মঙ্গলবার, ২১ জুন, ২০১৬

মৌমিতা মিত্র




অযোগবাহ
মৌমিতা মিত্র

দুইয়ে দুইয়ে যেমনটি চার
পান্তাভাত কাঁসার গ্লাস ঠাকুমার থান
নীলাকাশ নীলঘুঁড়ি সোনালী বিকেল
গামছাচুল ডলপুতুল ওড়নাছাড়াশাড়ি
লালকমল নীলকমল প্রজাপতিবোন

তবুও যেদিন
মরমী দিগন্তে রামধনু খেলে

আতরে স্নান সেরে সুরমা দুচোখে
সজনী ও সেজজেঠু হাতে হাত রেখে
পথে পথে বালমের ঠিকানা কুড়ায়

সেইদিন দুইয়ে দুইয়ে পাঁচ হয়ে যায়







ব্রজবুলি
মৌমিতা মিত্র

নিয়নবাতি। শপিংমল। ব্যাস্ত রাজপাট
হাইওয়েতে নিয়নিমা নিছনি দেব নাথ
ঠোঁটেতে সিগার দেব
সঙ্গে শৃঙ্গার
পদস্খলন স্কচ কাঁকড়া কাবাব
কন্ডোম কদর খেলব লিবিডোর লুডো
প্লেটনিক লাভকে ঝটিতি ঝ্যাঁটাব
পান্ডুর চন্ডীদাসের পন্ডশ্রমমূলে
জাগানিয়া জাগুয়ার চোখের পলকে
জিতে নেবে ম্যারাথন মরিয়া মাথুর

তারপর। এম এম এস। নীলচে স্কাইলাইট।
খাজুরাহো। জিতে রহো। নষ্ট ওয়েবসাইট।
যদুরায় মধুপুরে। মধুমাস টাটা।
ফেস, বুক নব নব। ফ্রেন্ডলিস্ট ছাঁটা।







ঐশ্বরিক ১
মৌমিতা মিত্র

গন্ধারজনী খাট
সাদা চাদরে মোক্ষ মেখে ঘুমিয়ে আছেন ঈশ্বর।
চোখে তুলসী
নাকে তুলো
ঘষাকাচের চশমায়
ঈশ্বর কর্পূরের মত উবে যাচ্ছেন অনন্তে...
অথচ একটু আগেও
তরকারীতে নুন কম ছিল বলে
ভুরু কুঁচকে বসে ছিলেন তিনি

আর এখন
গুটি গুটি ছারপোকা মানুষ
ক্রমশঃ কুঁকড়ে যেতে যেতে দেখছে
ধুপের ধোঁয়ায়
ভাপে ভাপে গলে যাচ্ছেন ঈশ্বর







ঐশ্বরিক ২
মৌমিতা মিত্র

হে ঈশ্বর,
তোমাকে প্রণাম।
সারাটা জীবন
একটা ধর্মযুদ্ধও আটকাতে পারলে না।
আটকে রেখেছো শুধু
দেয়ালে দেয়ালে সিক্ততম বেগ
আর রক্তক্ষয়ী প্রগলভ পিক।
হে সাদা কালো ঈশ্বর,
হে লাল-নীল ঈশ্বর,
তোমাকে প্রণাম।
সারাটা জীবন
আর পাঁচটা ক্ষয়কারী দাগের মতই
তুমিও আঁচড়ে গেলে
মানুষের চৈতন্যের দেয়াল।








টগর কথা
মৌমিতা মিত্র

ফুল ছিঁড়েছো?
বেশ করেছো।
সঞ্জীবনী শেষ করেছো।
পাপড়ির পাপ ধুয়ে মুছে
পুণ্যজীবন পেশ করেছো।

এবার ফুল মোক্ষ পাবে।
অর্ঘ্য মর্গে বর্তে যাবে।
মৃত পুতুল জাগবে বলে

মৃত টগর শুকিয়ে যাবে।