শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

কাকলি মান্না


কাকলি মান্না

আগন্তুক

তুমি কোন পথে যাও
কোন পথে কুসুম ছড়িয়ে  আকুতি জাগাও
দেখায় লাগে ফাঁকি
জানলা জুড়ে ধূলো মাখামাখি

নদীর পাড়ে আকুতি স্তূপীকৃত
ফেলে গেছে  না ফেরা রা
বন্দর  অচেনা,  নাবিক খোঁজা
ঘুমন্ত উত্তাপ জলদ কামনার
.

সময় পাথর,  অন্ধকারের  কোরাস
বিজ্ঞাপন ঝুলে থাকা বোধের
কোলাহল মোছা শীৎকার
শূন্যতা জুড়ে থাকে অপেক্ষা






ভালোবাসার  চাবুক

শেষবার দরজা বন্ধের আগে
হাত বাড়াও আশাহত
তোমার শব্দহীন কান্নারা মুঠোয়  আগলায় শূন্যতা
অমল কান্তি রোদ্দুর হতে চেয়েছিল
তুমি না হয় সন্ধ্যার  স্নিগ্ধতা হও... ....

সারি সারি  প্রদীপের তলার ম্রিয়মাণ অন্ধকার
চুষে নিচ্ছে ইচ্ছেদের
সীমান্তে মৃতের ধ্বংস স্তূপ থেকে উদ্ধৃত হাত
হতে চেয়েছিল ভালোবাসার  চাবুক.......

যে অর্বাচীন হারাচ্ছে  বিশ্বাস
শেখায় নিয়ত শব্দের বিন্যাস
বর্ণমালা  স্বাধীন এখনও
শব্দের বন্ধুত্ব কবিতারা জানে
সখ্যতা তাই ভালোবাসার  চাবুকে.........

যে কিশোরী মেয়েটা ওড়না উড়িয়ে
রামধনু আঁকত লেখার  খাতায়
এখন পাতায় পাতায় স্মৃতির নোনা
নিভু আঁচে পুড়তে থাকে রঙগুলো
তারও দিনকাটে  ভালোবাসার  চাবুকের আশায়....






আরশি

সময়ের দাসখত লিখতে
দুপাশের চারা গাছ পায়ে দলে
এগিয়েছে রাস্তা ।

নুড়ি  বালি আর তালসারি স্রোত ছুঁলে
পর্দা সরিয়ে পায়ের ছাপ খোঁজা ।

গৃহস্থলির নিস্তব্ধতা দুপুরের
রোজনামচায় জুড়ে বসে
বাসনের  টুং টাং আর টবে
শীতের চারায় আগামীর বার্তা ।

ব্যস্ততম সময়ে
আমরা এগোচ্ছি গড়ছি ভাঙছি
দেখতে ভুলেছি আরশি।

দেখ সন্ত্রাসের মানুষ গড়ে  ভগ্ন সমাজ,
গনতন্ত্রের  মানুষ আঁকছে ভঙ্গুর চিত্র ।

এক বিপ্লব আগুনে ঝলসালে
আদর্শ এক স্থবির  পাথর হলে
ক্ষত’র  দাগ মাপতে খুঁজি সময়ের আরশি ।

সব উপেক্ষা দূর করে এসে দাঁড়াই সামনে
এখনও অপেক্ষার স্বচ্ছতা সততার গল্প বলে চলে ।