বুধবার, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮

দেবযানী বসু


দেবযানী বসু


১. গন্তব্য এসে ফিরে যায়। জারিকেনে মহুয়ার উচ্ছাস।  ডাকনাম ভুলে যাওয়া চুমু। ছো: ছো: উড়োপাখি সংবাদ। জেমস এর প‍্যাকেট খুলে উড়ে যায় কোকিল। হাঁটাপথে হঠাৎ রিক্সা আসে। বিভোর চাকায় ঘুরি। জিপখোলা পথ পিছল করে কৃষ্ণচূড়া। বাবা মোস্তফার শুরু ও সারা গলায়। স্বরের তানবিতান।






২. মাথার উপর মহুয়ার হযবরল। ঠিকরে ওঠা পলাশের চক্ষুচাউনি। শালবনের সাক্ষী মোবাইল হারিয়ে যায়। জলিবয় গগলস। জড়ায় বুকে প্রেমিকার বান্ধবী। মারকিউরোক্রোম ওয়ান পার্সেন্ট বসন্ত মঁ মঁ করে। অপ্রস্তুত আগুনে সেঁকে নিই তিনটে ফাইভ।






৩. গোদাপিয়া শালের হুল্লোড় ফেনা। কাঁধে করে দু চার কিমি বয়ে আনি জীয়ন মরণ জল। হ‍্যারিপটার জ্বর লাগে দোলনিমগাছে। ঝরে পড়ে প্রতিটি মিসডকল এর প্রতিশোধ। সিঁথিতে জ‍্যোৎস্নাআবির। আমাকে ছোঁবার আগে দোলরঙে মেশে পরীক্ষামূলক কবিতা।






৪. গলাচেরা কোকিলের শানানো নখ। কান্নার মিসমেরিজম। টাঁড়বন হাঁকে শিলাজিৎ ধুন। ঘুমন্ত ঢোল নেংটি ইঁদুরের আদরে। গা মুচড়ে আসে ঋতু রাঙানো রক্ত। নাভিতে লুকোই এ বনের সিসিটিভি‌। মন হারালেও বাসন্তী বন হারানো সি মেজর অপরাধ।






৫. কুঁজো পিঠ খেলাস্তরে ঠেকেছে। বউবউলের ঝুরি নামা বুক। বাতাসে কাটা ঘুড়ির আবেগ লেগেনাম ডেকে ফিরে যায়। গলায় লুকোচুরি হাসি। গ্ৰুপ ছবি ভেঙে খুব নৃত‍্যনাট‍্য। গলা অব্দি ফাল্গুনী। প্রিয়ালতম। সব দীর্ঘ নিঃশ্বাস প্রোফাইল ছবির।