শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়


জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়

সংবর্ধন  

ঝরাপাতার বিরহসংগীত শুনতে শুনতে যাঁরা
সকাতরে আড়াল খুঁজে নেন
আপনি তাঁদের মতো হবেন না।
আপনি তো জানেন পাতা ঝরে যাওয়া মানেই
সবকিছু শেষ নয় নতুনপাতার জয়ধ্বনি।

আপনি কাজাখ স্তেপের কথা ভোলেন নি
ভোলেন নি পশ্চিমঘাটের সূর্যোদয় বিমলানন্দবায়ু
অথবা গ্রিম্পেন পাঁকের জলায় ফসফরাসের নাচ
দানব হাউন্ডের প্রেত আস্ফালন বা
আলিবাবা গুহার স্বত্ত্বাধিকার তো আর কারও নয়।
ওই যে অতলান্ত ছায়াপথগুলি যতগুলি সৌরপরিবার
শূন্যতাময় অন্ধকার তাও তো আপনারই
যাকিছু সজ্জাবিলাস সবই তো আপনাকে......।
আজকের ছাঁদনবাঁধনে বিশিষ্ট আর কেউ নয়
আপনার জানুতে চিৎ বামহাতে ধান দূর্বা পূতোদক.....
আপনি আজ অতিথি অনন্য।

পরের সকালে আবার মরুর রাখাল......









ঋতি             

অস্থির টিলার উপর স্থির সরস্বান
অকলুষ জলে নিটোল ছায়া কেন যে সাজায় মেঘ
আসলে আকাশের মতো সংসারী আরতো দেখিনি।
মেঘফুল ফুটেছে দেদার জল আর শৈত্য ধোঁয়ার প্রেমিক
জরিমানার ব্যাপারই জানে না।
ভিত্তিচাতাল থেকে এক একটি শক্তি ওঠে গল্ফ ক্লাব যেন প্রভিন্ন।

কারও কারও মন লাগেনা কাজে এ বিষম শীতে যারা
সরমাশিশু হয়ে দীপকরাগে বাঁচে তারা তোমার মতো জিন
কোথা পায় জানো নাতো!জানা সম্ভবও নয়।অন্ধকার পাহাড়।

লটারির টিকিট বাছার মতো প্রশ্ন খুঁজেও কয়েকটি সাগর প্রিয়
তল কি দেখেছে কেউ খুঁজে? মাকাল পোশাকের ধাঁধায় চিত্রগুপ্ত চিত।
পুতুল নাচানো লোকের বুকে ব্লকেজ থাকেনা ভক্ষ্য ও তরল স্থান কাড়ে।

কে যেন প্রহরের ঘড়ি দেয় ক্লান্তিহীন চলে যাই বিবেকভ্রমণে
দূরপথ খাড়াই বেয়ে বসি উতরাই এর সুখ বড়ো উপাদেয়।



  



মায়াটাঁড় 

যে প্রান্তরে সূর্য ডোবে গভীর বিষাদে কিছুটা বিরহে জরোজরো সন্ধ্যায় কিশোরীবধূটি তার প্রিয় তরুণের জন্য নীরব লম্বাশ্বাসে দরজায় সাঁটা এক জিশু কন্যা।অস্তযাত্রী ঘরের বুড়ি দৈনন্দিন ঘুঁটে শিল্পে উঠোন সাজায় আর খুশখুশ কাশে।দু একটা ছাগল খুরের শব্দ অভিজ্ঞানে জানায় তারা আছে।হাসির ধমকে ম্লান স্ত্রৈণ হাঁসের জবাব, দামাল মোরগের পৌরুষ সোল্লাসে বাজে। বালিকা রাত্রি নতুন পুলকে প্রান্তরে একলা কুঁড়ের ঘুপচিতে বাসন্তী স্বর্গ রচনা করে। কানেকানে গুনগুন অজস্র না আর অনেক পাওয়ার তরল আঁধার মাখামাখি।কালোতেই এত সুখ!  বুড়িমার শ্বাসকষ্ট কম হলে সেই প্রান্তরে একাকি বটের তলায় কুঁড়ে ঘরে শুরু গ্রামীণ প্রেমকাব্য কথা বা কবিতা- গান একটুও ফারাক নেই।হয়তো শাড়িটি ছিঁড়লে জমাটি অহংকার হারাবে তার আশার কল্পকথা।ছুটন্ত লোভী চোখ মুছে নেবে ক্লান্তি ক্লেদ।মায়াটাঁড় টেনে নেবে বিরহী শীতের শেষ বিকেলে বটের পাতা ঝরার সিম্ফনিতে বাঁশি বাজা গোচারণ বেলায় .......