বৃহস্পতিবার, ২১ জুন, ২০১৮

সৌরভ বর্ধন


সৌরভ বর্ধন

মহানগর

এখানে কোনো পোস্টম্যান নেই
তাই ঋতু বদলায় খুব সাবধান ইশারাতে

আমি নিরাভরন ভবিষ্যৎ ভেবে
কিছু খাদ জমিয়েছিলাম ডেইসির মতো

জনমজুরের অভিজ্ঞতায় তারা
বৃংহন তুলে কাশলো, জল খেলো

তারপর

সূচক! নিফটি! টিউলিপ!

ওঁচলাকুড়ে ন্যুব্জ হয়ে থাকা প্রস্রাব







অ্যাক টুকরো অক্সিজেন

অ্যাক টুকরো অক্সিজেন সম্বল পেলে
আমি ঝুঁকে পড়ি আরো ভুট্টার তলদেশে
বাওবাব গাছের কবরে আমার দন্তহীন
ছেলেবেলা পোঁতা আছে শাশ্বত স্তবক,
ফিরে আসবার জল্পনায় সন্ধ্যার আড়াল
শুধু গভীর আরো গাঢ়      বন্য শারীরিক
চেতনার মাসে ভাঙতে ভাঙতে ভাঙনের
দিকে ভেঙে পড়বার অভিপ্রায় হয়ে যেন
বিগত জিবলি গাছের ডিজিটাল পথে
দাঁড়িয়ে পড়লো মৃত গাছেরা  স্তূপাকার







অক্টোপাস

হিমানী সম্প্রপাত, পলল ব্যাজনী, স্টার্চ , নিউরোন
দুইয়ে অ্যাকে তিনে অশ্বের পিঠে গোচারন সারে
ভিড় বেড়ে চলে সারশি দিয়ে, গুঁড়ো মেঘ, নেটিজেন
জনতার অ্যাকটা দুটো পরিচয় কুড়িয়ে রাখে প্ল্যাটফর্ম
পাদানির জল সবুজ বলে ব্যস্ত দ্যাখালো - এই তো
মুশল বৃষ্টির ধার, ঘষা কাচ আর আবছায়া ট্রেন
ফিরে আসবার গতি নিয়ে দুরন্ত মার্কশিট নির্দ্বিধায়
জড়িয়ে আছে সন্তরণ দশ'টা পাঁচ'টার অক্টেপাস







দ্বিতীয় চোখের জন্ম

সারাদিনই বৃষ্টি হয়ে চলেছে অবিশ্রান্ত!

জলের ছাট জানলা দিয়ে বিছানার চাদর
ভেদ কোরে কাঁথার গর্ভে প্রবেশ করলো

তারপর প্রায় দশ ঘন্টা দশ মিনিট........

রাতের দিকে অসহ্য প্রসববেদনা -

অ্যাক ঝাঁক কোঁকড়ানো চুল
মৌমাছিদের মতো হাসি
আর হাতে পায়ে বেলোয়ারি স্বচ্ছতা

- জন্ম নিলো আমার দ্বিতীয় চোখ

           




শব্দবর্ষ

চিবুক নামিয়ে এনে গলার কাছে
নীরবে দেখলাম কিছুক্ষন -
রথের চাকায় বিঁধে আছে তীর

একটি পাঁচিল একটি শালিখ
কাশফুলী ছায়ায় বীজ থেকে উড়ন্ত বীজ

কত শব্দবর্ষ পেরিয়ে এসে আজ
হাতে গুটিকয় ওয়াকিবহাল কুয়াশা
কয়েক ছটাক মসৃন হাহাকার
জমায়েত করে মাকড়সার কাছে
জিগ্যেস করো 'অ্যাতো মৃত্যু
কেন টাঙিয়ে রেখেছো মাটিতে?
আকাশে উড়তে দাও
যৌনাঙ্গের ভিড় কমে যাক মেয়েটির কাছে।