সোমবার, ২১ অক্টোবর, ২০১৯

ব্রততী দাস


ব্রততী দাস

পাগলি  

দোলমঞ্চের পাশে বসে থাকত পাগলি
পাগলি ভিখারি মেয়েটা
ধুলো ময়লা মাখা শ্রীহীন রুক্ষ মুর্তি
ততোধিক অপরিচ্ছন্ন ওর শতচ্ছিন্ন গায়ের কাপড়
বেআব্রু ওর অনাদৃত যৌবন
কখনো এসে বসে
পাশে রাখে একটুকরো পুটুলির মতো ওর সম্বল
কী ছিল তাতে কে জানে
আগলায় বড় যত্নে
আবার কখনো ঘুরে ঘুরে খাবার খুঁটে খেত
ওর চোখের অর্থহীন ভাষা পড়েনি কখনো কেউ
নষ্ট করার মতো সময়






ঋণ

অযুত নিযুত যত শব্দ রাশি রাশি
সোহাগী আর অতি কোমল সবুজের মতো
বাঁধনহারা ঝরিয়েছিলে ধারার মতো
কুড়িয়ে নিয়েছি তার সবটুকু নিঃশেষে
গ্রহণ করেছি তার পূর্ণ অহংকার
সমগ্র অধিকারে
তবুও রাখিনি কোনো ঋণ
রেণু রেণু সবটুকু সুখ
চুকিয়ে দিয়েছি দেখো যন্ত্রণার দামে
আরো যদি কিছু বেহিসেব
খুঁজে পাও তোমার হিসেবে
সবকিছু রাখা আছে
স্মৃতির সম্পদে
দিগন্তের স্তব্ধতার নিজস্ব সঞ্চয়ে।







স্মৃতি পথে নেই কথারা

গভীর কালো চোখের পর্দা সরালেই
অতল কালো গহ্বরে
অসীম শূন্যতা
চিবুকে জমে থাকা যাবতীয় অতীত রোদ্দুর
প্রাগৈতিহাসিক আজ
শতাব্দী প্রাচীন নগরীর মত
শরীরের ভাঁজে ভাঁজে
চেনা সুখ
অস্তিত্বের অহংকারে আত্মমগ্ন

এইসব ছবি আঁকা শেষে
বিগত ক্ষতর মত অধৈর্য অপেক্ষা
ভীষণ শান্ত
হারানো শোকের খোঁজে
স্মৃতি পথে হেঁটে যায় অবিচল
অবসাদ রেখা পেরিয়ে গেলে
ক্লান্তি চোখে পড়ে না আর