মঙ্গলবার, ২১ নভেম্বর, ২০১৭

পৃথা রায় চৌধুরী



পৃথা রায় চৌধুরী

থেকে যাওয়া

ধারা পেরিয়ে এপার ওপার আলগা ছোঁয়া
গরাদ বেয়ে হাতে নেমে আসে অভিমান
কাদায় ওড়না পড়ার ইস্‌-এর অছিলায়
আড়ালপ্রণাম।


আজও কেউ আসেনি লিখেছো রোজ
ওপার থেকে স্পর্শ করেনি কেউ
তোমার মেঘলা মরুভূমি
তোমার মনে মেঘের খবর রাখি


মেঘেরা বৃষ্টি পাঠায় অন্যমনে এখন জানি
তোমার অনাবিল হাসিতে পড়ে ফেলি
ঠিক কতটা খারাপ আছো


কেমন আছি?






অ-বোধ

এখন চাঁদ দেখা যায় না
বৃষ্টিতে আমার শব্দেরা ছিঁড়েখুঁড়ে অক্ষর
কিভাবে নিজের কষ্ট লিখেছো নষ্ট পাতায়...
শেখাবে?


অন্ধত্বের আলাদা অহংকার হয়
ওরা জানে না
ওরা কৃষ্ণ আলো না বুঝে ব্যঙ্গ করে,
কেড়ে নিতে চায় যষ্টি


ওই ওরা শুধায়, তুমি কেন... তোমারি কেন?
ওই ওদের টিপটিপ ফিসফিসে আবছা শীলপত্র


জলসই রাতেদের ভিড়ে
তোমার যাপন মেখে থাকি...
বেড়ে চলে মেঘ ভাঙ্গা অট্টহাস।






ব্যবচ্ছেদ

যখন হঠাৎ কোনো আণবিক মেঘ
বয়ে আনে আমার শোকগাথা
বৈদ্যুতিক চুল্লি সহবাসে
নির্লজ্জ গেয়ে যাই,
বরফশীতল আত্মকথা...


যদি সব শেষে দেখা যায়
পড়ে আছে কিছু শ্বেতরক্ত কুচি
খুঁজেও যদি ব্ল্যাকবক্স থাকে
সন্ধান চাই-এর দলে,
রক্তাল্পতার নাম রেখো অশুচি।


অঙ্গার মুঠি নিঃশেষ হতে হতে
ক্রমান্বয়ে সাজানো থাকে
ঝুলবারান্দা ভর্তি ম্লেচ্ছ রজনীগন্ধা।







অন্ত্যেষ্টিকালীন

তারপর ইস্পাতও লজ্জায় লাল হল
অ-জীবন তোমাকে ছুটতে দেখে প্রাণপণ


সরে যাও, জায়গা দাও একটু ঠিক তোমার পাশে
লুটিয়ে পড়ে দেখি, মানবতা কোন বেজন্মার নাম;


কার হাবুডুবু প্রেমিক, কার হবু পিতা, ভাই
কবর বা চিতা অথবা নৃশংসতায় শুধু তাদের
অবগাহন কিংবা অতিপ্রাকৃত রমণ।






মন-জমিন

প্রথম ডাকে নিরুপায় উপেক্ষা
তবু ভবিতব্য কথা বলে


হাত ছুঁয়ে স্মৃতি হয়ে যাওয়া
এভাবেই ছাই, বিসর্জন এভাবেই
এভাবেই পুড়ে যাওয়া নিরন্তর
হিমরাত্রি বরফ আগুনে


একবার ডেকো আমার নাম ধরে,
আমি চলে গেলে...