বৃহস্পতিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

রত্নদীপা দে ঘোষ



রত্নদীপা দে ঘোষ

৩৬-৩২-৩৪
(সম্পূর্ণ কাব্যগ্রন্থ)

অশ্লীলতার দায় কবির নয়


উৎসর্গ


যারা
ডুডু খায়
লুডো খেলে
মুখ মুছে ফেলে




যৌনগ্রন্থ
হাজার চাণক্যের চাইতে দামী
অর্থশাস্ত্র


আমি কালো
সাদা কনডোম চাহিয়া

লজ্জা দিবেন না



আমার যৌনতা শুষ্ক বড়ো
নোনতার মাত্রা কম

প্রভু হে
বাওয়াল কোরো না
বরং সিনড্রোম করো বোয়ালের
যোনিঝুলি ভোরে দাও আমার
খনিজরসের মাত্রা বাড়িয়ে


প্রোটেকশন দিতে পারিনি। গানপয়েন্টের মুখ। মেলে দিয়েছি গতর। সাম্প্রতিককালে এমন রঙিন রানওভার দেখেছ কি ? বুককেস থেকে সরাসরি সম্প্রচারিত ব্যাকলেস ব্রা। এমন মৃদু ফ্লেভার হ্যালোজেন শুঁকেছ?

দ্যাখো। চাখো। অ্যসহোল। আয়োডিনের ঝাঁঝ নাও।
তারপর ... তারপর ...
মাদার-সিস্টার থেকে সেরে ওঠো
হে অসুখী যৌনসিস্টেম



নাঙ্গা হলেই গান পেতে থাকে থাকে আমার । আরে বাবা , গান গান ... গান মানে সঙ্গীত নয় । গানের কি গুলি থাকে ? ... না , থাকে না । গান গাইবার জন্যে কোন বল দরকার লাগে না । কাড়া নাকাড়া কাল ভৈরব তাল বেতাল কীসব করতাল খোল লাগে যেন ...

আমার চাই গান । গান মানে বন্দুক । দুটি বুলেট থাকলেই কাজ চলে যায় …  বুলেট ... মানে গোলাকার বল । আরে মশাই এই বল দিয়ে ফুটবল খেলে না । এই বল নিয়ে আমার ... আপনার পূর্বপুরুষরাও খেলেছেন , বেশ ধূমধাম করে খেলেছেন ... সেই বলের ফলাফল তো আমরাই ...

আমরাও সেই একই বল নিয়ে খেলছি , বলে বলে বলাৎকার হচ্ছি ... যতই বাড়ছে খেলা ... বলদুটিো বেড়ে যাচ্ছে ... মিটারে বায়োমিটারে ...  বল কি কখনো বুদ্ধদেবের তোয়াক্কা করেছে ? করেনি ... মমতারই বা করবে কেন  ... বল আসলে আন্তর্জাতিক প্রয়োজনে সৃষ্টি ... প্রশাসনের তোয়াক্কা করে না ...

এই দেখুন , গান গাইতে গাইতে আমরা দুজনেই বলের সীমানায় চলে এলুম ... বল খেলতে কিন্তু মন্দ লাগছেনা ... কি বলেন ... গোলকিপার লাগানো আছে তো ? সাবধানে কিন্তু ... দিনকাল ভালো নয় ... চারদিকে অসুখ বিসুখ খুব ... লুফে নিন বল ... নরম নরম বল ... আমার বল ... আপনার বল ...

আপনি ভালো ফুটবল প্লেয়ার  । ঈর্ষা করিনা  । দূর থেকে দেখি আর মুগ্ধ হই । মুগ্ধ হই আর কামুক হই ... ঝলমল আপনার বল দুটি । নাঙ্গা হই । খিদে পায় । খেতে ইচ্ছে করে । গানটিকে সশব্দে চেপে ধরি ... বলদুটি দূরের চারপাশে আয়নার মত ঝুলে ঝুলে দুলতে থাকে ...



তোমাকে দেখি
তোমাকে দেখি আর প্রেমিককে দেখি
তোমাকে দেখি আর ধর্ষককে দেখি


তোমাকে দেখি
তোমার হাত ভর্তি ৎ রঙের ব্রা
তোমাকে দেখি
তোমার চোখ ভর্তি খয়েরি পাছা


তোমাকে দেখি
সন্ন্যাসী গৃহস্থ দেখি
তোমাকে আঁকি
রেপসিজনে ডাকি


তুমি ঈষৎ নুড়ি পাথর
বেলেল্লা খেলতে খেলতে
যত্রতত্র হারিয়েছ  পথ

তোমাকে শুনি আর
তোমার জেব্রা সন্ন্যাসে

পবিত্র করি কেশদাম যোনি 



ভারি তলপেট

উঁচিয়ে আছে ভেনিসলিঙ্গ


সেক্স একটি  ডেলিকেট ডেলিকেসি

 গ্ল্যাডিয়েটর পৃথিবী-শ্রেষ্ঠ কনডোম



সম্ভবত আমি ঠিক তোমার মত করেই
ঝাঁপিয়ে পড়বো তোমার বুকে

তোমার মত করেই উপড়ে নেবো তোমার পোশাক
ব্র্যাকেট খুলে ওড়াবো বক্ষবন্ধনী

মুঠো নেবো তোমার বুক
হে ভগবান , বুক কোথায় ? স্তনই বা কই
এ যে  শুধু ফোঁটা ফোঁটা চিড়ে আর চ্যাপটা
ডেকচি আর হাঁড়ির মিশেল
সে যাই হোক
খুঁটে খাবো তোমার বোঁটা
বুক থেকে দুধ বার করতে পার আমার মত ?
ছেলেকে খাইয়েছ কখনো সেই দুধ
সেও কি তোমার মত ... দুদু  খায় আর মুখ মোছে
মুখ মোছে আর দুদু খায় ...

স্বাদ পাবো না জানি ...
তবু তোমার বাঁ দুধ চুষবো আমার ডান ঠোঁট দিয়ে
বাঁ ঠোঁটে জাগাবো তোমার লিংগ , আগ্নেয় অস্ত্র
তারপর ন্যাংটো তোমাকে দেখাবো জাহান্নম
চোখ আধাআধি খোলা  ... মুখ আধখানি বোজা
ক্লান্ত হবো না ... কখনো আড়াআড়ি ...
কখনো সোজাসুজি
রগরগে  ... চটিমার্কা
করবো তোমাকে
ঠিক তোমার মত করে

তারপর

বিরিয়ানি  চিকেন , লেগপিস
দাঁত থেকে খুঁচিয়ে বের করবো মাংসের কুচি

দৃপ্ত পায়ে ফিরবো সংসারে ...
সুখি গৃহকোণ আ
ততোধিক পবিত্র পরিব্রাজক
বহুদিন বাদে জন্নত সেরে ফিরবো

মানুষকে ধর্মান্তরিত করে



একবার ধর্ষিতা হবার পরে মাইরি বলছি
লজ্জা টজ্জা আর থাকে না
বিশেষ করে প্রেমিক যখন ধর্ষক ...

যতক্ষণে ভয় পেতে শুরু করেছি  তাকে
সে সোজা জিভ ঢুকিয়ে দিয়েছে গুগুলের জি-স্পটে 
জিভ যেন পিকাসো , পাব্লো দেরিদা
জিভ যেন শক্ত এঞ্জেলোর নরম নেরুদা
চলছে চলবে ... ব্রেক ইভেন অবধি

প্রেমিককে মনে হয়
সোজা এবং সাপটা সাপ
গরম হিলেহিলে পদ্যকার সাপ
জল না ভাঙা অব্দি
সে কিছুতেই ডাঙা ছেড়ে আসবে না

একবার ধর্ষিতা হবার পর থেকে
সাপ দেখলে ভয় তো দূর লজ্জা টজ্জাও করে না ...
মনে হয় প্রেমিক বুঝি ...
প্রথমে পেন্সিলস্কেচ করবে আমার
তারপর কামড়ে ধরবে সরু বাঁকা অক্ষর
তারপর ওয়াটার কালার ... পেন চেরা জিপার ...
ড্রয়িং ... গ্রাফ বাড়বে ক্রমশ ... ছলকাবে স্টেপনি

স্নো-ফল শেষ হলে 
সেই সর্পপ্রেমিক আমাকে নিয়ে যাবে ডিনামাইটের দেশে
ক্লাউড বার্স্ত করবে মেঘ

আমি 
বুক জড়ো করবো ব্রেসিয়ারের হুক ঠেলে
পায়ে পায়ে বন্ধ করবো প্যানটির প্লাগ  ...
প্রেমিকলিঙ্গতে ঠেকাবো পেন্নাম

জয় সর্পদেবতার জয় ... জয় বাবা অমরনাথ
জয় এপিকের হরিনাম  ...



তোমার পেনিস আমি দেখিনি
দেখিনিকো

শুধু তার নড়াচড়া

শুনেছি তার সি সার্প পর্নো



আমি কি জানতুম না ?
জানতুম বৈকি
ঠিক এই রকমি হয়


বান্ধবীরা বলেই দিয়েছিল
দেখিস , সে প্রথমে তোর কবিতার প্রশংসা করবে
তারপর তোর শরীরের ...
বলবে , আশ্চর্য সবুজ ফিগার তোমার
জিরো নয় , তবু কিরকম একটা জিরোপ্লাস ফ্লেভার তোমাকে দেখেই জানলুম
ক্লিভেজ আসলে একটি মার্শাল আর্ট
উন্মাদনা হে , তুমি কত সাইজ থং ,গাঢ় রঙ ?


এটি একটি ট্র্যাপ ...

