শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০১৯

সুকান্ত মজুমদার



সুকান্ত মজুমদার

তুমির তুমিতে

এমনোও হতে পারত
তোমায় নিয়ে সব উদ্ধৃতি সত্যতার
দাবি নিয়ে স্বগর্বে অভিপ্রেত তোমাকেই
খুজেনিত, জ্বালায় ফুরিয়ে যেতনা। 
সরল রেখার মত তোমায় দুচোখে চাওয়া
একমুখী মোহচ্ছন্নতায় সুদীর্ঘ অপেক্ষার
অনেকবার মরে যাওয়া -
এলোমেলো কথা সাজিয়ে
ভাবের মদিরায় এখন যে মেতে থাকা
অসমান দান প্রতিদানে না ডুবে
ভাসমান আবেগে ছোখের বালি হতেম না।





হয়ত তুমি এমনি

তোমায় ভুলতে পারার মন
বুঝতে চাওয়া প্রতিস্পর্ধী বিচার হয়ে
উপল‌দ্ধির নির্জন পথে চলতে চলতে
তোমাকে ছায়া সঙ্গী করে তুলবার প্রয়াস -
যা পেল এপর্যন্ত, পর্যাপ্ত তুমি শুধু তুমি।
সবি আরো কঠোর বাস্তব তুমির
অদেখা বিভৎস আত্ম কেন্দ্রিকতায়
তুমি বিষন্ন কুয়াশা চাদরে ঢেকেই গেলে,
আমার দিশাহীন ভবিতব্যের আলোচ্যে
দলছুট হরিণের মতো উদ্বিগ্নতা হয়েই
রয়েগেল তোমার কিছুকথা, 
তেমনি রয়ে গেলে বিবশতার ঘোরে
হয়ত তুমি এমনি, তুমির তুমিতে
আমি শুধুই খেয়ালি তুলির আঁচড়
যা তোমার বিশেষ ছবি আঁকা নেশা,
অচেনা প্রলাপ মনের তারুণ্যে গান হলো
গৃহহীন আমি পথের দুধারে অনামি ফুল পেলাম
তোমার নামাঙ্কিত সৌন্দর্য তাতে লেগে আছে
আত্ম সান্নিধ্যে তা মুগ্ধ করলো।





বিশেষ তুমিতে

সেটুকু রয়েগেল, জীবন জীবিত চর্চায়
যেখানে রঙহীন গৃহকোণে
শুভেচ্ছাহীন অনুরাগ এককোষী প্রাণী হয়ে
বুকের ভাষা উগরে দেয় আপন মনে।
তোমার আদলে বিরূপ আঁধার
স্বপ্ন খোচিত অক্ষিবিভ্রমে স্বপ্ন গেঁথে দিল
দিন যাপনের উড়ন্ত আঁচলে
বিশেষ তুমি আরো সম্পৃক্ত মায়া পেল
কাল্পনিক চতুর আলোমানুষ রূপে
মুষ্টিবদ্ধ প্রেম বিরাট শূন্যতা জুড়ে ছড়ালে,
অবশিষ্ট আমিতে সম্পর্কের উষ্ণ কণারা
প্রকৃষ্ট মরুদ্যানে মেঘে হবার উষ্মায় ডুবদিল।






কোথায় সে মন

কোথায় সে মন?
যেথা দৈনতা দীন চোখেই অশ্রু হয়,
আরো কিছুটা ভালোথাকার আহ্লাদ
ক্ষমতা লোভী বর্ণময় ওদের
শাণিত চোখে ধুলো হয়না।
কোথায় সে মন?
যে মনে ইচ্ছে মেঘ কুয়াশা হয়ে রয়
বৃষ্টির মত ঝরে পড়বার ইচ্ছায় -
সুপ্ত প্রতিশ্রুতিরা আশার বন্যা পাবে
নিবৃত্তি দুকুল তৃপ্ততায় ছাপিয়ে যাবে,
বাঁচন মৃত্তিকায় পলি আস্তরণ পড়বে
সব্বাই ভোরের পাখি হব
তার সুরে সুর মিলিয়ে গান বাঁধবো।
কোথায় সে মন?
যে মনে এ আমার সুখের অসুখ নিয়ে
তার নিদ্রাহীন রাত্তি প্রলাপ পাবে
তার সঞ্চিত অবকাশ আপনি আমার
প্রতিটি ভাষাহীন ইচ্ছের ভাষা হবে।





দৈর্ঘ্য প্রস্থহীন

নির্বিকার সংকল্পিত এক মোহ
ঘুম দেয়না, জাগতেও দেয়না -
কেন জানিনা মনেহয় সে বন্য
উদ্যত নখের প্রান্তে লেখা হিংস্রতায় ভরা।
ফুরিয়ে যাওয়া, হারিয়ে যাবার প্রহর গোনা
ঘড়ির টিক টিক প্রবাহের জলপ্রপাত
এক বিরাট শূণ্যতার গহ্বরে
বিনয়ী প্রদাহের শব্দনাদ, যা অর্থহীন।
কেউ আসবে, ডাকবে প্রাচীন নামে
আদরের অস্ফুট প্রতিশ্রুতিরা
খিল খিল হেসে উঠবে -
স্বপ্নের বারান্দা বাস্তবের উচ্ছ্বাস নিয়ে
আরেকটি ভিন্ন রূপক ফেনিল সমুদ্রে
প্রচ্ছন্ন দ্বীপের মত প্রকট হবে,
দৈর্ঘ্য প্রস্থহীন অস্তিত্ব অসীম আকাশের মত
হাসি আর হাসিতে অম্লান, অজেয় হবে।