মঙ্গলবার, ২১ নভেম্বর, ২০১৭

মিজান ভূইয়া



মিজান ভূইয়া


চক্ষু বদল

সুন্দর হেমন্ত
অন্তরের গান বাজে ফসলের মাঠে
ফুল ফোটে
সোনালী কণ্ঠে ডাকে পাখি
আমি একা একা তোমাকে আঁকি
চাঁদ আঁকি
কতো যে মায়া লাগে ভোরের নদী
চোখের কুয়াশাগুলো ভালো লাগে
শাপলাফুল ভালো লাগে
হিম হিম শীত জ্বলে গাছের পাতায়
শিশুদের হাতে থাকে মুঠো মুঠো আলো
পায়ে পায়ে নাচে শরৎ-হেমন্ত
তখন তুমি আমি কাশবনের দিকে যাই
মায়াময় এক বিকেলে দিকে যাই
চক্ষু বদল করি
তোমার চোখে আমি পৃথিবী দেখি
আমার চোখে তুমি সূর্যাস্ত...........!






চোখের প্রহর

আমিতো
আকাশ এঁকে এঁকে
মুছে ফেলেছি
বই পড়া বিকেলের গল্প
হাতে তুলি নেবো বলে
এলোমেলো রেখেছি মাথার
চুল
চোখের প্রহর দেখে থেমে
গেছি,
দেখেছি নগরযুদ্ধ
যদিও
হাতের দু'পাশে এসে ঘুরে
গেছে
সময়!
বলা যায়, যৌথ জীবনে এতো যে
আঁধার
সেও এক বিস্ময়!






এক ফোঁটা কবি

খুব একা দুটি পাথর দুই কক্ষে  কথা বলে।
ছাদে লাফায় কাক।
দূরে কোথাও জল ডাকে।
মাটি ও দোয়েল ডাকে!
আমার শিমুল বুকে বসে আছে
আকাশ
চাঁদ,
আলো ও অন্ধকার!
আমি এক ফোঁটা দুই ফোঁটা কবি হয়ে ছবি আঁকি।
নদী ও ডানা আঁকি।






স্মৃতিরক্ষা

ছায়া বদলের গানে
কান পেতে থাকে কিছু পাখি কিছু আগুন
টুকরো টুকরো হয়ে যায় দু'চোখের দৃষ্টি
শৈশব কাটে পুতুল অভিমানে
সেলাই করা আকাশে সন্ধ্যা নামে, মন্দিরে তখন
অন্য পূজো হয়
হাতে আঁকা ছবিগুলো
নির্জনতা পোহায়
পৃষ্ঠা উল্টালে পাহাড় অপর পৃষ্ঠায় নদী
কোন কোন পৃষ্ঠায় বন্ধুর মুখ এসে গোপনে দাঁড়ায়
কেউ কেউ গাছ কাটে
গাছের নামে কিছু স্মৃতিরক্ষা হয়।






জলজ মানুষ

মাটির ঘরে সূর্য যখন জ্বলে
দূরের আয়ানায় দাঁড়িয়ে পুরনো প্রেম দেখি
বুকের কাছে এসে
আকাশটা গানের মত বাজে
আমি কবি বলে প্রতিদিন জলজ মানুষ হই
পুরুষেরা ছবি আঁকে
দ্বীপদেশের নারীরা আমার ভাস্কর্য বানায়
এবং কাঠের জাহাজে কিছু
আগুনের পূজো হয়
তুমি লোহার জাহাজে বসে জানালা দিয়ে দেখ
তখন গাছের পাতারা হয়তো
মানুষের মত ঝরে।