মঙ্গলবার, ২১ নভেম্বর, ২০১৭

পারমিতা চক্রবর্ত্তী



  পারমিতা চক্রবর্ত্তী

ছোড় আয়ে হ্যাম ও গলিয়া


দেখি এ পথের শেষে ঘুরে বেড়ায় কত পথ দোয়েল , ফিঙে , মুনিয়া দাঁড়িয়ে
থাকে
আকাশের সন্ধ্যাতারা বলে কয়েকমিনিট আর কয়েক মিনিট

বড়ো অসময়ে এলি ...

দ্যাখো অগ্নিসাক্ষী করা খই কেমন চোখ বুজে আছে

কিছুটা সাবান মেখে নিলে কপালের লালচে রঙ ঘোলাটে হয়ে যায়
পদ্মকলির চোখের জল শুধু জল
আর জলটুকু নিয়ে বাঁচে

তবু পথ আর বেড়ে চলে





২)

দুবিঘা জমির মাঝে মাঝে লাগাও পেঁপে ও পেয়ারা গাছ
হে পাথুরে রুটির দেশ ,
এসে ধরো টেলিফোন
হেসে বলো
দেখো !
ওই যে জলমগ্ন জাহাজে জ্বলে আছে
গ্রানাইটের প্রদীপ

রাস্তায় ধারে ধারে বসে বুভুক্ষু জীব
নির্দয় নখরের রাজত্বে ক্ষুধা স্বাধীন
দেখো দেখো বৃষ্টি এল
তোমার গায়ে চাদরটি পর্যন্ত নেই ...

হে প্রিয় শহর তুমি কি মনে রাখো
কেঁপে ওঠা মানুষের কথা
তুমি তখনও ব্যস্ত অন্তর্জাল কিংবা তোমার প্রেমিকার ঠোঁট নিয়ে

সব কথা শেষ হয়ে গেছে ...
প্রলাপ ভেবে ভুলে যেও
শুধু
পাথুরে আলোয় পোড়ারুটিটুকু রেখো
আমার ...





৩)

গম্ভীর রক্তের মধ্যে চলাচল করে ডাকটিকিট
ডাক অার টিকিটের মাঝে যা কিছু দূরত্ব
তাকে গোল করে ঘুরতে দেখি পোস্টঅফিসে ...

আমার কোন ডাক নেই ...
আমার ঈশ্বর যে দিন চেযার ছেড়ে মাটিতে বসবে সেদিন ডাকটিকিট পৌছবে...

আজও পাহারায় পোস্টঅফিসে





৪)

এ বর্ষার রাতে কলকাতায় চলে অজস্র ট্রাম
এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে

আমি যাব দেশলাইয়ের দেশে
তোমাকে লেখা ভেজা চিঠি শুকোবে
আগুনে

আমাকে দেওয়া যত তাচ্ছিল্য পড়ে
থাকে নির্বোধ টেবিলে
এখানে ওখানে

দরকার এক কালো মোমবাতি'

জ্বালিয়ে নাও ! যতটা পুড়বে তার থেকে পোড়াবে ...
অন্তিম ঝুলে থাকবে দেবদারু গাছে
থাকবে পোড়া সলতেটুকু






মনখারাপি শব্দগুলো ভেসে বেড়ায় মেঘেদের উঠোন জুড়ে
এক পা দু পা করে শূন্য হয় রাতের চোয়াল
আলাপি আলনায় রাখা জামাকাপড় একটা
একটা করে নিশ্চিহ্ন হয়

তারাদের গ্রামাফোনে বাজে
এক মোহব্বত মে কুরবান হাজারো সাল

দুসরি মেরি ইমতিহান