বৃহস্পতিবার, ২১ জানুয়ারী, ২০২১

রবীন বসু

 

আমি ২০১৬ সালে ফেসবুকে আসি। প্রথম যে ওয়েব পত্রের সঙ্গে আমার সখ্যতা ও সংযোগ স্থাপন হয় তা "কবিতাউৎসব"। ঝকঝকে স্মার্ট একটি ওয়েব ম্যাগ। অনুসরণ করেই বুঝেছিলাম আর পাঁচটা অন্তর্জাল পত্রিকার মত নয়, এর নিজস্ব একটা রুচি ও অভিমুখ আছে। সম্পাদক মহাশয়ের বলিষ্ঠ অবস্থান, সাহিত্যের প্রতি তাঁর দায়বদ্ধতা আমাকে মুগ্ধ করে। এও বুঝলাম  সম্পাদক -এর গদ্য এবং পদ্য লেখার হাত ঈর্ষণীয়। সম্পাদক যেখানে রুচিশীল দক্ষ সেখানে তাঁর সম্পাদিত পত্রিকার মান যে উন্নত হবেই, তা বলা বাহুল্য। "কবিতাউৎসব" তাই জনপ্রিয়তার শীর্ষে গেল। বর্তমান সময়ের নবীন প্রবীণ প্রায় সব কবি, সাহিত্যিক এর পাতায় লিখেছেন।  কোন অনুষ্ঠানে গেলে সেখানে বন্ধুদের মধ্যে ওয়েবম্যাগ নিয়ে আলোচনায় কবিতাউৎসবের কথা উঠে আসত‌ । সাথে সাথে তার কান্ডারির কথাও। আমি তো ভয়ে ভয়ে আমার সেরা লেখাগুলো পাঠাতাম। আর অপেক্ষা করতাম দুরু দুরু বুকে মনোনয়ন সংবাদের। এলে মুখে হাসি ফুটত। কত বৈচিত্র্যময় সব সংখ্যা তিনি আমাদের উপহার দিয়েছেন। তারমধ্যে "আদিরসাত্মক সংখ্যা" ও "পরকীয়া সংখ্যা" আমার খুব পছন্দ ও ভালোলাগার। তবে গত "শারদীয়া সংখ্যা" বৈচিত্র্য, বৈভব, বিশালতা আর সম্পদে ভরপুর ছিল। মূল্যবান প্রবন্ধগুলোর গুরুত্ব ও সাহিত্যমূল্য ছিল অপরিসীম। কত নবীন কবির কবিতা পড়ে চমৎকৃত হয়েছি। প্রবীণদের কবিতা পড়ে বিস্মিত হয়েছি। বর্তমান কবিতা, ছন্দ-ছন্দহীনতা, লেখকের দায়বদ্ধতা, তার অভিপ্রায়, সাহিত্যের উদ্দেশ, সবই আমি সম্পাদক মহাশয় এর কাছে শিখেছি, তাঁর লেখা পড়ে। ব্যক্তিগতভাবে আমার সাহিত্য জীবনের প্রসারের ক্ষেত্রে এই পাঁচ বছর আমি কৃতজ্ঞ "কবিতাউৎসব"-এর কাছে।