সোমবার, ২১ অক্টোবর, ২০১৯

স্বাগতা ভট্টাচার্য্য


স্বাগতা ভট্টাচার্য্য

কিছু ঋণ

ঋণ কিছু রয়ে যায় এজীবনে
রয়ে যায় মননে চিন্তনে
ঘড়ির কাঁটা বেয়ে চুইয়ে পড়ে সময়
দিন কেটে যায় কত অজানার সন্ধানে
তারাদের মহোৎসবে কবিতা লেখে রাত
মন যমুনায় নোঙর ফেলে ঋণগুলো
সুদ বেড়ে চলে ক্রমাগত
জীবন ছোট হতে হতে ফুরায় অবশেষে
তারপর একদিন
চিতা শয্যায় ঋণগুলো শুয়ে থাকে মরণের পাশে
কিছু ঋণ রয়ে যায় আজীবন
রয় যায় মননে চিন্তনে ।




শ্রাবণ তোমার জন্য

শ্রাবণ ধারায় ভিজিয়ে আমায়
করলে দিশাহারা
শরীর জুড়ে আঁছড়ে পড়ে
তোমার প্রেমের ধারা।
সবটুকু দিয়ে কাঙাল আমি
নেই তো বাকি কিছু
যোজন দূরে মন চলে যায়
তোমার পিছু পিছু ।





ভালো থেকো

সবুজের সমারোহ ছেড়ে
আলোকবর্ষ ঘুরে ঘুরে
কুয়াশা মাখা কোনো ভোরে
গেরুয়া নদীর পথ ধরে
দুঃখেরা চলে যাবে জানি
দূর থেকে বহু বহুদূরে
সেই দিন দেখা হবে
ভালো থেকো গাছ ফুল পাখি
ভালো থেকো পাহাড় নদী বন
ভালো থেকো মাঠ ঘাট পথ
ভালো থেকো যত পরিজন





জীবন তোকে....

প্রথম দেখায় চোখের জলে বরণ করে নিয়ে
জীবন তোকে চুমুতে সোহাগে সাজাই স্বপ্ন দিয়ে
মনের বনে ডালে ডালে লক্ষ আশার কুঁড়ি
ফুল হয়ে ফোটে কেউ কেউ বা যায় চুরি
সুখদুঃখ শালুক পাতায় টলমল করে
যত্ন করে সাজাই তাদের তোর ছোট্ট ঘরে
কথার মালা গাঁথতে বসে আপন যায় দূরে
পর কখন গান ধরে চেনা মাটির সুরে
জীবন তোর পাঁজর ফুঁড়ে হাওয়ার আসা যাওয়া
চোখের পাতায় ঘুম নামলে হারায় চাওয়া পাওয়া





কংক্রিটের জঙ্গলে লেগেছে আগুন

ঝলসে উঠছে
টালির চাল অ্যাসবেটস
কার্নিশ ডিস অ্যান্টেনা
আগুন ক্রমাগত ছড়িয়ে পরছে
আল পথ থেকে গলি পথ
শেষে রাজপথ দিয়ে শহরের আনাচে কানাচে
ডিভাইডারে সদ্য বেড়ে ওঠা
কচিকাঁচাদের দোদুল্যমান ছায়ায়
জীবন খুঁজছে স্বস্তি
মানুষ আর কুকুরের জিভ ঝুলে পরছে।
সিগন্যালে সিগন্যালে চলছে লাল সবুজের খেলা।
শালিকগুলো পার্কের রেলিং এ-
বেঞ্চে জোড়ায় জোড়ায় গুনছে প্রহর।
শহরের শিরদাঁড়া বেয়ে চুঁয়ে পরছে ঘাম।
তোমার দুচোখে তখন শান্ত শীতল দীঘি
দখিনা বাতাস লেখে প্রেমের স্বরলিপি