বুঝেছিলুম নিজেও
তবু বুদ্ধিশুদ্ধি লোপ পেলো আমার
ঢুকে পরলুম সদলে
মাষ্টারবেশনের রিং বাজিয়ে দিলুম প্রতি তিন ঘণ্টায়
বুলিয়ে দিলুম চিত্তাকর্ষক লিপ
ঘষামাজা চলল খানিক
চুমা-চাপটি
বেতাল বাদশার হোলিস্টীক

তার পর


একটি আই-পিল খুলে দিল ফ্লুরিজগেট

নরম কেকটি কেটে
আইসিং চেটে চেটে
বেরিয়ে এলুম

মোহের ম্যান হোল থেকে



হালকা লাগছে খুব
অনেকটা পাখির মত
স্বমেহনের পরে যারা স্বেচ্ছায় পালক খসিয়ে ফেলে

যদিও গলাবাজি করে কেউ ঠুকরে গেছে আমাকে
কেউ গেরিলা মেপে পালিয়ে গেছে
বাইশ গজ ডেবোনেয়ার

ব্রেসিয়ারের প্রকৃত শোভা শোনেনি 
অতি দ্রুত লয়ে ডিঙির মাঝিটি
অশিল্পের রতিটি সেরে গেছে ...

জল
হুড্রু থেকে দশম জলটি যখন খসে ...
সে এক অলীক বিভূতি
প্রকৃত ডেথসার্কেল

দুর্দমতা  বোঝেনি কেউ
আর ডি এক্সের দস্যুতাও শোনেনি
হাল্কা আছি তবু

বাঙালী মেয়ে আমি
উপেক্ষা করেছি হায়নাবাজির রিখটার
সিংহের কালাহারি মনিটর

পালকের মত অটুট আছি তবু
 হীরকের সদ্য মানহারা মণিতে



প্রেস দ্য বাটন , ক্লিক দা শো
মাউস টিপে টিপে  মাশরুম

 চোখ তোমার
ব্ল্যাক মাম্বা , বিষ আছে কুলোপানা
নাকি শুধুই চক্কর চক্রা-বক্রা

কনডোম মুখে রোচে
নাকি শুধুই ফরেস্ট অধ্যুষিত কানহা

বারমুডা উঁচু হয়েছে বুঝি
ট্র্যাংগেলের কাছকাছি
ছোটোরা দেখলে ভয় পায়
এমনি তোমার দানোদত্তি 

আমি ?
আমি ভয় পাবো কেনো ?

আমি অলয়েজ দাপুটে সরখেল
কোমেন খেলতে খেলতে
তীব্র জলসঙ্কটেও আছি ভিজে ভিজে

নিত্য দানাপানি না পেলেও
অডিও ভরে  রেখেছি

ক্লিট কুসুম কুমকুম
চার-এক্স ডিভিডি অরবিট


১০

খাওয়া হয়ে গিয়েছে সম্পূর্ণ

ওপর নীচ বাহুমূল
দিক পাল্টে কোণাকুণি লম্বাটে
 গোলাকার বুক ... স ও ব খাওয়া হয়ে গেছে
এখন একটু চুপ এখন একটু মাথা ভার

তার পর
ফেয়ারওয়েল
তার পর
পিঠ চাপড়াও
নিজেকে বলো ওয়েলডান উস্তাদ
চেপে যাও আল্লা রাখা...

এগিয়ে যাও সাধু-সন্ত
নাড়ো চাড়ো লাঠি
পিছিয়ে ... এগিয়ে ... ডাইনে বাঁয়ে

এগিয়ে যাও তৃতীয় / পঞ্চম  / সপ্তম প্রেমিকার দিকে


১১

ইনবক্স খাচ্ছি


একটার পর একটা ইনবক্স খাচ্ছি

স্যুপ সমেত স্বাদু সবুজ বনলতা
কেউ ব্রেসিয়ার ঢিলেঢালা
কেউ চুপিচুপি মেরিলিন
অদৃশ্য ভাইবার খোলা গিনি গিনি পিগ পিগ

আমি আর আমার পাগলা ঘোড়া
মেয়ে জিরাফ দেখলেই ধুন্ধুমার খাড়া
খিদে আর মেটে না
খাচ্ছি ইনবক্স খাচ্ছি মেয়েছেলে
ঘাঁটছি বোঁটা লাগানো দুধ

আজ গ্যালারীতে বিজি আছি খুব
মনীষীর জাতে উঠে গেল নাকি ...
রাজি হচ্ছে না কিছুতেই অই খ্যামটা পাড়ার খানকিটা
খাবো ... ওকেও খাবো মদের গেলাসে ফিনকি করে খাবো মাংসের হালিমে ডুবকি দিয়ে খাবো
চিবিয়ে খাবো আর নিবিয়ে খাবো আমি সাদা জেন্ডার
 আরও খুলে বলি  ...
মুখ দিয়ে না পাই , চোখের কবজি ডুবিয়ে খাবো
তারপর লোমের বাছুরে আর বাছুরের লোমে
ভাসাবো লিংগদয়াল


১২


ন্যাকা ন্যাকা প্রেমগুলি বড্ড বিরক্তি দ্যায় ... আরে ইয়ার ... শরীর ইজ দ জিং থিং । কনভেনশনাল কবিতা লিখে লিখে ক্লান্ত । ভালোবাসো আর ভালোবাসো বলে যতই আঁকাআকি করো না কেন , শেষ অবধি অই শরীরেই তো আটকে থাকবে , জানি ...
তার চেয়ে বরং কাশো জোরে । চটিসাহিত্যের পংক্তিগুলিকে ক্যাশ করো । কাউন্টার অব্ধি নিয়ে যাও । যে কোন হোটেলরুম মকশো করো । টকশো করো তোমার বারমুডা আর নীল টি ।
সেক্সের সময় নীল আমার পছন্দ , আমিও হাল্কা নীল ব্রোকেড ক্যাপরি ... আরে বস , জানবে না কেউ । টেক ইট ইজি । না না , কবজিতে ঘড়িটা থাক । ওকে খুলো না ... ওকে বাজতে দাও ... ও বন্ধ হবার আগে আমি বাজাতে শুরু করি নিজেকে ... তুমি কত সময় নাও ? আমি কিন্তু শেষ হতে অনেক ... আমাকে সইতে পারবে তো ? বইতে পারবে আমাকে ? নাকি পরিশ্রান্ত তোমার পা দু' খানি গুটিয়ে যাবে ...
আর তোমার শুশুবেড়াল ? তার খবর কি ? ... আড় ভাঙেনি এখনো ? সে আবার সিং ভেঙে ধলভূম থেকে সিংভুমে পৌঁছতে কাত হয়ে যাবে নাতো ? আমি বাপু শক্তপোক্ত স্যাটিননারী ...  ঢিলেঢালা নই  ... আমাকে ভেতরে বলড্যান্সের আগে ... শক্ত করো ... জমজমাট করো ... আমার কোণে ... আমার প্রতিটি কোণে আগে করো ... ঘড়িটা বন্ধ হয়নি এখনো ... টিক টিক ঠিক ঠিক ...
আগুন চলছে ... উফফ , তুমি সেই ম্যাদামারা  মিডিলক্লাস ... মিনমিনে ঘেমো প্রেমিক আমার ...
হরকদম আঁকছ গ্রীকড্রামা ... পয়ার ছন্দে অয়দিপাউস আর ইদিপাস কপচে যাচ্ছ সেই কখন থেকে ...
অথচ গ্রে-হাউন্ডের মত সরল আর সাধাসিধে একটা অর্গাজম মাড়াতে পারছ না ..


১৩

সে যখন উল্টোদিক

 ... উল্টোদিকেও সোনালী ফুটো
উল্টে খাও আর পাল্টে খাও
গাছ তো একটাই মুল কাণ্ড লতা পাতা আর কোটর ... দিকে দিকে একই সিস্টেম ... গর্তের মধ্যে ঢোকো আর আছোলা ছ্যাঁদা কোরে বেরিয়ে পরো ... সো সিমপল ম্যান ... পান খাও , আর সেমিলিক্যুইড  জর্দার জর্জেট ওড়াও ঘরে অথবা পরে ...
লাগাও তেলের সিসেম
আর সামলে থেকো না হামলে পরো
সেই একই আচার
কখনো আমের আর কখনো চালতার  ...
টক টক নোনতা ...
লিঙ্গের চোয়াল দাঁতের স্তর ... লালফৌজের লালা মার্চ
জল খুলছে  ? ইচ্ছায় অনিচ্ছায় যৌনতায়
আলুবালু বেবুন
চলছে চলছে সেগুন কাঠের বেবুন
সিঁড়ি বেয়ে উঠছে কখনো শিং বেয়ে নামছে
শ্যামঘন ব্লু লেগুন

ঝাঁঝালো সৈনিকটি মত্ত আছে এখন
ল্যান্ডস্কেপের ধর্ষণ স্কোয়াডে      


১৪

মাত্রই তো তিনটি মিনিট

হে বোধিপুরুষ
তার মধ্যে আমাকে বুদ্ধি ইজম দিতে পারো
এমন বোধিলিংগ তোমার নেই 

এমন বিচি নেই
এমন বিচি নেই তোমার বোধিফলে
যে আমায় বেরিশৃঙ্গারে আতুপুতু কর্নেটো ঝরাতে পারে
যে আমায় রসে-বশে ঘাসে-কার্তুজে করতে পারে


১৫

পালাবার রাস্তাটা আমিই তোমাকে দেখিয়ে দিলাম ...
অই যে অং বং চং
এল সেপ  ...আঁকাবাঁকা গ্রামবাংলার বাহু
চিরকাব্য অইখানে ডুমুরনদী
ঝুমুর দোহারা
লাল কোমর জড়ানো মধুরা
সিঁদকাঠি দাও এবার ... সিঁদকাঠি বহুত পুরানা হ্যায় ইয়ার ... নয়া জেল দাও তাকে
..টক-টাইম চেক করো আর  রিচার্জ ডালো ...

