সোমবার, ২১ অক্টোবর, ২০১৯

সুলেখা সরকার



সুলেখা সরকার

ক্ষতচুমু

সরলরেখায় প্রেম।
তার মধ্যবিন্দু বরাবর বয়ে গেল কলঙ্কিত নদী
অথচ সেই অদৃশ্যরেখার গালিচাঘরে প্রবাসী প্রতিবেদন ও
পলাশ ছোঁয়া আদরের খন্ড ইতিহাস।
বসন্ত স্নানে জলছোঁয়া ঠোঁটের ভেতর আর একটি ঠোঁট।
একচ্ছত্রবাদ।
বৈশাখী ইশারাগুলো দরজা কোণে চুপ, জানে না কিছুই।
অবশিষ্ট মেজাজে পাথুরে শ্যাওলার নগ্ন কাঠামো
নোনতা হবার পর ভেসে যাচ্ছে নদীপথে।
পুরুষ ছুঁয়ে আছে পা- নূপুর।
চাদরে সুখ যাপনে নদী ও মৎস্য উপাখ্যান।
একটি ক্ষতচুমু ক্লান্ত হবার পর
দুই মেরু বিভাজন গলে যাচ্ছে ক্ষয়।
তুমি তো আমার এমনই...
বৃষ্টিছুটি অবসানে প্রিন্টিং মিসটেক অথবা
দিগন্তে ঠিকানাহীন রাতবিক্রি ও নতুন রোদ।  






ক্যাপিল্যারি ভারসাম্য

চুলসম্বন্ধীয় কথায় কিছুটা সিমবল উঠে আসে,
কতটা ভার নেবার পর একটি চুল সাদা হয় !
ইথলজি কিভাবে অ্যান্টাগনিস্ট হয়ে ওঠে।
ভেবে ভেবে নামবিহীন হই,
বেনামী ঝড় আসে।
ঝোড়ো বাতাস ঝিরঝির -ঝিরঝির- ঝরঝর...
মাংসপিণ্ডের হাত -পা, পা- পাজামা,
জামা উড়ে যায়...
বিশ্ব বিবেক ইনিয়ে বিনিয়ে একগুচ্ছ মুখোশ পড়ে।
বুদ্ধি চোখে আইডিওলজি।
বাতাসের গায়ে বৃষ্টি পড়ে।
নুরুনের আঁচড়ে রক্তাক্ত হয় জোড়াচোখ।  






হাতকাটা মেঘ

নিদ্রা এসে গেলে
বুক পড়ে নিও।
হাতকাটা মেঘ পরে আছি।
পোষা পোশাকের মতো শ্যামলা গা
গচ্ছিত রাখলাম।    

কামারশালায় ঠং ঠং...
দীক্ষা নিচ্ছে কেউ লৌহযজ্ঞের।
মুখোমুখি যৌনতা + যজ্ঞতন্তু = সালোকসংশ্লেষ
তারপর,
ফুল। ফল। বীজ।
বেশ্যার জন্ম।
তুমি রূপাজীবাও বলতে পারো।