শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০১৯

সৈয়দ ওয়ালী


সৈয়দ ওয়ালী

কথা

দুপুর গড়িয়ে গেলে
কথাদের দল যেন মৌনের কৌটায় নেয় ঠাঁই 

তোমার ফড়িং চোখে
কী ভীষণ মরুধুলো, উদাসীন ক্যাকটাস
তোমার উছল ঠোঁটে
নেই আর চটুল ইশারা, ডুবানো খোয়াব 

বিকেল ফুরিয়ে গেলে নামে যেন
শীত যুগ
স্বভাবে
শরীরে,
খুনসুটি দূর থেকে মিটিমিটি হাসে

আমার ক্লান্ত লাগে
প্রিয়তমা, তোমারও কী তাই?






খাব-মণ্ডল

পতনের শব্দে—
          চোখ মেলে ঘুম
সামনেই খাদ! নানা সাঁকো।

কোন সাঁকো
       দেখা দেবে মরীচিকা রূপে
কোন সাঁকো
       মাঝপথে ফেলে দেবে খাদে  
কোন সাঁকো
       নিয়ে যাবে ঋত ওই পারে
রায়-রূপ অধুনা-দোলক;
           অথচ এই মন কী করে তবু নিশ্চিত—
ওপারেই আছে সেই মেঘ-উদ্যান, খাব-মণ্ডল!






ঘরের গরাদ!

ঝুঁকিকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে
ছেড়ে যেতে চাই
ঘর
কাউকে পোড়াতে নয়
যাচাই করতে এই পা-কে

ভেঙে যদি যায় এতে সব
যাক
ধ্বসে যদি যায় এতে সব
যাক
আমারই ঠ্যাকা নাকি—
সব সাঁকো
     সুঁই সুতো
    গোলাপ বাগান জীবিত রাখার?
কবরের অধিবাসী হলে আজ পরে!

ক্ষতিকে মেনে নিয়েই দুর্গম পথে
নেমে যেতে চাই
ছেড়ে যেতে চাই আজ আরামের খাঁচা, ঘরের গরাদ!