সুষম সবুজ ... বিনাইন সিক্সটি নাইন

এখন তোমার পালানোটা দেখছি দূর থেকে আর
 আর বিভিন্ন অ্যাঙ্গেলের অট্টহাসিতে
উঠছি ...
নাচছি  ...
উফফফফ ... সেক্সের কোন শর্রটকাট নেই ...
লং ... লং ওয়ে ...
পানুগ্রন্থ দিলুম ... ঢাল দিলুম , তরোয়াল দিলুম সেজে ...
হে নিধিরাম ... এবার উঠে দাঁড়াও গর্জে ...


১৬

তুমি কম পড়াশুনো করলে তোমার মা বকে না তুমি বেশি টিভি দেখলে তোমার মা বকে না তুমি ঘুমোবার আগে দাঁত না মাজলেও মা বকে না
শুধু তুমি যখন বাড়ির বাইরে আর মায়ের ফোন রিসিভ করো না তখন মা খুব রাগ খুব ঘাম আর কান্না তখন তোমার মা খুব বকাবকি
কেনো বকবে না বলো ?
চারিদিকে যা হায়না আর নেকড়ে
আর মিছিমিছি প্রেমিক


১৭

এক কামুক আস্তাবল

এখানে মানুষগুলি ঘোড়ার সাথে লম্পটগিরি করে এখানে মানুষগুলি ঘোড়াদের কাছে বেশ্যাবৃত্তি শেখে
না দেখলে বিশ্বাস হয়না মানুষ পায়ু চোষে আর ঘোড়াদের স্তন কুলকুচি কোরে ব্যবহার করে ঘোড়াদের খিস্তি
খেঁউড় করে কাঁচা কনডোম

এদিকে ঘোড়াগুলি ঠিক মানুষের মত
ঘোড়াগুলি  সিন্থেসাইজার বাজায়
ঘোড়াগুলি  গুলজার শোনে
ঘোড়াগুলির সোমরস ঠিক যেন মানুষ
সাদা থকথকে মেয়োনিজ 

মস্করা করছি না
শুধু মিটিমিটি লক্ষ্য করছি
ঘোড়াদের সেক্সশিল্প

না দেখলে বিশ্বাসই হয় না
 ঘোড়াও মানুষের মত

ধর্ষণের ঠিক পরেই মিছিল আর মোমবাতি করে

১৮

শরীর থেকে বেরিয়ে একটা অণু কবিতা লিখলাম । হঠৎ । যেন শুধু একটা শম্পা  অথবা এক দলা পম্পা । বর্ষার খিল খুলে বেরিয়ে গেল ওরা আর দূরে মিলিয়ে গেল পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ বয়ঃসন্ধি । কিছু আকাশ বাতাস পকেটে থাকলে আজ একটা পূর্ণ অবয়ব কবিতা লিখতাম ...
অথবা দরমার বেড়ায় ঘেরা এক ঘর গোলার্ধ ... একটি সুমধুর শরীর থেকে বেরোবার পর নিজেকে কেমন রোববার রোববার লাগে ... ভাতের পাতে সামান্য করলা সেদ্ধ আর নুন মনে হয় অমৃত ... স্ট্রেট ফ্রম হেভেন্স কিচেন ... বিশ্বাস করো , এক পাত থেকে অন্য পাতে উঠে যেতে কবিরা বেশি সময় ন্যায় না ... তুমি নাও ? যারা মশাল জ্বালো , ছবি আঁকো অথবা ড্রাম পেটাও ...আর গলাবাজি করো ধর্ষণের বিপক্ষে ... তোমরাও সময় নাও ?
ভালো কথা , আজকাল ধর্ষণ বেড়ে গেছে এতো যে মেয়েদের রঙ কমে আসছে খুব । গানের সূচ আর সুতোও কমে আসছে  ক্রমশ । তবু প্রতিটি সেলাই জানতে চাইছে কে কার ঘর ... সোজা না উল্টো ... আড় না দীঘল । এইটুকুই যা সমর্পণ । অই যে বল্লুম মেয়েশরীর আসলে একটি শরীরীমেয়ে  ...
তেল ঢালো আর জং সারাও ...
জং সারাও আর তেল ঢালো  ...
অন্যমনস্কভাবে তার বুকে চোখ রাখো যেন কিছুই দেখছ না  , বুকে হাত রাখো এমনভাবে যেন কিছুই রাখছ না ...
যেন লিঙ্গটি টিপে টিপে তুমি এক সাদারঙের সফেদ ভদ্রলোক
 বের কোরে আনছো সংযমের মলম ...


১৯

মনে রেখো সে একইভাবে আমাকে ভালবেসেছিল
মনে রেখো সে একইভাবে আমাকে প্রেমের গদ্য শুনিয়েছিল
মনে রেখো সে একই তুলিতে আমাকে আর আমার ব্রেসিয়ার এঁকেছিল


মনে রেখো সে একইভাবে তোমার বুক থেকে উপড়ে নেবে ব্রা
মনে রেখো সে একইভাবে চুষবে তোমার স্তন , তোমার নাভি
নীল ক্যাপ্রি একইভাবে কোমর থেকে নেমে আসবে মাটিতে
একইভাবে সে তার পুংদণ্ডটি ঢুকিয়ে দেবে তোমার গর্তে
আর তুমি আমারি মত তার প্লেবয়ের ছন্দে ছন্দে দুল্বে
একইভাবে সে জিভ দেবে ,চাটবে তোমার রস
আর তুমি চিঁ হি চিঁ হি ধ্বনি তুল্বে যোনিতে


সে এক নীল দাঁতের তিমি
জিতে নেবে তুফানি আই-পিএল
জিতে নেবে ঠোঁট , বডি স্প্রে
ভিজে ভিজে লিক্যুইড সোপ
ফেনাদার টিউলিপ একইভাবে
মাখিয়ে দেবে তোমার শরীরে


মনে রেখো 

২০

নারীবাদী আমি নই

ছেলেদের বেশ লাগে আমার

দোষ গুণ দাঁড়ি গোঁফ সহকারে ভালোই লাগে

বিশেষ করে পুরুষ
এই ধরুন মধ্য বয়েস
চল্লিশের ওপরে হলেই 
ব্যাপারটা দারুন জমে যায়

এই সময়কেই ব্যাটাছেলেরা আসলে
ঠিকঠাক সোমত্ত হয়
এটা মানেন তো ?
নড়াচড়ার সময়
জল পড়ে লালা ঝরে হুশহাশ শব্দ
বারো হাত কাঁকুড় ... দুটি মাত্র বিচি
তাই নিয়ে কত নাচানাচি
এই জাতীয় পুরুষকে
প্রতিবাদ করতে জানিনে আমি


বরং তাদের প্রতিবাদের সামনে
জমিয়ে ফেলি
ব্রেসিয়ারের সাংগঠনিক শক্তি


নারীবাদী নই
জাস্ট এইটুকুই  শুধু

দাবী না মানা পর্যন্ত
বিছানা  ছেড়ে যাই নে

২১

আমি একজন রেপিস্টকে ভালবেসেছিলাম
আমি একজন রেপিস্টকে প্রেম করেছিলাম


 রেপিস্ট বলেছিল সে আমাকে ভালবাসে
 রেপিস্ট বলেছিল যেও না , ফিরে এসো
 চাকা ঘুরছে ... চাকা ঘুরছে , চাকা ফেরেনি
 ধ্বংস হয়ে যাচ্ছি  , তুমি ফিরে এসো


আমি ভেবেছিলাম

প্রেম সত্যি
মানুষ সত্যি
ভালবাসা সত্যি

এই নিয়েই তিন সত্যি


রেপিস্ট নিজের হাতে জিন্স খুলে দিয়েছিল
রেপিস্ট নিজের দাঁতে কেটেছিল লঁজেরি
রেপিস্ট বলেছিল , লজেন্স চাও না ললিপপ

তাহলে আমাকে চোষো
আমাকে খাও , চেবাও
না , দাঁত নিভিয়ে রাখো
জ্বালাও আই মিন চালাও জিভ

আমি ভেবেছিলাম প্রেম সত্যি জগত মিথ্যে
আমি ভেবেছিলাম অন্ধকার সত্যি আলো মিথ্যে


রেপিস্ট বলেছিল
অপূর্ব স্বাদ তোমার
ঠিক যেন ঝালমুড়ি খাট্টামিঠা অথবা
চরম ঝালদার আফগানি কাবাব
তুলতুলে নরম রেশ্মি
তুমি আমার রেশ্মা
আমি তোমার শাম্মি



ললিপপ চুষতে চুষতে
আমি ভেবেছিলাম

গ্রহণ সত্যি চাঁদ মিথ্যে


২২

ডিঙিয়ে গেছি অরুনেশ

গিয়েছি শরীরে
দেখেছি বেশ্যাদের বুক ক্রোমিয়াম যোনি
জঙ্গলে ঘুরে ঘুরে খুঁটেছি বেশ্যাদের অস্তিত্ব
ফাটল
বন্দুক হাতে রবারের গুলি
দুপায়ের মাঝখানে কবিতামাংস চেখেছি

সুতোয় বেঁধে লম্বা গলার বেশ্যাঘুড়ি
গোল গোল শামুকের মতো স্তন
তুলতুলে মাংসের টুপি ...
ছিপি খুলে পরপুকুরে
ঈশ্বর ঘাঁটতে জেনেছি

ফণাটি উচিও না
ঢোরাসাপের চাবি খুলে বেশ্যাপল্লীর তালাটি
চুষে  খেতে আমিও শিখেছি ...


