বৃহস্পতিবার, ২১ এপ্রিল, ২০১৬

মলয় রায়চৌধুরী




মলয় রায়চৌধুরী
সপ্তফণ

যে-মুখে হাসি ছড়িয়ে পড়ে না
এমনই একজন সেদিন গোরস্হানে বল্লে
ঘৃণা করতে পারি এমন-কিছু দিন দিকিনি
যাতে বেতো-শকুনদের অবসরপ্রাপ্ত বাসা থেকে
ফেলে-দেয়া জব্বর প্রশংসাগুলো কুড়োতে না হয়






মলয় রায়চৌধুরী
ভদ্রপাল

চিঁটির হোঁচট খেয়ে যে-পাথর গড়িয়ে গড়িয়ে
মনোমজাদার ওঁর আধাফিল্মি ছমকছল্লো সুর---
যেন গড়াচ্ছে গড়াক শালা অসমমাত্রিক ধাক্কা পোয়াবার শেষে
থামবে চৌচপাট ক্যারদানি-চিত্তির কোনো হাফবাচনিক মহাফেজে
মাকড়সাথুতুর ছড়া লিভ-ইন গাঁটে বেঁধে বেঁধে
ঘুষি খাওয়া ত্যাবড়ানো ভুরু তুলে দেখবেন
খুড়ো তো মিচকেমারা দিবাচর শালিগ্রাম-শিলা






মলয় রায়চৌধুরী
পাল্প ফিকশান

যে-ভাষায় বাণিজ্য হয় না শুধু পদ্য লেখা যায়
সে-ভাষায় কথা বলে-বলে ক্লান্ত জিভ নাড়িয়ে
কুয়াশায় সাঁতরে-আসা রিকশাটাকে যখন ডাকলুম
দেখলুম তার হলুদ গায়ে কালো অক্ষরে লেখা
যে লেখে বিস্তর মিছা সে লেখে বিস্তর






মলয় রায়চৌধুরী
লেটারবক্স পাড়ায় পশ্চিমবঙ্গ

আমাদের পাড়ার রাস্তাটার
এমন পালাই পালাই ভাব যে
আদ্দামড়া স্হাপত্যের বাড়িগুলো
থিতিয়ে-আসা চাঁদের আলোয়
তিক্ততার নান্দনিক আনন্দে ভোগে
ইদিক-উদিক শেকলবাঁধা ছায়ায়
যে-লোকগুলো আরাম ফিরি করে
তারা যে গাছতলায় বসে চা খায়
সে-গাছ শেকড়ের দোষে নাচতে পারল না
তাই আঁটে না এমন জামাপ্যাণ্ট পরে
যখন বৃষ্টির কুচোকাচা দলবল দৌড়োয়
পালাতে পথ পায় না পাড়ার রাস্তাটা






মলয় রায়চৌধুরী
ইকড়ি মিকড়ি চাম চিকড়ি

চারিদিকে হিজিবিজি স্পষ্টবাক বোবাদের গেঁড়িচোখ ভিড়ে
কে যে পরশ্রমজীবি নয়, সত্যি বলতে, টের পাওয়া যেত যদি
ঝড়েদের ল্যাজ ধরে বৃষ্টিতে ঝুলে তারা পিঁড়ি ছেড়ে-ওঠা
বরেদের পাঁয়তাড়া ফ্রাই-করা প্রজন্মের বৈদ্যুতিন পুং
নেমন্তন্ন পাওয়া মাত্র পত্রপাঠ ছিড়ে ফেলা আনন্দে ভোগে--
তা ভুগুক ক্ষতি নেই । ডানার খাপে-খাপে যে-মস্তি লুকিয়ে রয়েছে
নিজেই গলার স্বরে প্রতিধ্বনি সেজে তা তো বেমালুম হাওয়া
তাদের আঙুল নোংরা বরফের কোমল মোবিলে
তাহলে কাদের থাকে নখদর্পণের মতো মাথামোটা চিজ
বলো দিকি ? হ্যাঁ, ঠিক । টিভি না থাকলে শ্যালে টেনে নিয়ে যেতো ।