শনিবার, ২১ মে, ২০১৬

জয়া চৌধুরী




শোনো
জয়া চৌধুরী

শোনো তোমার কথা খুব মনে হচ্ছিল
সে তো হবেই-
শোনো কাল ভোরে তোমাকে খুব চাইছিলাম
বেশ।
শোনো তোমাকে নিয়ে একটা গল্প লিখলাম
আচ্ছা!
শোনো এখনও কি তুমি পাশ ফিরে শোও?
হ্যাঁ তো
শোনো তোমার জন্য বড্ড মন কেমন করে।
জানি তো।
আশ্চর্য! আর কিছু বলবে না?
বোঝো না? ভালবাসি ভালবাসি ভালবাসি তো ...খুব...





মিত্র
জয়া চৌধুরী

যখন অ্যাকাউন্টেন্সি পেপার এ হোল্ডিং আর ক্যাশ ব্যালান্সের ঝক্কি সামলাতে নাস্তানাবুদ
মনে মনে তোমার কথা ভেবে নিয়েছি
পঞ্চাশ বার জেনারেল নলেজ আর জিডি-তে একঘর হাঙর কাউট্যার মুখে
মনে মনে ফিসফিস করেছি বল দাও
পুরোনো চেনা প্রিয় মানুষ যখন আগুন সাক্ষী রেখে অচেনা হয়েছে
তখনো তুমি ছাড়া কারো কথা মনে পড়ে নি
সেতার টা কোলে জাপটে ধরে নাটকের পার্ট মুখস্ত করেছি
সেও তো তোমাকে শোনাবো আর ভুলটুল ঠিক করে নেবো বলেই
মাঝরাতে মাঝদরিয়ায় গারদ ভাঙা একায় বুকে নাড়ী ছেঁড়া ধন
আর ঠোঁটে তুমি নিয়ে এই তুচ্ছ টেনে আনা আয়ু-
নিজেকে বলেছি বারবার তুমি এত কষ্টে ফেলেছো তো
তুমিও তো সুখে নেই মনপ্রিয়
শেষ হয়ে গেছি বারবার তবু অযাচিত অশেষ করেছ এ স্বার্থীকে
মাথা কুটেছি তোমার পায়ে মুখ লুকিয়েছি তোমার বুকে
আর কেউ ভালো বাসে কি না দেখতে গিয়ে আজো দেখি
নিত্য আকাঙ্খা ভরা আমাকে তুমিময় এ জগতে সব রূপে তুমি
শুধু তুমি ঘিরে রয়েছ
শুধু তুমি ভালোবেসেছ
শুধু তুমি অফুরান করেছ






জ্বালা
জয়া চৌধুরী
মেয়েটার চোখ জ্বালা করছিল।
জিজ্ঞেস করলাম- কি হয়েছে?
চোখে কিছু পড়েছে কি?
না না
রাত জেগে কাজ করেছো?
সে তো বরাবর জাগি
মন খারাপ করছে? কেন?
উত্তর এলো দিমাগ খারাপ
কি হয়েছে? রাগ করেছো?
জানি না। হয়ত তাই ই হবে।
কারণ?
আচ্ছা এই তিন তারা এই বন্দুক এই শৃঙ্খলা এসব কেন? যদি...
যদি কি? কাঁদছ?
একটা প্রশ্নের জবাব চাই
বেশ তো
...
...
চাইলেও কারো ভালো করা এত কঠিন কেন?






উপহার
জয়া চৌধুরী
তুই তো আমায় সবই দিস
স্টিলেটো, চুমু, চায়ের পাতা
সোহাগ খেস শাড়ি ক্রীম বিস্কিট
চুলের কাঁটা গন্ধদ্রব্য অবহেলা
ভোরবেলার আধোঘুমে একগাদা আদর
এটাসেটা বইটই কাব্যপাঠ ঘন ঘেন্না
পাতার পর পাতা অ্যালপ্রাজোলাম
কোঁকড়া চুল বিন্যস্ত নৈঃশব্দ্য হিম
নোনতা চোখ লিপস্টিক দাগ
সব সব দিতেই থাকিস ক্রমাগত
নিলে যে সব নিতে হয়
কী যে করি...






ত্রাতা
জয়া চৌধুরী
নাকের মাথায় চশমা এঁটে কিংবা নোটে লিখে
আঁটে না তো দামাল প্রাণের চাওয়া
হাতের মুঠোয় সুতোয় গেরোয় বেঁধে
নাচে না যে লালনীল সোনালি ধুকধুকি
প্রাণের টানে কে তুমি আকুল টানো
অলকনন্দার প্রবল স্রোতে ভাসি।
তীরের কাছে কাছি বাধা ডিঙি
মানি না সব উল্টে ফুরাই যতি
বাঁচার নামে ডেবিট ক্রেডিট ক্লোজিং
এমনই না হয় একটা জীবন থাকি
হড়পা বানে শেরপা জীবন যদিই উড়ে যায়
চোখ যেন বোজে শুধু তোমার নামেই