শুক্রবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়


জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়

ক্যাকটাস ফুল  
 
মরুর নির্দয় প্রাণে তটিনীর ঢেউ
বাঁচার রসদ আর উত্তাপ অমরত্ব
অনেক না- এর আবর্তে দৃঢ় প্রত্যয়
অষ্টাবক্র শরীর জুড়ে গ্রিক ভাস্কর্য
বেশ আছো মুগ্ধ চোখে রঙের আশ্লেষ।
মরুর প্লাবনকথা মৌমাছি জানে
অনিন্দ্য রূপে সাজো অমরকুসুম।







এবং রক্তবীজ

রক্তবীজের রেণু আকাশে উড়লে
অদ্ভুত উৎকণ্ঠায় কণ্টকিত হই
তোমার জন্য।ওই ত্বক ফুসফুস
কণ্ঠনালি আমার বড়ো প্রিয়
অ্যালার্জি কি প্রবল প্রাচীর নয়!
মার্কণ্ডেয় চোখে দেখি চণ্ডিকা -বারাহী-
চামুণ্ডার মুখ,ভরসা দেখি না।

আসলে পার্থেনিয়াম সেই
রক্তবীজের চেয়ে অনেক বেশি প্রাণময়।
 






জাল   

এক একটা নির্দয় বিকেল
চাবুকের পর চাবুক মারতে থাকে
স্মৃতিগুলো গুলির শব্দ পাওয়া
পাখির মতো টা - টা......
দূরের মুখগুলি না ছোঁয়া অ্যালবাম
অনুত্তীর্ণ বাসনারা বাতিল ব্যবধায়ক
হয়ে দুর্গন্ধ নর্দমায়
কামনার দুর্মর ছবি বিক্ষত মানবিক জালে
বেশ গলে যায়
দুষ্প্রাপ্য রূপখণ্ড রুপালি মাছের মতো চঞ্চল.....








সেই মুখের জন্য

যে মুখের জয় শুনি সবখানে
তেমন একটা মুখের জন্য বাতাসকে করেছি বন্ধু
মাথায় গেরুয়া পালক দুপায়ে পক্ষীরাজের ডানা
অলৌকিক সন্ধানের গান বেঁধে ফিরি চারদিক
যে মুখ দেয় নি প্রকৃতি বা জিনগত সজ্জাশৃঙ্খল
তার খোঁজে অন করি জি পি এস রেডার স্ক্যানার
পর্দার ঝিকমিক বলে ছবি ডিলিটেড
বিবিধ তরঙ্গদৈর্ঘ্যে কাটাকুটি কোনো এক মুখের বিন্যাস।








আপতন কোণে

মরুঝড়ে উট হয়ে মুখ ঢাকা বালির পাথারে
তোমার বাগানে জানি দোল খায় বেলশাখা
মন্দবাতাসে।বৃষ্টির কী নাম দাও জানি না।
বুক কাঁপানো মুখের অ্যালবামে ভরে রাখো
প্রিয় ব্যথাহর রঙের সোহাগ।ব্যাবধান গিলে নাও
রাক্ষসীমায়া।যন্ত্রণার আধারে ছড়াও
অলৌকিক মায়াটান
নিয়ন্ত্রকের তির্যক দৃষ্টির আপতন কোণ বরাবর।