজকাল ধর্ষণ বেড়ে গেছে এতো যে মেয়েদের রঙ কমে আসছে খুব । গানের সূচ আর সুতোও কমে আসছে  ক্রমশ । তবু প্রতিটি সেলাই জানতে চাইছে কে কার ঘর ... সোজা না উল্টো ... আড় না দীঘল । এইটুকুই যা সমর্পণ । অই যে বল্লুম মেয়েশরীর আসলে একটি শরীরীমেয়ে  ...
তেল ঢালো আর জং সারাও ...
জং সারাও আর তেল ঢালো  ...

অন্যমনস্কভাবে তার বুকে চোখ রাখো যেন কিছুই দেখছ না  , বুকে হাত রাখো এমনভাবে যেন কিছুই রাখছ না ...

যেন লিঙ্গটি টিপে টিপে তুমি এক সাদারঙের সফেদ ভদ্রলোক
বের কোরে আনছো সংযমের মলম ...







পালাবার রাস্তাটা আমিই তোমাকে দেখিয়ে দিলাম ...
অই যে অং বং চং
এল সেপ  ...আঁকাবাঁকা গ্রামবাংলার বাহু
চিরকাব্য অইখানে ডুমুরনদী
ঝুমুর দোহারা
লাল কোমর জড়ানো মধুরা
সিঁদকাঠি দাও এবার ... সিঁদকাঠি বহুত পুরানা হ্যায় ইয়ার ... নয়া জেল দাও তাকে
..টক-টাইম চেক করো আর  রিচার্জ ডালো ...

সুষম সবুজ ... বিনাইন সিক্সটি নাইন

এখন তোমার পালানোটা দেখছি দূর থেকে আর
আর বিভিন্ন অ্যাঙ্গেলের অট্টহাসিতে
উঠছি ...
নাচছি  ...
উফফফফ ... সেক্সের কোন শর্রটকাট নেই ...
লং ... লং ওয়ে ...
পানুগ্রন্থ দিলুম ... ঢাল দিলুম , তরোয়াল দিলুম সেজে ...
হে নিধিরাম ... এবার উঠে দাঁড়াও গর্জে ...








আমি একজন রেপিস্টকে ভালবেসেছিলাম
আমি একজন রেপিস্টকে প্রেম করেছিলাম


রেপিস্ট বলেছিল সে আমাকে ভালবাসে
রেপিস্ট বলেছিল যেও না , ফিরে এসো
চাকা ঘুরছে ... চাকা ঘুরছে , চাকা ফেরেনি
ধ্বংস হয়ে যাচ্ছি  , তুমি ফিরে এসো


আমি ভেবেছিলাম

প্রেম সত্যি
মানুষ সত্যি
ভালবাসা সত্যি

এই নিয়েই তিন সত্যি


রেপিস্ট নিজের হাতে জিন্স খুলে দিয়েছিল
রেপিস্ট নিজের দাঁতে কেটেছিল লঁজেরি
রেপিস্ট বলেছিল , লজেন্স চাও না ললিপপ

তাহলে আমাকে চোষো
আমাকে খাও , চেবাও
না , দাঁত নিভিয়ে রাখো
জ্বালাও আই মিন চালাও জিভ

আমি ভেবেছিলাম প্রেম সত্যি জগত মিথ্যে
আমি ভেবেছিলাম অন্ধকার সত্যি আলো মিথ্যে


রেপিস্ট বলেছিল
অপূর্ব স্বাদ তোমার
ঠিক যেন ঝালমুড়ি খাট্টামিঠা অথবা
চরম ঝালদার আফগানি কাবাব
তুলতুলে নরম রেশ্মি
তুমি আমার রেশ্মা
আমি তোমার শাম্মি



ললিপপ চুষতে চুষতে
আমি ভেবেছিলাম

গ্রহণ সত্যি চাঁদ মিথ্যে


৩৬ ৩২ ৩৪ কাব্যগ্রন্থ থেকে