শনিবার, ২১ এপ্রিল, ২০১৮

শুভদীপ সেন



শুভদীপ সেন

গত রাতে এক কুমারী পথের সাথে...

স্মৃতি যখন বেড়াল সাজতো,
সেটা খোয়া যাওয়া ঠিকানা নয়।
কমন এসেছে পরীক্ষায়,
বাজারদরে নেমেছে চন্দ্রখনি।
পিছিয়ে পড়া সিনেমা দিয়ে
আগুনের জ্যামিতি তৈরি হয়...
মুদ্রাদোষেই সংবাদপত্র নাগিনী।

অপরাজিত লোকসঙ্গীত বাজে
নর্দমা কেটে রাম-রহিমের যাওয়া...
দেশে ফিরতাম বিদেশী কোনও কাজে।
ফি-বছরে নাগাসাকি করে ধাওয়া ।

তবুও সারস্বত স্তন ব্যালকনি বুকে পথিক
ঈশ্বর খোঁড়ায় ঠান্ডা লস্যি'র সীমানায়।
বৌ-কথাকও লাল কাবাব-এর শিক্
চাচা'র মেয়ে জি.এস.টি হয়ে যায়।

ডালে-চালে মেশানো খিচুড়ি পাঁচিল ধারে
সতী'র যোনি সহমরনে আঁকি?
ময়দান জুড়ে হা-পিত্যেশের ভিড়-এ,
কবিতা খুলে 'অবনী' তোমায় দেখি!







দোষমুক্তির বিভাজন

রক্তে দ্বিখন্ডিত বর্ণ...
শিশুকোলে বিকৃত আফিমগ্রস্ত রবি-
প্রত্যাশা'র আগুয়ান রোপন শর্তে শকুন জেগে ওঠে।
কতো সীমানা,কতো বিছানা;
তবুও বিদ্যুৎরেখা অবাধ্য মৌনমহাবীর-
প্রিয়ংবদা স্বরলিপি,
তথাপি ক্ষয়িষ্ণু শরশয্যা অংকুর
বিনষ্টে!

ক্লান্ত দ্বীপের সংহিতা;
প্রজাপতি আলেয়ায় গাঢ় সুখ জাগানিয়া,
স্থবির তালিকা জুড়ে নিষিদ্ধ
মেধাবী সীমন্তিনী...
তবুও ছেড়ে এগিয়ে যেও উপলব্ধির পেয়ালায়-
ওগো শ্যাওলাবাহী মনফকিরা;
নিস্ক্রমনের সূত্রে ঘরোয়া বিপত্তি পেরিয়ে
আকাশ ছুঁইনি!

পরকীয়া স্বাধীনতা,মানি,
আহত কৌতুক যখন পরিনত অভিলাষা রাগে,
সংযত দীর্ঘনিশ্বাসের শোধিত কারাগারে রজনীগন্ধার
পাথর'টা অগ্নিভ হবে,নিমিত্তে তরঙ্গ সোহাগে-
যাত্রাপালা চলে;চিরায়ত রাত হাসনুহানা,
অপরিচিতে কোমলগান্ধার।

অবসাদ চিঠি,অবসন্ন তিলকে
চিতল তালু'তে এঁটো বৈকালী সুখ,
স্তন্যপায়ী অবলা যামিনী-
দ্বিপ্রহরে অযান্ত্রিক রামলীলা নামুক...!







নির্ধারিত কবিদের অনুপস্থিতি'তে

দহন স্নায়ু'তে সবটুকু শুধু ছাই হয়ে
গেছে শকুনী বাতাস,
মন্দ মেয়ের সংসারী পিঠ ছুঁয়ে আছে
রাতজাগা গোলপোষ্টের নিঁখুত সুবাস।
দর হাঁকিয়ে বিলিতি গোলাপ সাজে
মনে মনে শুধুই পোড়ায়,
' দেহের নহবতের মতো ছক্কা হাঁকাই
বোকা ঘুমে না পাঠানো জোছনায়।
মিনিটের কাঁটায় লাভা ছড়ায়--
বান্ধবী'রা ছড়িয়ে দেয় একটুকু খেলনা
পুতুল প্রচ্ছদের সলতে'তে;
আমিও প্রণয় নীরব সন্ধিক্ষনে--
অমৃতের আদালতে বন্ধ এক ফিরিঙ্গী
সধবা'র ফাঁকা বর্ষারাতে।
অভিমন্যু'র ব্যাঙাচি দলিল দেখে নরম হয়
এক পোয়াতি মাছি'র লবণাক্ত আর্তি,
শুদ্ধ জন্তুর নিরালা পথের বাঁকে;
মার্বেল পাথরে অমনিবাস আঁকা
নেপোলিয়নের ভূত অমর ছাগলছানা
হয়ে পড়ে থাকে।
      বিশ্ব নাট্য দিবস বুঝুক,
      আমি স্বাক্ষী নই চরণামৃত
      টোটো চেপে চলি মারিজোয়ানা'র খাতে,
       কবিতা বুকে ক্ষত আর বিখ্যাত...!!