২৩

ভালবাসা বা প্রেম শুরু চোখ থেকে ...
কাউকে দেখলাম আর ভালো লাগলো ।। আর শুরু হল নিশপিশ ...  বুক দুটো বেশ উঁচু উঁচু , পাহাড় পাহাড় গন্ধ ছড়াচ্ছে , নাক চোখ মুখ ফুঁসছে সমানতালে , পাছাটাও বেশ গরানগাছের মত গোলআঠালো  , যদি শিল্পী হতে পারতাম তাহলে ছবিই এঁকে ফেলতাম ..অ্যাবস্ট্রাক্ট আর্রট .... লম্বা একটা রেখা  , দুটি পাখি পালক সমেত ... বুকের কাছটায় দিতুম কুণ্ডলী পাকিয়ে , পাছার জায়গায় উল্টো করে দিতুম তানপুরা ... আর হিসুর জায়গায় একটা  খরগোস দিতুম সাজিয়ে ... আর অম্নি খাড়া হয়ে যেত দুনিয়ার বাঁড়া ...
 সে যাই হোক ... এই পর্যন্ত দেখেই সজাগ হোলো  চোখ  , মগজকে ডেকে বলল , দ্যাখো হে এই মালটি নরম গরম এবং রসালো , এর হাট বাজার , কামিজ সালোয়ার , তোলো খোলো ... বার বি কিউ করো হে ...

অতয়েব চোখ থেকে শুরু হল প্রেম ... তারপর গড়াতে গড়াতে ধাক্কা খেল ঠোঁটে এসে ... সেই ধাক্কার মধু ... কোন সিসমোগ্রাফই সেই ক্ষরণ মাপ্তে পারলো না ... মধু নামতে শুরু করল নীচের দিকে ... ও মাই মাই ...ফলবতী  কাঁঠাল , ফুলের ঝিল ... চটকে চটকে চাতকপাখিটি , দুর্দান্ত করে দিচ্ছে আমাকে , নীচে নামছি আরও , জোরে জোরে নাভি বাজছে খুব ... হুম্না হুম্না ... ভুল ভুলাইয়াটি ... আরও নেচে নেচে আয় মা শ্যামা ... ওহে দিগম্বরা তোকে নেত্য করি ... তোকে আরজু করি ...
হে ঈশ্বর , এ কে , এ কী  ? প্লেটো না রঁদেভু ? আর্কিমিডিস না সক্রেটিস ... নাকি ওপেনহাইমার ... ওপেন খুলে দিচ্ছে বায়স্কোপের জামা ... এ যে মেসোপটেমিয়ার নদী ... নীল নীল ... শিরা ...  এই বুঝি জিরোআওয়ার  ? ...
অপরাধবোধ হচ্ছে ? ভুলে যাও ... যে কোন স্নানের পর কোন কলঙ্কই কলঙ্ক নয় ... শুধু চাঁদ ...
 তুমি শুধু বাঁকা হয়ে শুয়ে থাকো আর আমি তোমাকে আমার কাস্তে দিয়ে আঁকা করি ... আঁকা করি ...

ষ্টীম ইঞ্জিন চালাই ... না না এখন কোন শাড়ি নয় ... এমন সময় স্বয়ং  কৃষ্ণকান্তই তাঁর রাধাকে শাড়িতে জড়ায়নি আর আমি তো রাবণ ... রামায়ণ খুলে ফেলো ... হে সীতা ।
হে মাদারচ্যাপেল  ... গির্জা বুকে জড়িয়ে রেখো না ...
বুক তোলো ...তাসপাশার মাইদুটি...  চোখ খোলো ... আর  তোমার তুরুপে ঢুকিয়ে দিই রাধামাধবের টেক্কা ...


২৪

কী  নিতে চাইছ ? সেক্স
কী  দিতে চাইছ ? যৌনতা

সেক্স সত্যি খুব ছোট
এত অল্পে শেষ হয়ে যায়
যৌনতা আরও আরও ছোট
শুরু হয়েছে কিনা তাও বোঝা যায় না
তার আগেই শেষ

আমার সাধ আছে , সাধ্য নেই
মন করে সেক্সমুহূর্তটিকে বেঁধে রাখি
সোনার পাথরবাটির মত ... জৌলুসটুকু
ন্যাপথলিনের কৌটোয় জড়িয়ে মুড়িয়ে রাখি
যেন মাত্র দু দিনের শিশুটি দুধ চাইছে খুব

দৃশ্য দেখি বহুক্ষণ ধরে
কুসুমে কুসুমা
লক্ষ লক্ষ যীশু
পাদ্রীর পোশাক খোলা যিশু
ব্রেসিয়ারের কাঁটাতার টপকে
গোলাপ ফুলের প্যানটি ছাপিয়ে
ছল্কে যাচ্ছে ছল্কে যাচ্ছে একটার পর গির্জা


২৫

এখন এমন একটা সময়।
আমাদের যোগ নেই যোগাযোগ ও নেই। অথচ এটা তো আর অস্বীকার করতে পারি না , যে একদিন আমরা একে অপরের শরীরে ঢুকেছিলাম

তুমি বলেছিলে , যতই নিষিদ্ধ হোক আমার ভেতরটিকে  তুমি চাও , আমাকে তোমার ভেতরে চাও । বলেছিলে , চিনিদানার অই উরুক্কু সন্দেশ আমাকে দাও , আমি বড় অসহায় ... বহু ক্ষতলাঞ্ছিত আঁকা মানুষ ... সম্পূর্ণ হেজে মজে সরু হয়ে যাবার আগে ... আমাকে তোমার  ভেতরে থাকতে দাও ... দুটি মিনিট শুধু কইতে দাও ...

মায়া হলো খুব ...
আমি তোমাকে প্রবেশ করতে দিলাম ...
বেরিয়ে এলে তুমি ... অথচ জানালে নাতো ... ভেতরটি কেমন আমার ? ... আমি নিজে তো চোখেও দেখতে পাইনে । তাই জানতে ইচ্ছে করে  ... ভেতরের গ্রন্থটি কেমন ? সব কটি খণ্ড ছুঁতে পেরেছ ? পাতাদের  নিঃশ্বাস পড়তে পেরেছ ? তোমাকে শব্দ দিয়েছে তারা ? মাছিদের প্রতিযোগিতা পেয়েছ সেখানে ? রমণের সেই ঢেউ , তোমার জিভটির কি নদী পেয়েছিল খুব ... আমার ভেতরটি কি আমার বাইরেই মতই ... খুব বেশি কথা বলে ? গান শোনে ? ইতিউতি রবিসঙ্গীত নাকি অতুল অনুপম ... অথবা লগ্নজিতা ... প্রবল বয় ঋতুস্রাবের দিনে ?
এখন তুমি কার ভেতরে যাও ? খিদে পেলে কাকে তেষ্টা করো  ? কফি মাগ পূর্ণ হয় তোমার ?
তারপর আবার বেরিয়ে আসো ... ভূগোলের পাঠ্যবইএর নতুন কোন পৃষ্ঠা ... নতুন কোনো ম্যাপে চোখ   ... নতুন পাহাড়ে বাঁধাই করো নতুন সিলেবাস  ...নতুন কোচিং ক্লাস ... সেলুলার কি তোমার নতুন উপন্যাসের স্কিনটোন ?
কেন জানি না ... আজ বাইরে খুব এস এম এস
কেন জানিনা ... আজ ভেতরে খুব এস ও এস


২৬

আমাদের সেক্সগুলি সব পোশাকি ছিল না ?
পোশাক খোলা , আর্সেনিক মেশানো নদী নালা ?
জল কি ঝরেছিলি আমাদের ? নাকি শুধু জিওগ্রাফিক টানাপোড়েন ? সব রোম কি নীরোর রোমান্স বাজাতে পারে ? পারে না তো । সব বেহালা আবার কিংশুকের লাল খুঁড়তে পারে না মোটেই ... পোশাক টেনে হিঁচড়ে কি নগ্ন হওয়া যায় ... নগ্নতা একটি আশ্চর্য শব্দ ... হরিণ ছুটছে , তার শব্দ নেই ... ব্যাধ ছুটছে ... তার শব্দ নেই ... অথচ একটি শব্দেই ঝরে যাচ্ছে কত বিরহ কত কলহ ...
এক একটি সেক্স ... আশ্চর্য অধ্যায় হয়ে যাচ্ছে ... নিয়তির মত ... ঠিক যেন একটি নেকুপুষু  বেড়াল ... উশখুশ  গাছপালার ভেতর ...
ঈশ্বরের ব্যালেরিনা জড়ানো ...


২৭

 রস টস ঝরেছে তো তোমার
নাকি আমার মতই বিস্ময়ে হতবাক
কতখানি দ্রবণ নাকি অরগাজম নামমাত্র
কামড়েছিলে ক্লিট নাকি
বাদামীনালে লালা ঝরিয়েছ কেবল ...
লজ্জা পেও না , বল খোলাখুলি ...
সেক্স তো আর সপ্তম আজুবা নয় ... হতেই পারে ... শুধু ঝাঁপিয়ে পড়ার অপেক্ষা ... যখন তখন হতেই পারে ... যার তার সাথে হতেই পারে ...
এবার বল কেমন লাগ্ল স্বাদ পেলে নতুন প্রেমিকার ?
আমারটার থেকে ভাল না খারাপ ? ঠোঁট কেমন ? মার্বেলের মত গড়ানো নাকি বেদানার মত গোলাকার ? ... জানতে চাই , তার বুকদুটি কেমন ? শিকার ধরতে পারে ? আমার  মত ? নাকি আমার থেকে সাইজে বড় ? টেপাটপি করলে আঠা ঝরে  ?
লজ্জা পাচ্ছ ? লজ্জা পেলে ? ...
টেল মি অ্যাবাউট দ্য ডাউনস্ট্রিম মেন্থল ...দ্য আলটিমেট পিপারমেন্ট  ...


