বৃহস্পতিবার, ২১ মে, ২০২০

শাহানারা ঝরনা


শাহানারা ঝরনা

ইচ্ছে হ'লেই  

কাব্যকলার ভাঁজ ভেঙে কে সামনে এসে দাঁড়াও
ইচ্ছে হ'লেই আগুন পোড়া হাত দু'খানি বাড়াও!
মন কি তাতে হয়  উচাটন রক্ত জবার মতো
রাঙা পথের ধুলোয় হারায় গুচ্ছ স্বপন যতো

ঋণের বোঝা কাঁধে নিয়ে চলছি নিরুত্তরে
ধূসর যতো শব্দমালা জমছে স্মৃতির ঘরে
আঙিনাতে বুনো অতীত খেলছে পাশা রোজই
পাল্টে নিয়ে মানঅভিমান ঠিক রাখো সব খোঁজই।

অন্ধকারে আলোক রেণু ছড়ায় আশার বাণী
পোড়া ধূপের  গন্ধে হাসে বন্দিনী রাজরানি
মানবতার শঙ্খ হাতে কেউ আসে না ছুটে
অলক্ষুণে মনকথা ফুল হঠাৎ ওঠে ফুটে।

বনকোকিলার কান্না শুনে সকল পুরনারী
কপট শোকের কোলাহলে বাতাস করে ভারী
কা-কে নিয়ে হিতৈষীতা করছে এখন কারা?
আগুন দহন আভাষ পেয়ে ভরছে হৃদয়পাড়া।

গ্লোবাল নীতির তৎপরতায় মানমুখী হয় সুধা
বিমূর্ত ক্ষণ বুকে ঢেকেও তাই বেড়ে যায় ক্ষুধা
পথিক কেন পথেই কাঁদে কেউ জানে না কারণ
উচ্চাভিলাষ স্বপ্নবাণী প্রচার করা বারণ ।

দূর্বিপাকের খসড়া নীতি হলে অপাংতেয়
ভয় পেয়ো না একলা চুপি মঙ্গলেতে যেয়ো
বিশ্ব এখন অসুস্থ খুব পাপের বোঝা ভারী
মঙ্গলে নেই মহামারী পাচ্ছি আভাস তারই
ডাইনে বামে সামনে পিছে আতঙ্ক বাস করে
ইচ্ছে হ'লেই দিয়ো পরশ বিদগ্ধ অন্তরে !! 






স্বপ্নরেখা

ঠুমরীর আলাপচারিতায় রচিত মানমুখী জীবনের গল্প,
আগুন উত্তাপে মুলতবি এখন
আগুন সবই পোড়ায়,
পারে না পোড়াতে নোংরা মনের দূষণ।
ভাইরাল স্বপ্নের আতিথেয়তা নিয়ে
হয় না দীর্ঘমেয়াদি সুখের বসত
মেয়াদোত্তীর্ণ ভাবনায় তবু জীবন সাজিয়ে
অনাদর প্রতীক্ষার দিন গুনি
আস্থার গ্রন্থিতে ঘটে অনস্বীকার্য বিবর্তন।
ঘোরলাগা গেরস্থালির বনিবনায় এখন
স্বপ্নবধূও বিধ্বস্ত সারাক্ষণ    
আধ্যাত্মবাদের ফ্রেমে বেঁধে হীনমন্যতার নীতি
জিঘাংসার দাবানল জ্বালে অসুখী দরবেশ
পরম্পরার প্রসারিত আগামী
অজানা  আশংকায় দোলে
ধূলিপাতার মর্মরে মেশে
বোবা স্বপ্নের আহাজারি ।
আততায়ী চেতনায় জাগা রূপান্তরিত স্বপ্নরেখা
ছুঁয়ে চন্দ্রাহত শিল্পী কিংবা বোকা পরম্পরা
বিধুরতায় জ্বালে মঙ্গলপ্রদীপ ।
আহা স্বপ্ন!!
শ্রেষ্ঠত্বের মোকাবিলায় থাকে অমর চিরদিন।






মানব জীবন

--- ধরো, তোমার ইচ্ছেগুলো যাচ্ছে ভেসে অনেকদূর
ইচ্ছেরা কি দেবারতির খবর শুনে হয় বিধূর?
মান অভিমান কোলাজ করে ওরাও বুঝি কষ্ট পায়? 
দেববিলাসী বিষাদ নিয়ে কেউ বা দুখে মুখ লুকায়
কোথায় থাকে মনদেবতা কোন দেউলে বসত তার
ভুলতিথিতে আসন পেতে কাকে সে দেয় চন্দ্রহার?
এক দেউলে সবার আসন হয় না তো আর সাম্যতায়
আজ্ঞালিপি হাতে নিয়ে কেউ চলে যায় অচিনগাঁয়
কারো হৃদয় দূর্বিপাকেই গুচ্ছশোকের বাড়ায় ঋণ
 আলোকজলে উর্বরা হয় হয়তো কারো মন জমিন
ইচ্ছে যখন মুগ্ধ কথার ভাবনাতে হয় নিবিড় খুব
সেই সুযোগেই আগুনজলে কেউ সুখে দেয় দিব্যি ডুব   
ধূপছায়া দিন দুলকি চালে চলছে ছুটে দ্বন্দ্বাতীত
মানবতার সাজঘরে আর হয়না গাওয়া সুখের গীত
সময় এখন বেশ  ঘোলাটে মানবজীবন অসাড় আজ
মননজুড়ে তাই সকলের ইচ্ছেপোড়া বৈরী সাজ
দিন যতো যায় নীরবতায় হচ্ছে কঠিন নিগূঢ় ভাব
জৌলুসী মন গৃহকাতর সমন্বয়েও হয় না লাভ।