শুক্রবার, ২১ জুন, ২০১৯

শাহানারা ঝরনা


শাহানারা ঝরনা

স্বপ্নের পদাবলি

কিশোরি মেঘেরা লুকোচুরি খেলে ইচ্ছেরা খুনসুটি
শত ঝামেলার মাঝেও কখনো দিন হয় জড়িবুটি
ভাঁজভাঙা সুখ হলে মহীরূহ সভ্যতা যাবে ভেসে
ক্ষণজীবী নারী জেগে রবে একা নদীঘাট ভালবেসে
বয়ে যাবে বেলা উড়ালপাখিরা সন্ধানী হবে আরো
পুঁজিবাদী মন মায়ামুখী হলে সুখ বেড়ে যাবে কারো
ইথারীয়ধ্বনি শুনে কেউ হলে  প্রতিবাদী প্রজাপতি
শুচিতা মোড়ানো  আয়ুমতী ক্ষণ হবে তবে মায়াবতী
গীতিকবিতার উঠোনে বসেই শুনি কৃষ্ণের বাঁশি
কেতকী কদম আজো ফোটে প্রেমে সুখ ঝরে রাশিরাশি
বৃষ্টি বোঝেনা পাঠশালা-পাঠ ঝরো ঝরো ঝরো ঝরে
বুকেতে সাজাই স্মৃতির বারতা কতোকিছু মনে পড়ে
নকশি মনের ভাঁজে গেঁথে নিয়ে অনুপম অনুভূতি
দেবতা-বেদিতে কাকে রেখে আহা করি কার স্তুতি ?

কিশোরি মেঘেরা বাঁশি সুর শুনে হয় কি উতলা আজো?
যদি হয়- তবে কেউ তো বলে না "" মেয়ে তুমি বধূ সাজো ""!
আড়বাঁশিখানি ঐ কে বাজিয়ে আমাকেই শুধু ডাকে
সুর ভেসে যায় মন মেঠোপথে হৃদয়ের বাঁকেবাঁকে
রাধিকাপ্রহর অনাবাদী থাকে তবু নিরলস চলি
কিশোরি মেঘেরা বুকে বেঁধে দেয় স্বপ্নের পদাবলি।

 





কাটে অবসাদ

মনকথা নিয়ে ছোটে মায়াবতী মেঘ
দেখে মন ভরে তবু বাড়ে উদ্বেগ
বৃষ্টিরা ছোঁয়া দেয় বালিকার গায়
বুনো বুনো সুখগুলো দূরে ভেসে যায়।

কেউ কেউ মোনালিসা প্রেমে দেয় ডুব
কারো বাড়ে ব্যাকুলতা কারো জ্বালা খুব
ভিনদেশি পথিকের চোখ ভরা জল
অসময়ে বনপাখি করে কোলাহল
মানবিক হয়ে কেউ করে দুখী ভাব
কারো ব্যথা দেখে হাসে বাবু বিবিসাব
শাদা নীল কষ্টেরা বোনে মিহিতাঁত
মিনতির জলে ভেজে পাললিক রাত
মাঝে মাঝে বেড়ে যায় নাগরিক ঋণ
ঋতুমেয়ে কাছে আনে জলে ভেজা দিন
বালিকার দিনগুলো আশা নিরাশার
মৌসুমি সুরে হেসে দোলে বারবার
বরষার জলধারা ডাকে আয়-আয়
শুচিতার মনবাঁশি বাজে নিরালায়
নূপুরেতে বাঁধা পড়ে জলছবি দিন
দেখে বুঝে কেউ হয় উদাসে মলিন।

বালিকার চোখে ভাসে কার কালো চোখ?
সে কি বলে, এই মেয়ে ""- তোর ভাল হোক?  
হয়তো-বা, কিংবা সে থাকে নীরবেই
অভিমানী হয়ে ভাবে তাঁর কেউ নেই!
 নিয়ে দুখ হাসি সুখ জয় পরাজয়
বালিকারাা এভাবেই চিরসুখী হয়
মুঠোতেই ধরে রাখে সূর্য ও চাঁদ
বৃষ্টির জলে ভেজে সব অবসাদ।







নিমগ্নতা

বৃষ্টি ছুঁয়ে দিলো চোখের পাতা
তুমি ভেজালে মন
আর আমি কোজাগরী রাতকে সাথী করেই
নীলিমায় মেলে দিলাম ইচ্ছেডানা।
নিমগ্নতার কোন ঋতুভেদ নেই
অবারিত সবুজ কিংবা বিন্যস্ত বিনোদনকে
সমন্বয় করেই পাখিমন উড়ে যায়,
সমতার আড়ালে গাই মানবতার গান

ফোটে কতো বুনোফুল --
ফুলেদের বিষাদ বড়িতে নিরাপদ কোন
বনমালী নেই, উভচর স্বপ্নেরাা
অবৈধ আসা যাওয়া করে দিনরাত    
গীতিকাব্যের আড়ালে বসে
কেউ তোলে ধ্যানী সুর।
আহলাদি মন দরবারী সুখান্বেষায় হারায় অচীনপুর 
মাতৃমঙ্গল ঋতুর আবহাওয়া অধিদপ্তরে
ভৌগোলিক কোন বার্তা আসেনা
তবু তৃষ্ণার সিগন্যাল মেনেই
কাংখিত প্রেমিক সাজায় নস্টালজিক বেদী     
সেইসব আটপৌরে দিন দগ্ধ হৃদয়ের ভেতর
ক্রমাগত দীর্ঘমেয়াদী হয়
ব্যক্তিগত জীবনের রোজনামচা নিয়ে
নাইওরির  স্মৃতিতে বাজে জলজ সংগীত।
 নীলবর্ণ প্রজাপতির ডানা ছুঁয়ে  
অস্তমুখি জীবনের প্রতিচ্ছবি দেখি
মোহমুগ্ধ আবেশ কিংবা দ্বিধা,,,
সবই দৃশ্যকল্পের অনুসঙ্গী হয়
সম্পূরক চেতনার ভেতর
সুরময় আবহ ছড়ায় বৃষ্টির গান।