শুক্রবার, ২১ জুন, ২০১৯

স্বপন গায়েন


স্বপন গায়েন

বৃষ্টিমুখর আষাঢ়

এক পশলা বৃষ্টিতে
এক পশলা বৃষ্টিতে ধুয়ে গেছে অস্ততিকর গরম
ভিজে মাটির গন্ধে মঁ মঁ করছে কঠিন পৃথিবী
শরীর মন দুইই ভিজছে এক পশলা বৃষ্টিতে।


মেঘ ফালা ফালা করে বিদ্যুৎ চমকায়
বজ্রপাতে অস্থির আধুনিক জনজীবন
বহু মানুষের প্রাণহানি হৃদয়কে ব্যথিত করে।


উদাসীন চোখে তাকিয়ে জল ভরা মেঘ
জানালায় আসছে বৃষ্টির ঝাট ...
ভিজে যাচ্ছে ঘরের অর্ধেক বিকলাঙ্গ শরীর!


নদীর বুকে ভেসে চলে পাল তোলা নৌকা
ভিজে একসা এক ঝাঁক সাদা বকের দল
বিকেল গড়িয়ে নামছে বৃষ্টি ভেজা সন্ধ্যা।


এক পশলা বৃষ্টিতে ধুয়ে গেছে অলীক অভিমান
মন কেমন করা বিকেলে যেন এক টুকরো হাসি
ক্রমশ কমছে তাপমাত্রা তীব্র দাবদাহ থেকে মুক্তি!







বৃষ্টি ভেজা শরীর

বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে গান গায়
পড়ন্ত বিকেলের রামধনু মাখা আকাশ
বুকের জলপথে অশান্ত নদী
উজান স্রোতে ভেসে চলে বৃষ্টি ধারা।


ঝড় উঠেছে মনের দুয়ার জুড়ে
বৃষ্টিতে ভিজে যায় হলুদ রঙের শাড়ি
শরীরী পোশাকের গোপন আবরণ
চঞ্চল প্রকৃতির মতো সিক্ত শরীর।


কনক চাঁপার গন্ধ ভেজা শরীর
পাইন বনে নামছে রাতের নিস্তব্ধতা
বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে গান গায়
ভালোবাসা এসে বৃষ্টির সাথে মেশে।


মনের ঘাটে নৌকা বাঁধা আছে
নৌকা বোঝাই হাজার প্রগলভতা
পিছলে গেলেই গভীর খাদের নীচে
অবুঝ বৃষ্টি না থামার ভান করে।।







বৃষ্টি ধারা

বৃষ্টি ভেজা চাঁদের বুকে
                    এক বুক অভিমান
কৃষ্ণচূড়ায় রঙ লেগেছে
                   এতো ভালোবাসার দান।


বৃষ্টি দিনে শরীর ভেজে
                    মনে লাগে জোয়ার
ইচ্ছে করে ময়ূর সেজে
                  পেখম দেখাই সবার।


বৃষ্টি ধারা নদীর বুকে
                   দুকূল ছাপিয়ে সুখ
মনের সাগরে ঝড়ের তুফান
                    ভালোবেসে মরে সুখ।


বৃষ্টি তুমি মরীচিকা নও
                 ভালোবেসে করো সোহাগ রাত
বৃষ্টি শেষে রামধনু রঙ
                   ভালোবাসায় হয়না অজুহাত।।