বৃহস্পতিবার, ২১ মে, ২০২০

সুধাংশুরঞ্জন সাহা


সুধাংশুরঞ্জন সাহা

আমার এই শহরটা

আমার এই শহরটা সুস্থই ছিল বেশ
লন্ডন থেকে কে নিয়ে এলো রোগ
ইউকে থেকে কে নিয়ে এলো ভাইরাস
দুবাই থেকে বয়ে আনলো ব্যাধি
তারপর হাটবাজার মল একাকার করলো তারা
জনে জনে মিশে দেদার ছড়ালো ভাইরাস
আর খেয়াল খুশি মতো বিস্তর ছড়ালো আতঙ্ক
মানবতার স্বার্থে এখন
এইসব আলালের ঘরের দুলালদের
কী করা উচিৎ আপনারাই বলুন







অদ্ভুত রোদের বদমেজাজ

রোদ্দুর মাড়াতে মাড়াতে ঘামেভেজা কপাল নিয়ে
একটু অন্ধকার খুঁজছিলাম মনেপ্রাণে।
যেখানে একটু প্রশ্রয় পাবো নির্বিঘ্নে ।
যদি অদ্ভুত রোদের বদমেজাজ শীতল হয়
অন্ধকারের অলৌকিক দাবার চালে ।
ইচ্ছাপূরণ নদীর গল্পে
যদি জেগে ওঠে ঝিলামের সরল নাব্যতা,
তাহলে বিরক্তির আদান প্রদান মসৃণ হয় ।






করোনা : দুই

ফের শীতকথা !
ফের মৃত্যুকথা !
ফের করোনা ! সেই করোনা ভাইরাস !
ভীষণ খরার কথা মনে পড়ে আজ ।
তুমুল বৃষ্টির কথা ।
পাকা ধানের মাঠ মনে পড়ে আমার ।
তবুও আমাদের অস্তিত্ব করোনা আক্রান্ত আজ !







মনখারাপ

গোপন অভিমান মনে পুষে গাছ আজও
ছায়া দিচ্ছে অবিরাম ।
বুকে দীর্ঘদিনের ক্ষত নিয়ে নদীও
জল দিচ্ছে আমাদের ।
সব শর্তে সম্মতি জানিয়ে
দু'পায়ে কারা মাড়িয়ে যাচ্ছে স্বপ্নসম্ভাবনা !
এতো যে পথের রূপরেখা আঁকি
তবু,  মনখারাপ পেড়ে ফেলে আমায় ।







বোতামে লেগে থাকা অপরাধবোধ

পাতার কোলাজে বৃষ্টিভেজা মাঠ
কুয়াশাস্তনে রামধনুর ঝিলিমিলি
আর জামার বোতামে লেগে থাকা অপরাধবোধ
জোড়াতালির মেজাজ কিংবা চিৎকার
এই নিয়েই আপাদমস্তক জীবন

সকালের পরিপাটি রোদে
খেয়ালী পাখিদের আমোদ
দীর্ঘ সেতুর অপরাহ্নের দিকে
ক্রমশঃ বিলিন হয়ে যায় ...

ফেরারী নদীর নিস্তব্ধতা
ভারী হয়ে ওঠে জোনাকি আলোয়