বৃহস্পতিবার, ২১ মে, ২০২০

অনিন্দিতা সেন


অনিন্দিতা সেন

দ্বিতীয় স্থিতাবস্থা

মৃত্যুভয়ে সন্ত্রস্ত এক জাতি
এগিয়ে যাচ্ছে অসহায়তার গভীরে
 ক্রমশ:
ঝুঁকে যাওয়া শিঁরদাড়া, দীর্ঘশ্বাস...
 অজানা ভয়
অহংকারের তকমা বহন করেনা
...আর!
অথচ, কিছুদিন আগেও ছিল
আস্ফালন
উলংগ সাম্প্রদায়িকতা, রাজনীতি
শাণিত তলোয়াড়,
অবিশ্বাসী চোখ, জরিপ করেছে
 একে অপরকে!
উল্লাসে এগিয়ে যাওয়া বিজয়রথ ছিল
বিধ্বস্ত জনপদে,
মুহুর্তে বদলে গিয়েছিল শহরের এপিটাফ!
কিন্তু, এখন... হে মানব জাতি
সর্ব উন্নত জীব কে শায়েস্তা করতে
বিধাতা পাঠিয়েছে তার অনু সমান
মারণাস্ত্র,
অনিচ্ছের ঘুম ঘুমিয়ে থাক আতঙ্কের...
কবরে,
গৃহবন্দী, বন্ধুহীন... পৃথিবী জুড়ে একই
ডি এন এ, একই লোহিত কনিকা,
এমন কি একই হোমো স্যাপিয়েন্সের চর্চা
করতে করতে!
        






অন্য আমি

মেঘের উড়ো চিঠি উড়ে এসে বলে...
খুলে দ্যাখো মেয়ে
ভালবাসার স্বপ্নমাখা শব্দেরা কেমন
জড়িয়ে আছে পরস্পর!
একটা সন্ধ্যে, কখনো এমন হয়,
কুয়াশা কাটানো চাঁদ...
নষ্ট ঘরের সেই নষ্ট বাসায়!
একটা ভোর কখনো আসে
ভৈরবীর মন্দ্র তানে,
সুর খেলে যায়, বুক ভেসে যায়,
অপেক্ষায়... একটা গোটা রাত।
নৈঃশব্দ্যে বিঁধে...না বলা কথার ভার
ছন্দভাঙ্গা...এলোমেলো শিলালিপি আঁকে,
ধূপের অস্পষ্ট ধোঁয়ায় তখন
পদাবলির... শরীরি বসন্ত।








প্রেমিকা

ও মেয়ে কেন তুমি অন্যরকম?
কেনই বা নিজের মত প্রণয় গড়ো?
বোরো পাহাড়ের কোনায় কোনায়
ধুন গাইছে রাখালিয়া সুর,
মেষপালকের দেশে যার বাড়ি,
.মেয়ে তুমিও কি যাও
মেঠো পথ ধরে. পাকদণ্ডী বেয়ে?
সেই প্রেমিক রাখাল কি তোমার হল মেয়ে?
হাত ধরাধরি হারিয়ে যাওয়া নিরুদ্দেশে পাড়ি!
মেয়ে চাও না একটি বারচাওনা
ভিনদেশি এই প্রেমিক টির পানে!
যেখানে মায়াময় আলোর কারুকাজ
শুকতারা হয়ে ঘর বাঁধে!