মঙ্গলবার, ২১ মে, ২০১৯

শুভদীপ পাপলু


শুভদীপ পাপলু

ইহলোকে যেটুকু লেখা হবে

সুধী, প্রয়োজন; নরক গঠন, চিহ্ন ফুরোয় পোশাকি-
সিঁদুর লেগে গেলে অস্ত যায়, পথপ্রদর্শক

সাবেক ব্যথা দাও না ছলে, নগ্ন'ও ব্যথা, কৌসুঁলি’? 
পরমার্থে তাই, সবটুকুই মূক, জনগণনা?

বিদায় শাড়ি রক্তবসনা, পান্থশালার চোখ আঁকি
সেই দৃষ্টি নারকীয়, রাজসাক্ষী, আমার-ই।

প্রয়োজন; হও হেমলক বিষ, উল্কাপাতে শঙ্খচিল-
মনোভাব বদলে যায়, হত কার্বনে?

ছুতো-য় বুক ফলাফলে, বিনিময় দ্বারা যাব কি?
সুদূরেও কভু বাজে না তানপোড়া

শবর হবার মোক্ষ শুধু লাভ করেছে সাগর-ই...
বালুকাবেলা হে, ঢেউ মীমাংসার মরন গাঁথেনি।







উপমহাদেশ

শুধু তোমার পরাস্ত চোখ সরু দোঁহা-য় অনিবার্য।
মড়ক আগুন জ্বলেছে পলকে-বর্ধিত হল অভিধানে
গল্প যার ঘুম কেড়েছে, শত্রু কেন সে, পুঁজিস্বত্ত্বার?

অপ্রাপ্ত ঠোঁটে স্বল্প নরম, জমেনি রক্ত নিম্নচাপের
ভাসমান মেঘ সরেনি, তবু চাইলে, খাদ্য প্রাসঙ্গিক-
পাখি তো গুলি করেনি, তবু অত্যাধুনিক উপাচার্য।

প্রযত্নে আঁকি শকটচালক, আয়না দেখে বনভোজন
অণুচক্রিকা'র লিমেরিকে গ্রন্থি এখন জরাসন্ধ,
বিদ্রোহে যে ঘরে থেকেছে, আত্মা তাঁর, অমরত্বের।

পরকীয়া রূপ নালিশ যোগায়; একা হারায় বর্ণভেদ।
নিত্য-চিতার জন্মান্তরে, হে দিক, সবার ডাকবাহক...
যে মেয়েটা রোজ বস্ত্র হারায়, তাঁরই নাম, শরণার্থী?







না বলার আগে

সঞ্চালকের পরবর্তী আবেগ...

অনামিকা, ভুলে ফেলে দিয়েছে জংশনের প্রাধান্য-
বেমানান যানজটে।

যেদিন ইস্তেহার নেশার ঘোরে একতারা বাজাচ্ছিল,
শেষ ট্রেন ধরে ফেরিওয়ালা পৌঁছেছে শ্মশানঘাটে-

অলস মেঘ একসাথে খায়,  বৃষ্টি ছোঁড়ে মৌচাকে।
অন্ধের জামা,  খিদে ও ভোর পোড়ে আকাশস্লেটে-
দুশ্চিন্তায়...

শবরের জন্মভূমিতে ঝড়;  মেগালোম্যানিয়ায়।

অরণ্যে যাবে হয়ত কেউ,  যে রক্তে শুকোচ্ছে সুন্দরী-
বরফকঠিন চোখ, কাচে মহামারী।

প্রতিবিম্বের অশ্বক্ষুর...ঠাকুরে লুকিয়েছে কর্মফলে,
পা দাও অভ্যুত্থানের কাজে; মেয়ে বড় হয়েছে বলে!







না থাকা এক বন্ধু, তালিকা...

নদী-জলপথে মতামত পেশ করে-
নিরুপায়ে বোনো লোডশেডিংয়ের কলি,  
তবুও খড়মে পা ছোঁয়াওনি মৃদু স্বরে...
কবিতায় তুমি ছন্দের মতো, বাহুবলী।

প্রয়োজনে আজও স্বভাবে প্যারিস আঁকো,  
উঁচু কফি-কাপ ভেঙেচুরে সব দেখুক...
সাজিয়ে দিয়েছো কাউন্ট্রিসাইডের লেক-ও
রাষ্ট্রসংঘের, অবহেলিত নোটবুক।

যার একেকটি স্বরলিপিহীন, রেওয়াজ-
গানের উঠোনে গণসঙ্গীতের চেহারা,
তাঁর উড়ান কলকাতামুখী পাখোয়াজ...
শ্রীজাত'ই লিখো, বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া!







ভূতপূর্ব

সুমারি চেনে ইভ বা আদম,  কুমারি চেনে আবহাওয়া
মর্ত্য বিধি অমান্য হোতো যুদ্ধ করলে রাজাধিরাজ।

পদবী চেনে মহাদেব-শিব,  দুর্নাম চেনে হাইব্রিড রেট-
ধন্দ চেনে অ্যাসাইনমেন্ট’, ও নেই, তাই সে থাকবে।

ভাবছি, দোহাই দিচ্ছি ক্ষমায়,  ক্লান্তি চেনে প্রতিশব্দ-
গুণ-গুণিতক-গুণনীয়ক,  গণিতের ছাদে সূত্রের বশ।

কারণ হয়ত চোরা আর্টিস্ট,  কালির স্নানে হে মার্কেট
দুর্যোধন তো চোরাশিকারী,  মারবে প্রমাণ অনুভবে।

সাত জানে শুধু সমুদ্দুর,  বিপরীত মতে রোগ ধাইছে-
প্রভাব জানে হত্যার ব্যথা,  সাতসকালে, অনেকাংশে।

উৎসব দ্বারা কাজল তুমি, আঁকছি চোখে, স্বার্থপর-
মৃত্যু এক মাকড়সার জাল, ছাই হওয়ার কারুকার্য।