২৮

ফুরিয়ে যাচ্ছ তুমি
কুঁকড়ে যাচ্ছ আয়তনে
খুব দ্রুত
খুব তাড়াতাড়ি
তরল নাচছে তোমার ঝুমঝুমি

আমি এমনকি শুরুও হইনি...  ছিপি খুলে বোতলের দু দাগ মাত্র উঠেছি ... তোমার ফুরিয়ে যাওয়া দেখতে দেখতে আর তোমার সাদাত্ব শুষে নিতে নিতে ...
নিজের ভেতরেই নিজেকে ঘনত্ব করছি নিয়মিত


২৯

পাখিদের তো দিক ভুল হয়না
অথচ দ্যাখো ... ভায়েগ্রা ২৫ মিলিগ্রামের পরেও তুমি একখানা গ্রামও গজাতে পারলে না শহর তো দূর
আমার যোনিটি ভাদুরে , আদুরে কলাবতী  ... কত ঝড় বাদল ...  মথ থেকে প্রজাপতি ... জি-স্পটের কেরামতি
চাকচিক্য শান দিলেম ছুড়িতে ... পাথর টুকরো দিয়ে ফুটো হোলো ব্রেসিয়ার খয়েরি ... বোঁটাদুটি ঝাঁপ খুললো
ওরা আসলে দুটি চোখ ... স্নেহ আর স্তনের আকার
বেড়ে উঠলো বুক  ... সীমানা  ঘুচিয়ে মারবে আমাকে ?
মারো । বলছি তো মারো । দানিকেনের মতো মারো । প্রেতঅস্থির মত এরিক ফল করো আমাকে । চেরো । চিরে ফেলো স্মৃতিস্তম্ভের গুলাবি রস ...
তোমার লিঙ্গসদৃশ পাখিটি ...
জাঙ্গিয়ার মশারিতে মেনীমুখো বেড়ালটি যেন


৩০

আমি নিজে আটান্ন কেজি ...
বুক দুটোর ওজন আর কত হবে ... মেরে কেটে দুই কেজি   আচ্ছা , ধরে নাও  ... শিশুমেয়ের মত শুধু হয়ে আছি ... ব্রেসিয়ার পরে নেই এখন ।
 50 গ্রাম আরও মাইনাস । তো সাকুল্যে দাঁড়ালো ... দু কেজি মাইনাস 150  ।
আর এই যে যোনি যার জন্যে এত যমে মানুষে টানাটানি তা ধরো 2০০ / 3০০ গ্রাম হবে ... হবে কি ?
 গুগুলে সার্চ ইঞ্জিন জ্বালাতে হবে ...
মজার কথা এটাই যে ৫৮ কেজি আমি পুড়ে যাবার পরেও এদের আগুন কিন্তু নিববে না ...


৩১


আর লোভ হচ্ছে খুব , চাটছ জিভ
দাঁড়িয়ে যাচ্ছে লম্বাটে শামুক

যত বার প্রেম প্রেম বলে চিৎকার করেছ
 ততবার লাইট অ্যান্ড সাউন্ড
জ্বলছে আর নিবছে  লিংগ-হার্বার 
হার্বাল চিকিৎসা করো বুঝি ?

ও আমার দীর্ঘজীবী প্রেমিক
 আশীর্বাদ করি
তোমার মিসাইলটিও তোমার মত মাস্ক্যুলিন হোক

নইলে যে প্রেম মিথ্যে
 শরীর মিথ্যে
মিথ্যে জড়িবুটি ... সাঁজোয়ার অহঙ্কার

জাপানি তেল
গান-স্যা্লুট

উঠে দাঁড়ালো ?
তোমার চাইনিজ চেয়ারম্যান ?


৩২

সেই একই তো পানপাত্র
প্রেমপাত্র
আধারটুকু বদলে যাওয়া শুধু
আসল কথা হল চাওয়া
আসল কথা খিদে পাওয়া
এক এক বার এক এক রকম
শরীরের জন্য খিদে পায়
এই মুহূর্তে
তোমার ছবি দেখছি আর
আমার যৌনতা পাচ্ছে খুব
আর তোমাকে না দেখতে পেলে
আমি ছবি আঁকতে শুরু করছি
তোমার
পিঠের কামদুনি
ভুরুর কামচুল
আর মন দিচ্ছি
মনের মাস্টারবেশনে


৩৩

আসলে কী জানো
আমি কোনোদিন যাইনি তোমার কাছে
যা গিয়েছিল তা একটি শরীর
দুটি বুক থার্টি সিক্স বি
একটি যোনি আর তাকে ঘিরে
কয়েকটি লোমকূপ
আর একটি গর্ত
আশ্চর্য ব্যাপার দ্যাখো
তোমার অই আস্ত অজগর
আমার এই দুফোঁটা গর্তকে
গিলেও ফেলতে পারলো না


৩৪

কী যা তা লিখছেন
এইসব অশ্লীল কবিতা
একজন মহিলা হয়ে
কী ভাবে লিখলেন বলুন তো
ছ্যাঃ ছ্যাঃ
আমি স্পষ্ট দেখলুম
চশমার কাচ ভেদ করে
চোখ বেরিয়ে আসছে ঠিকরে
পাক্কা দর্জির মত
মাপ নিচ্ছে বুকের
চোখের ভেতর থেকে কিলবিলিয়ে
বেরিয়ে আসছে হাত পা মগজের ঠুলি
আমার অশ্লীল কবিতাদুটি
ব্রেসিয়ার খুলে আনন্দে ধেইধেই
লাফাচ্ছে
কবির মুঠিতে


৩৫

না
আর নয় ...
বয়েস অনেক হল
লুকিয়ে চুরিয়ে মেটাফর দিয়ে
আর কিছু লিখবো না
খিদে পেলে বলবো খিদে পেয়েছে
সেক্স পেলে বলবো সেক্স পেয়েছে
আজ দেখছি দূরের পাহাড়
বিজলি গ্রিলের মত চকচক করছে
কৈলাস নাকি রে বাবা ? আর এই দগদগে দৃশ্য দেখে
আমার ষ্টীলের রডটি দাঁড়িয়ে যাচ্ছে কেবল
আমি কি স্বয়ম্ভূ ? শিব শম্ভু ?
একদম সোজাসুজি রড ঢুকিয়ে দিলুম
নেপালের ফুটোতে
শঙ্খ
শাঁখ বাজলো আকাশ ফাটিয়ে ।


৩৬

আরে ধুসসস
প্রেম টেম আসলে কিছুই না
আসলে বৃষ্টি হচ্ছে খুব
ঝমঝমিয়ে দুটি ব্যাঙ বিয়ে করছে
আর মালা বদলের পর
সোনা ব্যাঙ বলছে
আজ খাল হয়ে
বিলের ভেতরে সেঁধিয়ে যাবো একদম
রূপোর ব্যাঙ ঘোমটা তুলে বলছে
কনডোম কনডোম


৩৭

তোমার তিনটি পা

দুটি পা আমার বুকে
একটি পা আমার মুখে

যদি একটিও হাত থাকতো তোমার

নেমে আসার পরে
আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে


৩৮

সে আমাকে পৌঁছে দিয়েছিল
বাগডোগড়া এয়ারপোর্রট থেকে
শহর কুচবিহার
সেদিন খুব ঝড়বৃষ্টির পরব
কাশ্মীরি শালের শুনশান

ছেলেটি বছর ত্রিশ
রাফ অ্যান্ড টাফ
স্পীড বেশি
স্পীডোমিটারে কাঁটা
 দ্রুত
দ্রুততম
আবহাওয়া অনুকূল

তবু  চাকার গায়ে
এতোটুকু দাগ লাগেনি


৩৯

আমার একটি নিজস্ব মাস্টারবেশন আছে

নিজস্ব ঢঙ
আঙ্গিকও একদম নিজের
একজন নয় , হাজার পুরুষ
খুঁটছে আমাকে
চুষছে , তামাকু করছে
চাটছে  চোখ
টোব্যাকো ঠোঁট

আমিও সহৃদয় সিগার
দানা দিচ্ছি , পানি দিচ্ছি
হাজার পুরুষকে দিচ্ছি দ্বিগুণ দ্রবণ

ব্রকোলির স্পার্ম
 গিলছি গোগ্রাস
হাজার চুষির পুং - কাঠি

অরগাজমিত হচ্ছি নিয়মিত
সত্যিকারের পুরুষ ছাড়াই

0

আমাকে রেপ করে ছেড়ে গেছ

তোমার নখ এবং দাঁত এখন বসে আছে
নতুন প্রেমিকার জমানায়
বুকে এবং বোঁটায়

আমি শুনতে পাই
তোমার মাস্টারবেশনের আওয়াজ

তোমার তাল এবং লয় গন্ধ পাই
আমিও কম ছন্দকার নই
বাড়িয়ে দিচ্ছি স্কেল
দেশলাই এবং মাচিস
নুনু এবং ঘর্ষণ
চুনো পুঁটি এবং রাঘবের বোয়াল

৪১

জানালার কাচে নিমগাছ দুটি

রাত বাড়লে একে অন্যের কাছে যায়
পাতার ব্রেসিয়ার আর বাকলের জাঙ্গিয়া উড়ে যায়

ডাল পাতা লতালতি করে

সকালে উঠে দেখি
নিমফল আর স্পার্মফুল

চেয়ে আছে আকাশ


৪২

ধরে নেওয়া যাক

সেদিন পাশাখেলার রময়
শ্রীকৃষ্ণ রাধারঞ্জনে বিজি
পাশাগৃহে পাঞ্চালীকে বস্ত্র সরবরাহ সম্ভব হয়নি

বিবস্ত্রা দ্রৌপদী

হস্তমৈথুনের সুগন্ধ
রাজসভা আলোকিত অন্ধকার

চুপচাপ কামাখ্যাস্রাব 
টুপটাপ স্পার্মকৌরব
BDSM

পাশাখেলার চাইতেও শক্তিশালী
এবং সুদর্শন একটি চক্র


৪৩

আপনাদের বিশ্বাস হয় ?

