শুক্রবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

সুকান্ত মজুমদার


সুকান্ত মজুমদার

নির্ঝরে

আজ উল্লসিত স্ববিরোধী আমির
হঠাৎ স্বঘোষিত শ্রাবণ রেখা
অবিচ্ছেদ্য তোমার বৃষ্টি আস্তরণ।
মেঘেদের উদ্ধৃত কান্না
নিঃসৃত অনেক না বলা অন্ধকার -
মুখশ্রির রহস্য অন্তরাল
দিয়ে যায় একাকিত্ব ঘোলাটে সায়াহ্ন
বিবিধ উত্তরণে ব্যর্থ প্রয়াসী রাত চুমি
আমিতে সমর্পিত ঝুম ঝুম নির্ঝর
তটিনীর যৌবন অবসাদ প্লাবনভূমি।
             






ধৌত অবসাদ

টুপটাপ শব্দ নিনাদ
সে বিশেষ পদস্খলন ধুয়ে যায়
মনময় অগোছালো স্মৃতিদের জটলা
উচ্ছ্বসিত আদিম বৃষ্টির
যৌবনে দুজনের ধৌত অবসাদ,
নাভেজার ছলে আরো কিছুটা
জল শরীরে একরোখা স্রোত সম্ভাষণ।
তখনের অন্ধ এক টুকরো পৃথিবী
ইচ্ছে পাখির ভেজা ডানায় যন্ত্রণা
মাস্তুুল বিহীন জলযান হয়ে ভেসেছিলাম
আজোও অঝোরে ইচ্ছা তেমনি
দমকা মতি হয়ে উবচে ওঠে অমনি।

       




দৃষ্টি সুখে

যতনা যাতনা দিয়েছ
তোমার জল কলেবর মুখরদিনে
নিয়েছি কুড়িয়ে নাবোঝা সন্ধ্যাটিরে
মেখেছি অকাতরে দৃষ্টি সুখ
সামনের স্বঘোষিত আবছা ভাষায়
শত স্বপ্নের শাপলা শালুক হয়ে ফুটি
সে নিবেদিত তিক্ততার জলাশয়ে
হারানো আবেশ মাখা শ্রাবণ অর্ঘ্যে।
          
             





সুখ মন্থনে

ভীষণ বৈরাগী রাগে পতিত ধারা
তোমার নিকট স্থলভাগ ছুয়ে
সুখ মন্থনে পদ সঞ্চালন আস্কারা চায়
ছোট্ট ভুলের হাতধরে প্রতিবার
বারংবার নিছকি আছিলায়।
যে রঙ বৃষ্টি মন্দ্রিত নিবিড় সবুজ
সে রঙ বাহিত সৃষ্টির কানাঘুসো
প্রদীপ নেভা ভোর মৃত কাকলি
দুটি অবলুপ্ত মনে একগুচ্ছ পথরেখা
বাদল বনে ভাষাহীন কথাকলি।

       





সেই ছবি

সে  আলোনেভা ইচ্ছে
ঘরময় ছড়িয়ে আলোহীন
এক নামাঙ্কিত অক্ষর অনাবিষ্কৃত -
সারাদিন অবিরাম ধৌতসার ছবি
তুমি সেই তবু তেমনি অবিকৃত,
কাদামাখা পথ মন্থর চলন সবি
অদম্য প্রয়াস ভুলের দাবানল নেভানো
মৃতপ্রায় কান্না মেশানো বৃষ্টি তখনো
জটিল ইচ্ছে বাতায়নে বুঝে না ওঠার
মুগ্ধ নির্বাক দৃষ্টি শ্রাবণ দুয়ারে -
ঘোলাটে অতিত এক্ষণে অবিরাম
তুমি আছ বিরাট বিহারে।






ঝুম ঝুম নির্ঝরে
             
                * ১ *
                
আজ উল্লসিত স্ববিরোধী আমির
হঠাৎ স্বঘোষিত শ্রাবণ রেখা
অবিচ্ছেদ্য তোমার বৃষ্টি আস্তরণ।
মেঘেদের উদ্ধৃত কান্না
নিঃসৃত অনেক না বলা অন্ধকার -
মুখশ্রির রহস্য অন্তরালে
বিবিধ উত্তরণে ব্যর্থ প্রয়াসী রাত
আমিতে সমর্পিত ঝুম ঝুম নির্ঝর।
             
                  *  ২ *

টুপটাপ শব্দ নিনাদে
সে বিশেষ পদস্খলন ধুয়ে যায়
মনময় অগোছালো স্মৃতিদের জটলা
উচ্ছ্বসিত আদিম বৃষ্টির
যৌবনে দুজনের ধৌত অবসাদ,
নাভেজার ছলে আরো কিছুটা
জল শরীরে একরোখা স্রোত সম্ভাষণ।
তখনের অন্ধ এক টুকরো পৃথিবী
ইচ্ছে পাখির ভেজা ডানায় যন্ত্রণা
মাস্তুুল বিহীন জলযান হয়ে ভেসেছিলাম
আজোও অঝোরে ইচ্ছা তেমনি
দমকা মতি হয়ে উবচে ওঠে অমনি।

                 *৩*

যতনা যাতনা দিয়েছ
তোমার জল কলেবর মুখরদিনে
নিয়েছি কুড়িয়ে নাবোঝা সন্ধ্যাটিরে
মেখেছি অকাতরে দৃষ্টি সুখ
সামনের স্বঘোষিত আবছা ভাষায়
শত স্বপ্নের শাপলা শালুক হয়ে ফুটি
সে নিবেদিত তিক্ততার জলাশয়ে
হারানো আবেশ মাখা শ্রাবণ অর্ঘ্যে।
           
               *৪*

ভীষণ বৈরাগী রাগে পতিত ধারা
তোমার নিকট স্থলভাগ ছুয়ে
সুখ মন্থনে পদ সঞ্চালন আস্কারা চায়
ছোট্ট ভুলের হাতধরে প্রতিবার
বারংবার নিছকি আছিলায়।
যে রঙ বৃষ্টি মন্দ্রিত নিবিড় সবুজ
সে রঙ বাহিত সৃষ্টির কানাঘুসো
প্রদীপ নেভা ভোর মৃত কাকলি
দুটি অবলুপ্ত মনে একগুচ্ছ পথরেখা
বাদল বনে ভাষাহীন কথাকলি।

                 *৫*

সে  আলোনেভা ইচ্ছে
ঘরময় ছড়িয়ে আলোহীন
এক নামাঙ্কিত অক্ষর অনাবিষ্কৃত -
সারাদিন অবিরাম ধৌতসার ছবি
তুমি সেই তবু তেমনি অবিকৃত,
কাদামাখা পথ মন্থর চলন সবি
অদম্য প্রয়াস ভুলের দাবানল নেভানো
মৃতপ্রায় কান্না মেশানো বৃষ্টি তখনো
জটিল ইচ্ছে বাতায়নে বুঝে না ওঠার
মুগ্ধ নির্বাক দৃষ্টি শ্রাবণ দুয়ারে
ঘোলাটে অতিত এক্ষণে অবিরাম
তুমি এসেছ বিরাট বিহারে।