মঙ্গলবার, ২১ মে, ২০১৯

গৌতম কুমার গুপ্ত


গৌতম কুমার গুপ্ত

স্মরণিকা

তুই কি দেখিস কখনো সখনো তোকে
চোখের কাগজে আছে তোর কিছু লেখা
বিপরীতে কোন চোখ নেই যদি তোর
বাতাসে টানিস হিজিবিজি কিছু রেখা

একা একা গুনিস আকাশের কিছু তারা
স্মৃতিরা গোপন কথাগুলি অবকাশে
ভাবনা বেঁধেছিস ডানায় হৃদয় সত্তা দূরে
টের পেলি তোর পালকের ব্যথা বাতাসে?

আজ তবে মুলতবি থাক কথাগুলি একা একা
শ্রাব্য দৃশ্য গাঁথা থাক তোর একান্ত স্মরণিকা







ঐকতান

জোনাকি নয় শুধু,
উঠোনের তুলসীতলায় ফিরেছে শ্বাশ্বত সন্ধ্যা।
দুই করকমলে প্রদীপ,
অবগুন্ঠিতায় ভেসেছে ক্ষণিকের আলো,
লাল পাড় শাড়ির গহনায় মা বেজে আছে বুকে।




যেটুকু পাপ মিথ্যাভাষণ ঠকানোর চাতুরি ধুয়ে গেল
আজ বিধৃত কলসে।
আরত্রিক দৈবমোহে মুছে গেল
চন্দন সুভাষিত প্রতিবন্ধ বৈকল্য।
সান্ধ্য সারল্যে ফুটল আজ জ্যাৎস্নাফেননিভ।




মোহমুগ্ধ থাকি চরাচরে,
প্রণীত হই উচ্চারণে গেঁথে দিই
বুকের নর্ম আগুন
আমার প্রদাহ পত্র- পুষ্প- খচিত
দগ্ধ রোষানলে।
এই মুহূর্ত চাক্ষুষ করি আজ সুগন্ধী
-শুদ্ধ-মর্মবিদারে।




ঋত্বিক ব্রতে আমার অযাজ্ঞিক সারল্য
শুদ্ধোধনে ফিরেছে আজ।
পৌরোহিত্যে ব্রত রেখেছি
তৎসম ওম্ সম্ভাবনায়।
হোক পুরাণবিদ্ধ প্রাচীন প্রাক্ তবু
এখনো সাঁঝবাতিটি জ্বলে ওঠে ঋক সাম্যে।







বি বা হ

এখনো মনের মধ্যে বিবাহ বেঁধে রাখি
সমৃদ্ধ অতীতের সহজ সানাই
দখিনা বাতাসের দোলা বিবাহের যাত্রাপথ
দূরে বাজে মিহি গান ছড়ায় উৎসব

আসমানী বেনারসী পান পাতা মুখ
রঞ্জিত ঠোঁটে আনত চোখে তুমি সেই
আমাকে এখনও বিবাহে জাগিয়ে রাখে

শরীরে বেঁধেছে অলস কামনা আজ
চোখ তুলে দেখি কথামুখ অটুট বন্ধন
রূপ- বর্ণ -গন্ধে শরীরে ভাসে মৃদু তান
একদা তরুণ বিবাহে আজো অমৃত প্রাণ