সীতাকে বাগে পেয়েও রাবন কোনদিন ধর্ষণ করেনি ...
অথবা সীতা নিজেই আলোড়িত
যৌনরস খসাতে
রাবনের কাছে যায়নি ... 
বুকে হাত দিয়ে বলুন তো
বিশ্বাস হয় ?

আমার তো হয় না ...

আফটার অল
সীতা একটি আতাফল

আর রাবণ মারাত্মক
তোতাপাখি


৪৪

মাস্টারবেশন একটি উচ্চমার্গীয় ক্র্যাফট

আঙুলের বুরুশ
ক্লিটোরিসের কুরুশ

বোনা হচ্ছে শিল্পাঞ্চল

এক মনে বোনা হচ্ছে

শতাব্দী-প্রাচীন সানফ্লাওয়ার


৪৫

আমি আমার ভেতরে আর কোনো পুরুষ রাখি না ...


পুরুষ রাখতে গেলে নিজেকে ভাড়াবাড়ি হতে হয়
পুরুষ রাখতে গেলে মাটিতে গড়াগড়ি হতে হয়


তার চেয়ে এই ভালো
সাদা শুশুকের মত
নিজের যোনিতে হাতাহাতি করো
আঙুলে হাঁটাহাঁটি করো


ভোরের আলো ডেকে বলে
এই , তোর হোলো ?


৪৬

কুকুরের চোদাচুদি দেখতে দেখতে
তোমার বেশ কামভাব হয়
 ঠাকুরের যেমন নামভাব হত
রসে বশে ষোলটি শাঁসে একাকার

তফাত একটাই
তোমার লিংগ দিয়ে সাদা সাদা ফেনা বেরোয়
ঠাকুরের বেরতো না
অথবা বেরতো
আমরা জানতে পারিনি

যতটা জানি অমৃতসমান
ঠাকুর উলংগ
নির্ভার নিঃসংকোচ দণ্ড
আর মা কালী নির্লজ্জ যোনি


৪৭

তোমার বন্ধ ব্রেসিয়ারে কড়া নেড়েছি বহুবার

হুকের ডাহুক বিলি করে
আমাকে ঝিল করে দিয়েছে
অই বজ্রআঁটুনির গেরো সংসার

তুমি কম হরিণী নও হে
তোমার অরণ্যানী , হাল্কা নারায়ণী
গাঢ়  প্রিয়ংবদা
নীলমেরুনে শ্যামল শকুন্তলা

তোমাকে
শুধু তোমাকেই
আমার কৃষ্ণমূর্তিটি দেখাতে পারি
তুমি সুতনুকা জিরাফবতী


জিন্সপাড়ার সদস্য সুকুমার
ক্যাপ্রির নির্মল হাঁস , চাঁদমাটি
স্ফটিকের জল খসানো ছদ্মনাম
কাড়া নাকাড়া ডাকনামের কেরামতি ...

আর আমি এক গ্রাম্য শুশুক
ভাবতেই অবাক লাগে ...
কীভাবে তিনইঞ্চির টাট্টুঘোড়া ছুটিয়ে
তোমার অনন্ত টারবাইন

আসছি ,


৪৮

তোমার কথা কাউকে বলিনি
তুমি যে আমাকে রেপ করেছ তাও জানাইনি
আমাকে চেটে চেটে তোমার জিভ যে লম্বা হয়ে গেছে
এটাও নয় ...
তোমার স্ত্রী কি টের পায় , ? বুঝতে পারে তোমার জিভবদল ? বায়ুবদল ... আবহাওয়ার নতুন গন্ধ পায় কোন ? আমার ? আমাদের জলবায়ু সে কি বুঝতে পারে ... তোমার জিভে আমার যোনির ছায়াটুকু ..সরের মত লেগে আছে ... আমার দুধের সুবাতাস পায় তোমার ঠোঁটে ?
নাকি তাকেও ভালবাসায় বুলিয়ে রেখছ আর নাকের ডগায় দুলিয়ে রেখছ মাগরিবের শিঙা ...


৪৯

ধর্ষক পুরুষ গো
তোমাকে জেনেছি শ্রমণভিক্ষু আর আমি সুজাতা
দিয়েছি দরজা খুলে পায়েসস্তন মুখে গুঁজেছি তোমার
মুঠো দুধ দিয়েছি দারুণ
পিপাসাগাছ মেলে দিয়েছি
যোনিসত্র জলসত্রের ত্রিপিটক
শান্তি পাও যদি
ফিরে এসো আবার বিশাখার বোধি ব্রাগাছে
ফিরে এসো বুকের ফোঁটায়
দেখে যেও
তোমার মাতামহী

তোমারি অদৃশ্য অপরাধের ভারে কেমন
আগাছায় নুয়ে শুয়ে আছে


৫০

সে ছিল এক তরুণ তেইশ
আমার প্রেমিক আমাতে খাওয়া দাওয়া করে আমারি তোয়ালেতে হাত পা মুখ মুছে তোমার মিছিলে লুকিয়ে গেছে
আমার প্রেমিক সে এক চল্লিশ
মধ্য মানুষ প্রেমের দোহাই দিয়ে
আমার ঢালে তার তরোয়াল ঢুকিয়ে
তছনছ পালিয়ে গেছে
বরাহনগরের অলিতে গলিতে

আশ্চর্য
বাইশ বছরেও তুমি একটুও বদলাওনি
হে কলকাতা
 তুমি সেই একই শরীর
এক সাথে প্রেমিক আর ধর্ষক রয়ে গেছ