অবকাশহীন থার্মোমিটারের জ্বর

তুষারবৃষ্টি'কে মানিপ্ল্যান্টে রেখে,
আবার সুড়ঙ্গ তৈরি হলো  জুয়ার ঠেক থেকে।
গণ বিবাহে নুলো পাজামা'র আত্মকথা শুনে 
তুলি'তে একে একে ছড়িয়ে পড়লো বকুলকথা সুর।
ঘন গয়নার উত্তাপ আটকে গেলো
দেশোয়ালি ইঁদারার গোড়ালির কোনে,
বায়না ধরা ড্রাইভারের অণুগল্পের চরিত্র
এলাচ দানার উপসংহারে-
মরীচিকা'র ওপারেই চাঁদ কেটে দিলো।

বউয়ের চোখরাঙানির আস্কারা পেতে
গুনিনের সাথে কেন্নো হয়ে রইলাম
ইস্কনের অস্ত্রভান্ডার-এ।
অথচ কপালের ফেট্টিতে তখন
কুমারি পুজোর প্রসাদ হাতে-
লাইটহাউসের মশলা বাটছি।
ঘরোয়া চর্বি'তে যথেষ্ট সঞ্চিত রয়েছে
কষ্টিপাথর,উলঙ্গ শিশু,বোমারু বিমান
এবং নমশূদ্র দইচিড়ে।

থুতনি'র নীচে বহমান অণুচক্রিকায়
তখন দামালরোদে ছুটে যাচ্ছিল
টিকিটব্ল্যাকারের আপ ট্রেন
আর নেড়ি কুকুরের দল।
শেয়ার সূচকের দলবদল সরু নখ
হয়ে যাচ্ছিল নোবেল চোরের প্লেনামে।
সমুদ্র কি সেমিকোলন পায়ে 
ঢোক গেলে  অনন্তশয্যায়?
বাংলাদেশ কি স্বাধীন রূপে কৌটো এগিয়ে দিলো
বই পোকা'র অণু-পরমানুতে?

আমার গাছ হওয়া হোলো না।
শুধু বন্ধুর পেট্রোলগাড়ি'র উপকেন্দ্রে জানলাম,
জটায়ু উড়ে চলেছে খাইবার-পাস দিয়ে।
আমার সব পাঠিকা'র সাথে একটা নশ্বর পৃথিবীতে
মারিয়ানা'র ডলফিন হয়ে কাটালাম-
জানি,বিপরীত থার্মোমিটারে
কম্পাসের দ্রাঘিমা পাওয়া যায় না...!!







দূরবর্তী মৃৎশিল্পী ও কৃত্তিবাস

পরিত্যক্ত নালিশের জংলা ভিড়ে
হত্যাকান্ডের দায় বর্তায় চোরাবালি'তে,
পাল্টে যাওয়া প্রেমিকা'র ঘৃণিত অধ্যায়ে
ব্যাঙাচি চড়ে বেড়ায় মাতৃভাষা'র উপকন্ঠে,
এক গোধূলি চিরন্তন না হওয়া সাদা পাতার বুকে
স্তন্যপায়ীদের প্রেত জন্মায়,
চিহ্নিত পরিসরে উল্কি আঁকা ত্বকে
অলৌকিক প্রতিমা'র দুর্গন্ধ ছোটে!

এসব নিয়েই সন্তান গজায় বাংলা কবিতা'র বুকে-
প্রাচীন সেতু ভেঙ্গে পড়লেই
রে রে করে তেড়ে আসে ঋষিচক্র,
বালুকণা'র গম্বুজে বৌদ্ধ মেনেস্টারি'
বীর্য ছড়িয়ে যায় আজ,কাল,পরশুর খামারে,
অনশনে গোটা বিকৃতি জুড়ে তৈরি হয়
দামালগতির অশ্বক্ষুর।

হঠাৎ-ই রাহুগ্রাস থেকে ছিটকে এসে পড়লে
দশরথের দেশে-
রাগি ক্ষেতের পাশে পড়ে থাকা
হাজার হাজার আহতকে দীক্ষা দিলে সমভূমি'র-
লোভী এভারেষ্টের চূড়ায় তেরঙ্গা না পুঁতেও
তাকে জীবনমুখী করলে,করলে ভারতীয়-
তোমার সুষুম্নাকান্ড থেকেই প্রবাহিত হলো
প্রকৃত সভ্যতার ডাকহরকরা!

তোমায় ঈশ্বর ভাবতে চাইলেও,
তার অধিকার নেই এই ধর্মনিরপেক্ষ রাজ্যে-
তুমি অমর বলেই,
নিজেকে বাগানের মালি ভেবে
গোলাপ-কে 'ফুল' করিনি কখনও;
যতোই সিংহাসন সাজিয়ে রাখি
বল্লমে,ধূপে,চিমনির ধোঁয়ায়-
যতোই ছুটে যাই গভীর রাতের
ঝাড়বাতি ঘেরা অলংকারে-
যতোই কাঠামো নষ্টের দোহাই দিয়ে
কুমোরটুলি'তে দেশী মদের ইস্তেহার হই-
অস্ত্র উদ্ধারের নামে আজও
কেন্দুপাতা'র জঙ্গলে পুলিশফাঁড়ি গঠিত হয়।

অবশেষে আর বাকি নেই
একফোঁটা দয়া আমাদের জন্য...
ঠান্ডা হাওয়া'র গোরস্থান ঘেরা ধরনী থেকে
উদ্ধার করো নির্বাসিত স্লোগানগুলোকে,
নরখাদকরূপে বেরিয়ে এসো
প্রতিটা কলমের ফলায় ফলায়,
সেই পবিত্র আঁচে দগ্ধ হোক
গান্ধীগিরি মার্কা সুচতুর মাফিয়া প্রদেশ,
নীললোহিতের লোহিত কণিকা'রা
আবার বাঙ্গালী সনাতন পাঠকদের
'সুনীল' করে তুলবেই...!!