বৃহস্পতিবার, ২১ মে, ২০২০

মতিউল ইসলাম


মতিউল ইসলাম

শেষের সেদিন

তোমার অদৃশ্য বীণার সুরে
আমার উদ্ধৃত ফনা প্রসারিত হয়ে নৃত্যরত,
যেন বিদ্যুতের ঝলক।
পরক্ষণেই তোমার জড়িবুটি ধরা হাত
নেমে আসলেই নিজেকে গুটিয়ে নিই,
অণু থেকে পরমানু হয়ে যায়।
পরমানু থেকে আরো ক্ষুদ্র কণা হতে
নিজেকে নিষ্পেষিত করি প্রবল আক্রোশে,
তোমার ত্রিলোক কাঁপানো হাসিতে
আমার শীতল রক্ত পোঁছে যায় হিমাঙ্কের
শেষ বিন্দুতে।
অতঃপর এখানেই শেষ নয়,
আমার জন্মজন্মান্তের জিঘাংসা
জমিয়ে রাখি দাঁতের নিচের থলিতে,
খোলশ ত্যাগ করে পরে নিই
নতুন মুখোশ,
বাংলা ব্যাকরণ বইতে লেখা আছে
এক মাঘে শীত যায় না।






পূর্ণতা

মেঘলা মন ঝরছে বৃষ্টি ভিজছে হৃদয়,
মন খারাপের সোদা গন্ধ শরীর জুড়ে।
মেঘলা মন খোলা জানালা, দৃষ্টি সুদূরে,
সজল চোখ, খোলা বেণী বিষন্নতার মুর্তি,
উড়ছে আঁচল ঝড় বইছে হৃদয় জুড়ে।
অলস কালযাপন মেঘ জমাচ্ছে মনে
শরীর জুড়ে প্রতিক্ষা আর প্রতিক্ষা,
মেঘলা মন সাজিয়ে নিয়েছে
মন খারাপের সমস্ত আয়োজন।
দেখ মেয়ে কেটে যাবে সব মেঘ
রামধনু উঠবে হৃদয় জুড়ে।
সূর্য্যের কোমল ছোঁয়া মুছে দেবে
হৃদয়ের সব জল, মেঘলা মন ভরে যাবে
রৌদ্রে, শরীরের প্রতিটি কোণা হবে আলোকিত।
আসবে পূর্ণতা আসবেই আসবে।
তখন মেঘলা মন থেকে বৃষ্টি নয়, স্ত
ন থেকে ঝরবে ভালোবাসার শিশির টুপটাপ টুপটাপ।
মিলিয়ে নিও একদিন ঠিক মিলিয়ে নিও।






রহস্য

উজ্জ্বল আলোটা গপ করে গিলে নিয়েই
অন্ধকার হাত বাড়ালো বর্তমান কে ধরতে,
আর তখনই বর্তমান লুকিয়ে পড়লো
ভবিষ্যতের পাঁজরে, থমকে গেলাম !
কালহীন  অশরীরী আত্মার মতো
ঝুলতে লাগলাম আশা নিরাশার
শূন্যোদ্যানে।
নিপাতনে সিদ্ধ সন্ধির মতো আমায় দেখে
তুমি হেসে উঠলে সজোরে,
ভুত ভবিষ্যৎ অতীত ভুলে
আমি তখন ব্লাকহোল।
আছি, না ছিলাম, তত্ত্ব নিয়ে
গবেষণা অব্যাহত,
আর আমি মহাজাগতিক রহস্য হয়ে
ছিটকে গেলাম বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ড থেকে
কয়েক আলোকবর্ষের ব্যবধানে।