শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০১৯

রত্নদীপা দে ঘোষ


রত্নদীপা দে ঘোষ

মাথার ওপরে স্বর্গ নেই

  
(প্যাগোডার লামা মসজিদের গামা মন্দিরের বোটানিক্যাল)
নিশ্চয়তা দেবে আমাদের? (নাজুক আঙুর আর ব্ল্যাকবেরি ওয়াইনের স্বস্তিকা?) 
ফায়ারপ্লেসকে নমো দিতে দিতে আরও ছোটো হোয়ে বেঁচে থাকবো?
(জারানো মৃতসোডিয়াম, ক্লেদমোটা দেবতার পায়ে?) মাথা ঠুকতে ঠুকতে আগায় ডুম
বাগায় ডুম, লালা-ভেজা গজ-ফুটের ঘামতেল ছড়াবে...
ভেল্কি-সর্বস্ব মোচ্ছব। বিষ-ভেপার-হাঁ-মস্ত
জায়নামাজের কোঠায় মাথাচাড়া নিয়নের খনিজ ভিনিগার
কুণ্ডলী গাইছেন ফনা ( ফণা চাইছে নতমস্তক খাসভৃত্যের দল)
বিশ্বাস করবো তাঁকে ( যিনি বিস্তর গরম করছেন পেটমোটা জাহান্নমকে?)








  
রোমকূপ বোঝাই কালোফেট্টি গর্ভগৃহ, টানছে পশ্চাতে। লালশালু মোড়া ধর্মস্থান কেদারস্নান।
দারুঘেরা হরিদ্বারের করোটি। প্ররোচনার পেনিস, খেলা থেকে ঝরছে বিচির ছোবল।
উপদেবতার টেক্সচারে উপ-খেলাদের ম্যুরাল
অট্টহাসির লাথি হে, গুঁড়িয়ে দাও বিষ্ণুর ঠেক। সুদামার আড়ালে কেষ্টঠাকুর(তাজ্জব কি বাত)
দুই হাতে নাকি কালের মন্দিরা ( কেয়া বাত) চৌচির হোক ঠোঁটবাঁশী, এঁটো মালসা
রাধিকা-ধুনুচির সিংগল মল্ট মুখোশের মতোই ধুরন্ধর।
গোপন-মাদ্রাসার পাশাপাশি আরও দু’একটা গোপন রেডিয়াম যাক নিভে।
উড়ে যাবার আগে একফোঁটা আন্ডারওয়্যার কি জুটবে? আজানের জাঙিয়া?








বৃন্দা-কদমের নাম কোরে ফুটেছে কৌপীন-সম্বল-মৃত্যু-ত্রিশূল। অহংকারী আর্মচেয়ার, নোঙর টলমল। 
মধ্যসাগরের অন্ধকারে ঈশ্বরের খোঁজে জল-শিকারে নামছে পুরোহিত-শিকারা।
শিরা উপশিরার ডুবুরিতে মাখামাখি প্লে-ষ্টেশন ...
কোথায় তিনি? কোথায় পিনাকপাণি?
কেমন তার উচ্চতা, কাপসাইজের গঠন?
(চোখের ব্রেসিয়ার কেমন? কখনো তো তাকে চেখে দেখিনি!)
কোথায় নেশা-দাপুটে মহাকালীর গ্রীনরুম?
বলরুম? ক্যাবারে-আভা?
আলফা-রশ্মির রসময়ী?
বরাভয়দায়িনী আল্লাহ, চন্দ্রহারের ডিস্কোথেক,
কতোতম তিনি মহামান্য রসুল-নায়িকা?







ক্রমশ বাড়ছে বাগাডুলির চুইংগাম! সি-সিকনেস ভেঙে তৈরি হচ্ছে মেডিকেশনের আভা
আত্মহত্যার জেব্রায় মানুষপাখির ধর্মপোশাক। গেরুয়া-গর্জিত ফ্যানাশিখণ্ডীর শর্টস্কার্ট
র্উড়ছে উড়ছে স্ত্রীলিঙ্গের রাধামাধব 
নগ্ননাটিকার বোধিনাচ, নাচতে নাচতে (ঝুলে যাচ্ছে ত্রিপিটকের ব্রা।) 
রক্তাল্পতা রোগ, ভুরু কুঁচকে আছেন জগৎতারিণী ( উদ্ধার করবেন জগত? জন্নত?) 
নাকি কনডোমের ছাল-ছোবল চেটে চেটে শুধুই স্বাদ নেওা
পায়েস-সাগর আধন্যাংটো, ক্লিভেজপরা সুজাতার স্বয়ংসিদ্ধাই যোনি  







রুগ্ন হিমোগ্লোবিনে প্লাবিত জিসাস, প্লেটলেট খসছে কথা-না বলা পুতুলের মুখ থেকে
মুণ্ডহীন ধর্মের ধড় কাঁধে হে কর্কটগুরু, এবার মোছো দেখি কুরুকথার ভাইব্রেটর
ধুতুরাশিবের অণ্ডকোষ মুছে ফ্যালো, বহুযুগ ধরে ওখানে জন্মেছে অনেক রক্তাক্ত মেওয়াফল
এতদিন স্বয়ম্ভূ ডেকেছ যাকে সে আসলে কীটনষ্ট আস্তাকুঁড়, ছুঁড়ে ফ্যালাই মঙ্গল
বিধি হোক বাম অথবা ডান, ছুঁড়ে ফ্যালো। নইলে (মানুষের নামে বানানো)
সরকারী মন্দিরের গেরুয়া-থাবা, পিষে ফেলবে ইমারত