শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০১৯

টিপলু বসু


টিপলু বসু

নিঃসঙ্গ

ব্যর্থ দিনরাত আমাদের নিয়ে যায়
কোলাহলহীন নিভৃত বসবাসে
আপেলবাগানে তখন পরিযায়ী শ্রমিকের দল
নিঃসঙ্গ দিনের শেষে বুঝে নিচ্ছে
ঘরে ফেরার হিসেব নিকেশ
শহুরে বাতাস আত্মহননের সংবাদে মুখর হলে
গ্রাম গঞ্জে একাকীত্ব উদ্ভিন্ন থাকে
শিকড়ে ও মূলে, মাটির আড়ালে;
যৌবন অভিমানী হলে গন্তব্য হারিয়ে যায়
অনাদরে যন্ত্রণায় পুড়ে গেলে ত্রিভুবন
নিঃসঙ্গতা এক ই সুরে কথা বলে নিরালায় ।






একাকীত্ব আরোগ্য হতে পারে

দেশকে খুঁজে পাচ্ছি না কোথাও
কাটা-ছেঁড়ার অসহ দিন
ক্রমশ বিচ্ছিন্ন হই ভিন্ন হই
হাত বাড়ালে উঠে আসে
মুঠি ভরা নিষ্প্রাণ পাথর
বিভাজিত সমাজ সংসার
সময়ের অভিঘাত থেকে শিখে নিতে হয়  
প্রত্যাখানের অসহজ পাঠ
ইতিহাসের জটিল পাতা থেকে
ভেসে আসে মিথ্যে সঙ্গীত
দূরান্তে চলে যায় বসবাস জীবনযাপন
এসময় একাকীত্ব আরোগ্য হতে পারে।







সেগুন জঙ্গলের দিকে চলো

আগাছায় ঢেকেছে গ্রন্থাগার
আবহাওয়ায় গ্রন্থহীন সময়ের ক্যাকোফনি
আপ্তবাক্য কিছু বলো
ভুলে যাওয়া মানবিক অভ্যাস ----
তাদের ফিরিয়ে আনার কথা বলো
ছাইরঙা কলমের নিবে
আগুন লিপিগুলি ঢালো
গাছেদের বাগানে পাখিদের লাইব্রেরি
ওড়া পাতা বই খাতা গানের ইশকুল
এইখানে অহংকার খুলে রেখে
বৃক্ষের বল্কল বিষয়ে দু-একটি মহার্ঘ্য
কথা বলাবলি করো
তারপর পুঁথি ও গ্রন্থগুলি সযত্ন বিশ্বাসে
দুহাতে আঁকড়ে ধরে
সেগুন জঙ্গলের দিকে চলো।