বৃহস্পতিবার, ২১ এপ্রিল, ২০১৬

সুকুমার চৌধুরী




সুকুমার চৌধুরী
ডাকযোগ

অনুচ্চারটুকু বুঝি । হঠাৎ বৃষ্টির তোড়ে
ডাকটিকিটহীন কাউন্টারের সজল শূন্যতা্টুকু বুঝি ।
বুঝি রাত । পোষ্টাফিসের ঘুম । নিরবতাটুকু ।
খাম ও টিকিটের মতো উড়ে উড়ে নামি । বেপথু পাতার
মতো নামি । নিভৃতি-পাগল । আমাদের
বৃষ্টিভয় অনিবার্য ছিলো

আজ এই দুর্যোগের রাতে
অফিসফেরৎ
একটু আঁঠার জন্য, খাম ও টিকেট
দু-জনেই বাড়িয়ে দিয়েছি হাত
অঝোরধারায়





সুকুমার চৌধুরী
ডেঁয়োপিপড়ে

ওই চিরায়ত ভঙ্গিমায় একটা প্রগাঢ় আঁচড়
               দিতে চেয়েছিলাম আমি
ওই প্রাচীন বল্কল ছিঁড়ে নগ্নহিম অবয়বে
               ছুড়ে দিয়েছিলাম আজানু মসলিন

ওই আদিম উদ্ভাস থেকে তাকে
থিতু কোরতে চেয়েছিলাম একটা আনকোরা আদলে
শুদ্ধ প্রত্যয় ছিলো আমার কন্ঠস্বরে, অঙ্গিকার

আর তাই ডেঁয়োপিপড়ের মতো পিলপিল কোরে দ্যাখো
এখনো হেঁটে যাচ্ছে আমার
            শ্রম, শান্তি, মেধা ও মনন.........  







সুকুমার চৌধুরী
মর্চে-বাদাড়

দ্রুতি কি উদাস । তার উলঙ্গ উড়ালে
যে সব মেঘের দেশে নেমে আসে মর্চে-বাদাড়,

তারা সব অগোচরে বেড়ে ওঠে । তাদের
সবুজ জিভ নীল হোয়ে থাকে অভিমানে ।

দ্রুতি কি ফেরে ? হয়তো বা !
বিশ্ব কেন গোলাকার তবে ।

কেন সব মর্চে-বাদাড় থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে
গাঙ্গেয় সবুজ এসে চেপে ধরে দিগ্বিজয়ী ডানা







সুকুমার চৌধুরী  
গভীরতা

গভীরে গভীরে গেলে অসন্তোষ, নিগূঢ় সন্ন্যাস
গভীরে গভীরে গেলে ভয়ঙ্কর বীক্ষণের আাঁচ

সমুদ্রে ভেসেছে উই, ক্রুদ্ধ চাপা উই
তবে কি আকাশ ভালো, তিন কাঠা নিরুত্তাপ ভুঁই






সুকুমার চৌধুরী
পরিত্রান

তুলে ধরি যাপন । অন্য কোন পরিত্রান নেই ।
সাম্যতা কি কোনদিন হয় । হয়েছিল । দাঁতে দাঁতে চেপে
সংসার নামের এক অজর মানবী চেয়েছিল নিরুদ্বেগ ।
তার দুধে ভাতে আজ মাছি হয়ে বসি । চেটে চেটে
তুলি পরিত্রান । যাপনের মেধ ও মল্লার ।

আর কোন শিল্প নেই । কোন স্বেদ গান