সোমবার, ২১ অক্টোবর, ২০১৯

অনিন্দ ঘোষ


অনিন্দ ঘোষ

মন্দ্রসম্ভব

৪৯

জুনপ্রবাহ। অগ্নিদাহ। চেনা আর চেনার হরবোলা। দারুগ্রহ, বাদামী উষ্ণীষ।তাঁবুতে গোটানো সোনার সংসার। ফ্যাদম। বিষচুমুক। দানবীয় মুখোশ। পলাতকা জালপ্রতিমা, বইছে মাছবেলার যৌনতা।

বিপ্লবের প্রথম গুলি এভারেস্টের বুক চির। ভিক্ষাবালির ছলাৎ। নিদ্রা। জাগরণ। দীর্ঘ তীর্থ। অবিশ্রান্ত ক্যারল, নীলজলের তলায় লুকোনো অ্যান্তিক মরু। কলহলের ঘাট। পার হবো কি?

না লতাগুল্মের খাটে বসে দোলাবো পা? পোহাবো গমধান অফুরান অজানা দ্বীপ, ধরিত্রীর সতর্ক ঠোঁট, অসতর্ক অতসীফুলের জ্বরে ভেসে উঠবে অপ্রতিরোধ্য গতির মৎস্যবেলা।
মহানগরী স্রোতে বর্শা ফুটলে, বর্ষাগ্রস্ত হয় জুনপ্রবাহ।







৫০

একটা ডায়েরি। নোটবই। অজানা এক তরুণী। কামিনী। জীবনী নয়। রোজনামচা। সেই মেয়ে আর তার ছয়টি কলকল শিশু। একটি ছোট্ট ঘর। স্কুল। সরোবরের মধ্যমণি। ডায়েরিটি ড্রয়ারে ছেড়ে
সে চলে গেছে প্রেমিকের হাত ধরে।

আরেকটি নোটবই। অজানা অ্যাক তরুণের। তার তারুণ্য রস আস্বাদন করেছে অজস্র বুলেট। কল্পনার ডালপালা ম্যালা পাখি গাছ নদীনাচ। চাষাবাদের অগ্রু বাগিচা।

ছায়া ছেড়ে যায় দূর থেকে দূরে। পাখিরা থমকে থাকে মাঠভর্তি। পোশাকের ফড়িং। আত্মার ডাহুক।
কল্পনার তরুণ। কল্পনার তরুণী। হাতে হাতে ছোট্ট স্কুল। রাঙাজামা।
নিজেদের শুদ্ধ ভেবে লবণের নুনটুকু শুধু চোখে চোখে বুলিয়ে যাওয়া।






৫১

বিচ্ছেদের পর কফি বদলে যায় মদে। সিগ্রেট বনে ধূম্রজাল। চাতকের চাহত। নিজের সঙ্গে নিজের সাক্ষাৎকার। ফিরে দ্যাখার মাশুল, ভুলের মাস্তুল। শ্বাসের সমাপতন। ঠিকভুলের তুল্যমূল্য। মর্জির মালিক। মাল্কিনের ইচ্ছে-অনিছছে। সংশয়ী বিপন্নতা। কনফিউশন।

এইসব কনফুসিয়াস আসলে বিহ্বল। বিভ্রান্তি। বিচ্ছেদ ক্রেজি। বিরহের ডিনামাইট। প্রিপেইড। যতিচিহ্ন। জেনে রাখো, গন্তব্যস্থান জরুরী নয়। না প্রয়োজন অবতরণের পাইলট।

জরুরী আকাশ। ঘর খুঁজছো। জানি হে অপ্রতুল নাগরিক। জেনে রাখো বর্মহীনতাই আসল প্রদক্ষিণ। 
জরুরী সূর্যরশ্মিতে তোমাদের জন্যে সেলাই হচ্ছে আন্তরিক পিং পং যাপন।