মঙ্গলবার, ২১ আগস্ট, ২০১৮

তনুজা চক্রবর্তী


তনুজা চক্রবর্তী

বিরহী বর্ষা

     
তোমরা আমাকে দুষণে ভরছ
প্রতিদিনই আমি কাঁদি,
তোমরা চাইছ বৃষ্টি পেতে
আমি কি দাসীবাঁদী--
বৃক্ষ রোপণ উৎসব করে
রোজ দেখাচ্ছ লোভ,
লোভের রসনা কংক্রিটে ভরা
কোথাও দেখি না ক্ষোভ!
আকাশে বাতাসে যানের ধোঁয়া
নিঃশ্বাসে ভরা ক্লান্তি,
দোষী মানুষের সুখী ভাবনায়
পরিবেশে নেই শান্তি--
এসব নিয়ে কেউ ভাবেনা
সময় কোথায় হাতে !
বোঝেন যাঁরা শিউরে ওঠেন
ঘুম আসেনা রাতে।



            



খেয়াঘাট

দিনরাত শুধু পারাপার দেখা
জীবনের আনাগোনা,
নদীর বুকে নৌকা ভাসলে
আহ্লাদে আটখানা ।
আমি খেয়াঘাট সই ঝঞ্ঝাট
কাটাই জীবনভর,
রাতের সঙ্গে বাসর জেগেও
প্রহরী দিনভর ।
জীবন জুড়ে কত সংশয়
আশ্বাসে বিশ্বাস,
দিনের শেষে পাড় ছোঁয়াতে
কত দীর্ঘশ্বাস----


    





পলাশ ফোটে রোজ

সেই সকালটা চাওনা খুঁজতে
নতুন পাতা থেকে !
ওরা কিন্তু সবুজ হওয়ার
প্রমাণ যাচ্ছে রেখে----
আসলে তোমরা কবিতা চাও না
পিতাকে মিতাকে চাও,
যে সন্তান জন্ম মাঝি
চড়ো না তার নাও!
এখানে প্রতিভা পরাজিত হয়
নিজের পায় না খোঁজ,
বসন্ত ছাড়া সাহিত্যে পলাশ
প্রতিভা ফোটায় রোজ।
         








তবুও জন্ম নেয়

যে আশায় শুধু হারিয়ে যাওয়া
কোন নাম টা সে নেবে?
যাকে চিনতে ক্লান্ত জগত
তাকে কি জবাব দেবে?
কর্পূর হবে, কখনো ভাবেনি
কি ভাবে মানিয়ে নেবে?
চায়নি সে তো আসতে নিজে
সময় এনেছে ডেকে,
সরষেতে ভূত উঠছে জেগে
বানানো সুযোগ থেকে!
তবুও আশার জন্ম হবে
জীবন চায় বলে,
না হলে হয়তো বলবে সবাই
মানুষ কেন হলে?








জন্মের স্বাধীনতা

পাথরের আঘাতে জর্জরিত ওরা
তবুও বয়ে যাওয়াতে বিরামহীন----
ধৈর্য্যের পরীক্ষায় একনিষ্ঠ ছাত্রীর দল,
ওরা বলে না ভালো নেই,
ওদের কোনো অভিযোগও নেই !
নারী শুধু ওদের কাছেই পরাজিত ।
অন্তরালের যন্ত্রণা ওরাও বইতে পারে,
সৃষ্টি থেকেই বয়ে বেড়ায়---
ওরা উত্তর দিতে বাধ্য নয় কারও ;
ওরা মজে, হেজে যায় না
নদী স্রষ্টার চোখে স্বাধীনতার জন্ম দেখে,
নারীদের পরাজয়ের সূচনায়।