শুক্রবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

শোভন মণ্ডল


শোভন মণ্ডল

নিশানা

এইমাত্র ধোঁয়া উঠলো

কয়েকটা সদ্যজাত লাশ এখানে ওখানে শায়িত
বারুদ ভেসে যাচ্ছে পরোয়ানা নিয়ে

ক্রমশ ঘুরে যাচ্ছে নিশানা

অবাক হয়ে দেখছি
আমার প্রিয় বন্দুক আমার দিকে তাক করে আছে

যদিও ওর ট্রিগার নিজের আয়ত্তে নেই

  





রেললাইন

এর কোন স্থান মাহাত্ম্য নেই
বিশ্বাস করতে করতে হারিয়ে যায় আগুন-প্রলাপ
তীব্র বিরহে নজরবন্দি হয়ে যায় মন

এসবের মধ্যেও যে  মুগ্ধতা থাকে তাকেও সঙ্গে নিয়ে চলো
এগিয়ে যাচ্ছো রিক্তহাতে
উন্মুক্ত মন আর খোলা জানালায়
উঁকি মারে তোমাদের ফেলে আসা গল্প
এরপর চোখে যদি লেগে যায় আজন্ম শ্বাস
জায়গা রেখোনা,  ভুল বোঝাবুঝির

মনে হয় এভাবেই এভাবেই
দু'জনে হেঁটে যাচ্ছো রেললাইন ধরে

তোমাদের বিশ্বাস এই দুটি লাইন
একদিন মিলে যাবে অসীম দিগন্তে

 




সিদ্ধান্ত

যে মানুষটা আমাদের আর জ্বালাবেনা
আমাদের দক্ষতা নিয়ে অযথা আর প্রশ্ন তুলবেনা
সন্দেহ করবেনা কোন মতেই
তাকে আপন ভেবে নিজেকে বিলোতে পারো

যদি তা না পারো
তবে আবার শুরু হোক ভুল বোঝাবুঝি
           





খেলা শেষ হলে

ব্লটিং পেপারের মতো শুষে নিচ্ছি সমস্ত 
উত্তাপ, আগুন, মৃতরেখা
ঘুরে যাচ্ছে হাওয়া- মোরগ আর তীরের ফলা
বিস্ময় জড়ায়
শীতলপাটির এক কোণে জড়োসড়ো ঘুমন্ত বিড়াল
পিঁপড়ের ঢিপি থেকে বেরিয়ে পড়েছে মিছিল
তপস্যা শেষ হয়ে আসছে
যে রুদ্ধশ্বাস গল্পের শুরু হয়েছিল
শেষের পথে। ধোঁয়া উড়ছে।
জুড়িয়ে আসছে চাঁদের গন্ধ, মাকড়সার লালা
একটা সার্কাসের ক্লাউন অপেক্ষা করছে হাততালির জন্য

খেলা শেষ হলে আমরা সবাই
নিঃশব্দে ঢুকে পড়ছি যেযার নিজের ভেতরে






একটা সম্পর্ক

সবটা এভাবেই ভেবে যেতে পারো

একটা সম্পর্কের গা ঘেঁষে
দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে
একদিন আলো হয়ে উঠছে শরীর
উষ্ণতা ছড়িয়ে দিলাম

খোলা বারান্দায় ঝড় থামে
তোমাকে শুনিয়েছি খোলা জানালার গল্প

বিষন্ন নখের চারপাশে ঘেরা থাকে আগুন
জানি
তুমি শুধু বলছো হরমোন,  হরমোন
কিন্তু তাই যদি হয়
তাহলে মন ?




        

রুমাল
         
ট্রামের সিটে রুমাল রেখে গেছে কে  !

এভাবে যে সম্পর্কের শুরু হয়েছে
যেভাবে ছুঁয়ে গেছে মন
সে তো বাদামের খোসার মতো উড়ে গেছে কবে

শুধু পুরনো রুমাল এখনও তোলা আছে ওয়ার্ড্রোবে