৫১

আমি সেই মেয়ে
মিডিয়া আমাকে নিয়ে চেঁচামেচি করেনি
মিডিয়ার কাছে যাইনি যে


তুমি প্রেমিক
কঠিন হাতে শক্ত দাঁতে
যখন উড়িয়ে দিচ্ছ ক্যাপরি

তখনো ভাবছি
ভালবাসা সাচ্চা বাঘের বাচ্চা
ক্ষুধার্ত বাঘের মুখে হরিণ তুলে দিতে হয়

খুলে দিতে হয় বোঁটাদার বুটি


৫২

কাপসাইজ

একটি পর্দা অথবা দুটি বা তিনটি পর্দা একসাথে সেলাই দিলে অন্ধকার খুলে দাঁড়ায় যে স্পেস , যেন একটু ফাঁকায় আঁকা শ্যামকল্যান , আমরা তার নাম রাখি ব্রেসিয়ার । অই যে ফাঁকা সময় , ঠিক সেইখানেই দাঁড়িয়ে সঙ্গীত অথবা গান অথবা প্রমান সাইজের একটা pause .... একটি নোট থেকে অন্য নোট , পদাবলী আর কাহাকে কয় ... প্রকৃত মেঘ গায়কেরই স্বেচ্ছাকৃত স্বর্গ ... যে মুহূর্তে স্বর্গটি শেষ হল , তখনি শুরু আলোড়নের রাগবিস্তার । আমরা ঠিক অনুসরণ করতে পারি না ,তাই  ভ্রমের ছন্দ এবং ভৌগলিক প্রয়াগকে যৌনতা বলে  শিস করি  । দুর্বিনীত হই । আঁচড় কাটি । ছলাকলা । অই যে গান শোনার বর্ণনা , বটপাতায় নিষিদ্ধ যন্ত্রীর রেওয়াজ ... এইভাবেই শুরু বুড়ি ছোঁয়ার খেলা ... থুড়ি ... কচিঝাউ আর আনকোরা দেবদারু ঘেরা বাসনাবেলা ...
শ্রোতা পাওা যায় না । পবিত্র শ্রোতা পাইনি কখনো । তুরুপের তাসে গ্রহণ করেছি শুধু দোসরা রঙের সেতু । কাছে পাইনি । পাবার কথাও নয় । কথাদের শুধু গ্লাসপেন্টিং । নিঃসঙ্গতার ভেতরে যে আদিম কলমরিফিল ... শুরু করেছি তার দাগ সংগ্রহ । বড় মায়াময় ব্রেসিয়ারের আখরগুলি । ছানভিন করি ধূলিকণার আদমসুমারি । বৃষ্টিদিনের কুলুপ আঁটা ...  উপাসনা সেরে নিই , সে কেমন করে হয় , কী ভাবে হয় ... কীভাবে ঝিকিমিকি  বুর্জোয়া পানপাত্র ... 
নাকি কস্মেটিক টিলাই শুধু  ?
... ব্রেসিয়ারের নিজস্ব ওজন তো আর হয় না । গানেরও হয় না যেমন । যা হয় তা সুধামিশ্রিত , ফর্সা আর কালোয় মেশানো উদ্ধত দম্ভ । একে ম্যাজিক-রিয়েলিজমও বলা যায় ...
সেই ম্যাজিকের জালে আটকে রাখো পরাজাগতিক ব্রেসিয়ার , প্রিয় দর্শক হে
শেকলে ঝুলিয়ে দাও চড়া পেইন্ট আর টাইট পাউডার পড়া মূল্যবান ব্রেসিয়ার , প্রিয় ধর্ষক হে
হীরের আংটিজোনে বেঁচে দাও , ছেঁচে ফেলো  ... ফাঁদে ফেলো সেই খানকিপাঠ্য ফিক-ফিক ফাজিল ব্রেসিয়ার প্রিয় কণ্ঠস্বর হে , আরও মজবুত করো নিজেকে , গুহালিপি থেকে বেরিয়ে এসো চৌরাস্তার ম্যারাথন ব্রেসিয়ারে । কেউ যেন জানতে না পারে সম্পাদকীয় ব্রেসিয়ারটি কবে থেকে মরে আছে ... শুয়ে আছে বাবুইবাসার তেজাব- সাহিত্যে । ব্রেসিয়ারের কলকব্জাগুলি নাড়ো । নেড়েচেড়ে দ্যাখো , ওর মধুমেহটি  ঈর্ষা করার মত । হুকগুলিকে মেসোফিলের গল্প দাও । বাজাও ক্লোরোফিলের গান্ধীমুরতিট্রমা কোথায় ? ... তুমি এক দুপুরচালক , ট্রামলাইনের বুক চিরে গন্ধ নিচ্ছ এখন ... আয়েশে আরামে কুসুম কুসুম ব্যালেরিনা ...
গন্ধ শিখছ লাগাতার ... বনলতা চেনের বিধবা-ব্রেসিয়ার  ...
ওগো পুরুষ , শ্লেষ দিইনি তোমাকে । তার বদলে খুলে দিয়েছি ব্রেশট... শ্রেণীশত্রুর আব্রুবিহীন ব্রেসিয়ার । কাপসাইজ যেন পিস্তল কইছে কাপ্তাই তিথিতে । কোয়েল ডাকছে খুব । বিপ্লব ভেবে অজস্র দোয়েল ফলেছে , সেই রক্তছাপা চেনা ছক নিজেকে উপহার দিই আজ । নিজেরি আজ জন্মদিন যেন  ... মৃত্যুর মিথেইন থেকে  ছুঁড়ে ফেলে দিই ব্যাপ্টিস্টের বর্ণব্রেসিয়ার । ভোরের স্নিগ্ধ আলোর সন্ধান করি নিষ্পাপ সতীত্ব নিয়ে শুয়ে থাকা ব্রথেল ব্রেসিয়ারে জমে আছে থরে থরে বেশ্যাঘর ।  বেশ্যাজানালা । দরজার দুটি পা ফাঁক ...সবাই রোমাঞ্চিত । সবাই ফাঁকতালে ঈশ্বরী-ব্রেসিয়ারের গল্প করে আমাকে আর আমি পার্থক্য করতে পারি না সেই রোম্যানটিসিজম ... কার ব্রেসিয়ার সোনার ? ঈশ্বরের নাকি রূপোলী বেশ্যার কার কাপসাইজ এক মন্দিরের সমান ... কে অতিরিক্ত বৃহৎ ? শিহরিত সাপের কলসভরা স্লোগান ? ... কোন ব্রেসিয়ারে মাধবী লাগে , রাত বারোটায় ছত্রিশ বি রিং টোন , অই শোন ... আহা ! আমার প্রিয় পুরুষসকল , তোরা শোন .... চৌত্রিশ সি আর আটত্রিশ ডি , দর্পণে জ্বালিয়ে দে শরতশশীর রোমকূপসকল ... আজ বড় নির্ভীক চিতাকাঠ ... মাপ নিতে ওঠ তোরা ... হেঁটে যা ভার্জিন ... আড় ও দীঘল ... পুড়ে যেতে যেতে জেনে যা ... আগুনের ডাকনাম বিদ্যুৎলণ্ঠন ...
পোরশিলিনের ভঙ্গুর ব্রেসিয়ার ...  কি নাম দেবে তাকে? ভাবো পুরুষ ভাবো ... তারপর
পৃথিবীর প্রথম গনিকার প্রাক্তন ব্রেসিয়ারে চুমো খাও । একবার খাও , চোষো অবাধ্য করোটির  ফুল  , অবুঝ কন্যার পাতালমুখী ভুল পান করো সশব্দে ... প্রার্থনা কর একবার ... যতগুলি মুদ্রা আছে তোমার  ... জেনে রাখো প্রতিটি ব্রেসিয়ার প্রকৃতির আদিম হেমস্টীচ ... আর প্রতিটি বেশ্যাগৃহই অলৌকিক ... দু মিনিট নীরবতার শ্রেষ্ঠ শোধনাগার ...
সেদিন আর নেই । যেদিন আমরা ব্রেসিয়ার লুকিয়ে রাখবো মাটির তলায় । বুক লুকিয়ে রাখবো ঘাসের আলমারিতে । সেদিন আর নেই যে শীর্ণ হাতের মুঠিতে লুকিয়ে রাখবো অসমাপ্ত  স্তন । এখন আমাদের কেলাসিত নান্দনিক সূত্র , বিলাসী রাতপোশাকের সফেন গর্ত । যেমন করে পোশাক খুলি আর খুলে ফেলি দিন ভর্তি রাত ... দালান চিলেকোঠা , চুড়ির আওয়াজ , রিমঝিম গা কচলানো , তেষ্টায় ফেটে যায় আমাদের ডাকহরকরা । আমরা ছল্কাই নদীর উত্তেজনায় । প্লাবনে ভিড় করে ভিবজিওর - ব্রেসিয়ার । ওরা বলে , কঠিন । খুব কঠিন হার মানা লাল হার । সাদা শাঁখা । নীল নথের মুখ । উচ্চতা । কোটর । ফাটল । নিভাঁজ কিনা ? পুলকের জল নেই । আর মাদলের নেই চোখের পাতা । ব্রেসিয়ার পড়তে ভয় হয় । ভয় করে খুব । আকাশ ভরা চক্ষুদান । অসামান্য দান আর তার মাঝখানে কেন সেই অমোঘ আহ্বান ...
ব্রেসিয়ার হাসি মুখে বলে , আমাকে পড়ো না । বরং ঝর্ণা পড়ো নির্ঝরে ।  রূপসী নারীর পুনর্বিবাহ মেনে নাও । আমিও মেনে নিয়েছি পাহাড় বনস্পতি । আমিও মেনে নিয়েছি জঙ্গলরাজ । ট্র্যাফিক অরণ্যের চিরুনি তল্লাস যেমনটি মেনে নিয়েছি । আমার অলঙ্কার নির্মাণ ... বহুমুখি মহাপরিনির্বাণ .........সবাই দেখি ব্রেসিয়ার পড়েছে আজ , মন্ত্রমুগ্ধ থেকে নারায়ণীর মহান লোককাহিনী ... অজাতশত্র মরু হিংলাজ ...
কালীমূর্তির বিবসনা জবা , তুমি কেন সবুজ ব্রেসিয়ারে বৃতিটি লুকোওনি তোমার ? তুমি বুঝি নারী নও ? বুক  নেই তোমার ? চোখে আছে ঠুলি ? লোকে দেখছে যে ... লজ্জা শরমের সুগন্ধে তুমি বুঝি বাগানখানাই হারালে ?
না । তোমাকে দোষ দেব না আমি । জেনেছি , তুমি বন্দী আছ লোকালয়ের অন্ধ ফড়িং আর দেবালয়ের  মৌচাতালে ... দোদুল দোলায় আক্রান্ত হয়েছ তুমি আর তোমার অগ্নিবীণা , ওগো জবা , তোমার বৃষ্টিস্থলের সেইসব রেখা চিনেছি যে ... সেই হসন্ত সেই তেরছাগতি , তোমার গতিজাড্যের ওয়ারলেস ভ্রূকুটি ... তুমি হেলান দিয়ে থাকো , তুমি ভাঙো তবু মচকাও না ... একটু অপেক্ষা করো , অপেক্ষার তো কোন ভ্রূণ হয় না ... তোমার টানেই অজস্র তান । তোমার তানেই যাজ্ঞসেনির স্নান । তুমি নায়িকা প্রধান মহাভারত । রাজা দ্রুপদের অগ্নিজাত কন্যা , তুমি আগুনপারা ... তোমার বলিষ্ঠ মেদিনী , তোমার তো কখনো ব্রেসিয়ার লাগে না ... তুমি সুস্তনী । তুমি সুউচ্চ । তুমি অজন্তা ইলোরার কাপুরুষ বাড়ানো ভীরু টেনশন ।
ওগো পঞ্চরাশির সুমেহা , তুমি আদরিনি , রাজপ্রাসাদের পৃথাডায়েরি  তুমি ...
আহা ! তুমি না থাকলে বেঁচে থাকাটি কত সহজ হত আমার । খাঁচা খুলে স্বেচ্ছায় উড়িয়ে দিতুম যন্ত্রণার টিয়াপাখি দুটি । তার বদলে নয়নলোভন দারজিলিং নিতুম পড়ে  । সূর্য উঠতো দু বেলাই । সকালের রঙ হত কমলা । বিকেলে ফুটো করে ফুটতো তিনকন্যা ... সূর্যের মুখ থেকে গড়াত লালা । শূন্যতার  লালা । সেই শুন্যের  কোনো পাহারাদার থাকতো না । এক এক করে দেবশিশুরা আসতো , বুকের মধ্যে ছুটে যেত অপু দুর্গা আর ওদের মা ... থান পড়া ফুল্কিরা উল্কির মত , সফেদসিংহের মত সস্নেহ , আমাকে ঘুমোতে দিত না কেউ ... একটা করে ব্রেসিয়ার ছুঁড়ে দিতুম আর মাইলের পর মাইল সেই আকন্দঘ্রাণের মেসবাড়ি  ... সবারি নাকি বয়েস বাড়ে , ব্রেসিয়ার পড়ুক অথবা না পড়ুক ...তবু সেই জিওজ্যামিতিক সাইজ ম ম পঁচিশে বৈশাখ ...  শরীরপাড়া ... রবিঠাকুরের বৃদ্ধতা পেরিয়ে কেবিনের জলসাগাড়ি ...
কোনো মায়াবলে আমাকে তুলে নাও শরীরে । প্রাণী বধ কোরোনা । পুরুষের মাংস আমি খাই না । মাছের পিউপা  , সমুদ্রের লার্ভা  , ফোঁটাচোখ , নুলিয়ার শ্লোক ... নানাবিধ লাভা , ধাতুস্রোত ... গহন হোক ... সিমেন্ট বালি আর কাঁকড় ... তিলে তিলে জমা হোক আর্কিমিডিসের সুরাপাত্র ...
সব পেয়েছির আসর মাতিয়ে শুধু রামকিঙ্কর জেগে থাকুন স্থাপত্যের গেরুয়ায় । হাত চলুক তাঁর । আঙ্গুল যেনো না কাঁপে খোদাইয়ের ভারে । একা-একার ঘণ্টা বাজুক ... সকালের ঘুমটি পড়তে বসুক ইস্কুলের খরগোস ... ধান জপ করুক অফিসের ভাত । চশমা-অন্ধ দেখুক কত পর ... কত আত্মীয় গোছানো এই নীতিকথার সংসার ... আর এইসবের মাঝখানে , সমস্ত ভ্রান্তিভুলের মাঝখানে কমলালেবুর পুঞ্জমুখ  ... ঘুমন্ত মানুষের ঠোঁটের কাছে সেই তুলতুলে অলীক ... ঘর্মাক্ত স্বপ্নে ... প্রশ্নতারকার মত নিজেকে বেঁকিয়ে , সিধে করে ... থোকা থোকা আপোষের গুটিচাদরে ...
এইমাত্র রামকিঙ্কর ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠলেন মা রঙের ব্রেসিয়ারে...
ছোট ছোট বোঁটার ভেতর ... শিশু-শিউলির অনিবার্য সেই তোরঙ্গ ... উনবিংশ শতাব্দীর ব্রোঞ্জধারা  ... বন্দিশের রোদম্যাপ ... যে জ্বর কিছুই চায়নি ... যে জ্বর আদুরে ভারি , তবু কিছুই বায়না করেনি কোনোদিন ... সেইসব বাঁটগুলি বোবা এখন ...
দুধের ছাঁট লেগে ভিজে-ভিজে আছে তবু ছেঁড়েনি ...


