বৃহস্পতিবার, ২১ মে, ২০২০

তৈমুর খান


তৈমুর খান

মোমবাতির আলোয়

 আলো জ্বলিয়া উঠিলে দেখিতে পাইলাম

 আমাদের মৃতদেহগুলি পড়িয়া আছে ।

 সত্যের পাশে মিথ্যা এবং মিথ্যার পাশে সত্য ।

 কে দাঙ্গা করিতে আসিয়াছিল

 এবং কে দাঙ্গা থামাইতে আসিয়াছিলাম

 এই মুহূর্তে তাহা বোঝা যাইতেছে না ।

 শুধু হাত ও পা,  হরিনাম ও লা- ইলাহা

 ছিন্নভিন্ন হইয়া পড়িয়া আছে ।

 কেহ আসিয়া কুড়াইয়া লইয়া দেখিলে দেখিবে :

 একপ্রকার মনুষ্যজাতিই মরিয়াছে ।

 আর তাহাদের মনুষ্য ধর্মের মৃত্যু ঘটিয়াছে ।

 যুগের ইতিহাস লেখকেরা  'সম্প্রদায়িক' নামে

একটা শব্দের ব্যবহার শিখিয়া

 এই পরিচ্ছেদের নামকরণ করিবেন ।

 কেহ খুঁজিয়া দেখিবেন না  রিজওয়ান-উর রহমান এর হৃদয়

 এবং হাজার হাজার প্রিয়াঙ্কার চলে যাওয়া ।






সত্য ভেসে যাচ্ছে

বন্যায় সত্য ভেসে যাচ্ছে

চারিপাশের থইথই জলে

বাঁশি বাজাচ্ছে কোলাহল


শহরে খুব মেঘ করেছে এখন

ডানা বেয়ে নামছে ধোঁয়াশা

ঘুমের পল্বলে অনুভূতির মৃদু মাছ

                                       খেলে বেড়াচ্ছে


দুর্যোগের নীল সমাগম পাল তুলে দিয়েছে

নৌকারা বোষ্টমীর গেরুয়ায় ঢেকেছে শরীর ধন

সঙ্গমের ক্ষেতে শীৎকার

                              ঝরে পড়ছে পাখিদের গান


মাৎসর্যের বিকেলে নরম সংশয়

জেগে উঠছে বলে

দরজা খুলে দিচ্ছে সব মিথ্যার আশ্রয়






জোবচার্নকের সাথে দেখা হল

জোবচার্নকের অট্টালিকায় আমাদের রাত

যায়

এই কোলকেতার রাত


কুমুদ, তোমাকে কত ডাকি

ডেকে ডেকে চোখ সরোবর হয়

তুমি ফোটো অন্যকারও জলে  !


তামাশা উড়িয়ে দিয়ে যন্ত্রযুগ

যন্ত্রণার মই বেয়ে উঠে আসে

এই ঘরে আমার পিপাসা পায় খুব


সারাদিন আকাঙ্ক্ষারা ঘোরে ফেরে ।

কোথাও আশ্রয় দিলে নাকো কেউ

জোবচার্নকের সাথে দেখা হল

মধ্যরাতের হিল্লোলে  ,  এই পানশালায়


নিজেকে নীলঅশ্বের মতো ভাবি

দৌড়ই বেঘোর রাস্তায় একা একা

মনে মনে সারারাত শব্দের সম্রাট

শব্দে শব্দে আলো জ্বালি....