৫৩

আলোকবর্না এবং লেসবিয়ানিজম

আলোকবর্নাকে যখন প্রথম দেখি , তখন শীত যাই ... যাই ...  আলোকবর্না ... সে এক ফিশারম্যান কন্যা । জলের ন্যায় রূপসী । স্থলের ন্যায় স্থলপদ্ম । তার সাথে আমার প্রেম শুরু হল বিতর্কিত । আমাদের এই ভ্রমণ গোয়ার ... প্রচ্ছায়ায় নববিবাহের অনুভব । সে রঙ্গিণী । আর আমিও আহামরি কম নই ... আমাদের বেতসলতানো সৈকত ... টারজানের উপনগর ... হাল্কা হেলেনের শিকার জমানা ... হোঁচট খাই ... বেছে বেছে আধমরা হই ।। তবু কি আশ্চর্য ... পায়ের নখ থেকে চুল ... এনকাউন্টারের মত মাটিময় চেনাজানা হয়ে থাকি ... ভুলের সবুজ , আলোকবর্না ম্যাটিনি - কাফতান ... আমি অর্ধাঙ্গ , শিখর সীমন্ত ক্যাপরি ... একরের পর একর  রুদ্ধজাল ... আর বাদবাকিটা নাইটল্যাম্পের অবদান  ...
ঘিরে দাঁড়াই তাকে । দুপাশের আকাশকে ঠেলেঠুলে  মিসিসিপির সামনে এসে দাঁড়াই । ঢেউয়ের দুমদাম কোলাহল । দরজা খুলছে । ব্রেসিয়ার বাড়ছে । লক্ষণ ভালো নয় ... লক্ষণ ভালো নয় ... বড় হচ্ছে কোন্দল  । ফিনফিনে ত্বক । হিলহিলে তরমুজ ... গোল গলা ক্রোমোজোমের লম্বা বিড়ম্বনা । মাছপাহাড় থেকে নেমে এলো মাছধরা জাল । রূপোর বাগদা চাষি ... একবার ঝাঁপিয়ে পড়লে কে আর মীনজমিন ... কে কার খাড়িপথ ... ভাঁটার প্যানপ্যানানি ... যাত্রা অব্দি যার সীমানা ... দুর্মূল্য জমি কিনে নিই লিপকিসের নামে ... শ্রম দিই বর্গাচাষির মত ... সেও এক যন্ত্রণা ... যেন ম্যাজিকফিগারের ডেনিম  ...আসতে কাটে , যেতেও ফালাফালা ...  ছুরি মারি না বন্দুক চালাই ... উৎস খুঁজি না সার্কাসের উইন্ডচিটার ...বরং  আঞ্চলিক হাতবদল হয়ে যাই জি-নৃত্যের উন্মোচনে ...
আলোকবর্না কোনো জঙ্গলমহল নয় ... সে খাঁটি রিয়েলিজমের অলীক মানুষী ... আমি তার প্রহরীতে এখন বুঁদ হয়ে আছি ... যেন সুরক্ষিত মধুমেহ আর আমি তার দেড় মাত্রার ইন্সুলিনে আক্রান্ত আছি ...
সে আমাকে যৌনতায় সম্ভ্রান্ত করেছে  । আমি তাকে মত্ত জলঙ্গির কামিনীতে কামগ্রস্ত করেছি । আমি চুষেছি তার দেশভাগ । আমি তার রমণীয় ছলাকলা চাঁদসাদা ঘাট শিলা , ঝাড়খণ্ড ... কম্যুনিস্ট থিয়েটারের লালবই শুনেছি তার গর্জনে ...  আমি শুনেছি অধিকন্তু বিক্রম শেঠ  ... বদ্যিতে তর্জমা করেছি লালগড়ের নকশাল এস্টেট ... নিষিদ্ধ কার্তুজের মত আমি দুহাতে তার থাইগম্বুজ ছেনেছি । অশ্লীলতার দোষে সে আমাকে খোঁজে । খুঁজেছে । আমিও ক্লীব নই । নই আঁকাবাঁকা বোকাচোদা শুঁড়িপথ , গুঁড়িপথ ... আমি পথ নই কোনো  , আমি আলোকবর্নার চায়ের ইস্পাত  ... প্রকাশ্য কফিশিশির ... আমি চকোকুকিজের বেয়াব্রু গুঁড়ো ... সাড়া দিয়েছি তার হুইশিলের মুচকি-জাহাজে ...
সে আমার উইন্ডোজানালা ... রিয়ারভিউ প্রকাশ্য পেগকাহন । আমার ডান হাত সজারুর কাঁটা ...
  আমি ঘোর বাঁ-হাতি জঙ্গুলে চোরকাঁটা ... বহু পরিশ্রম আর নোনা কিউবিজমে তৈরি নোনতা সুপ্রিম  ... আমি হাতছানি দিই আর ভেঙ্গে ফেলি লবস্টারের দেওয়াল ...  আলোকবর্নার কি যে সব খেয়াল ... বারবার সে আমাকে কাঁকড়া করে ... কাড়া নাকাড়ার দুন্ধুভিতে আমাতে হাইডআউট করে  ... কুশল জিজ্জাসা করে আমার ... পরম তৃপ্তির ক্যান্সারে ঢেঁকুর তুলি ... নুডুল দোলানো নিঃশ্বাস ... শরীরী গ্যাং স্টার ...  বিশাল তার তেজ ... অর্ধউলঙ্গ সেই আমার একমাত্র ডেস্টিনির সাঁটার ... পায়ের শেকল থেকে সুসুম্নার সিম সিম ... ডান দিকের প্রিজম ... তাকিয়ে দেখছে বাঁ দিকের ক্লিভেজ  ... যেন সক্কাল-সক্কাল জেগে যাচ্ছে ঘুম ... সদর্পে সকালমোরগের হচ্ছে কণ্ঠ-অরগাজম ...
ফষ্টিনষ্টির তাঁবুর চাপে ... হেলে পড়ছে গৃহস্থী ট্যাব ...  ট্যাবু ... বাইফোকাল জনতার মায়োপিক জনার্দন ...
বাঁচাও আমাকে বাঁচাও ... কিছু একটা কর ... দোহাই তোমার ... কম সে কম একটা বুনো আলেকজান্ডার ... একশত পাউন্ডের কাঁপনটুকু আমাকে দাও ... ডিসিল্ভার সিলভার ব্রোকেড ... আমি চাই ডাবল ব্যারেল শটগান ... হিষ্টিরিয়ার পরম প্রয়াস ... পূর্বাভাসের বাথসাওয়ার ... আমি চাই- ই চাই ...
আমি হাত বাড়াই । আলোকবর্নার আরকু-আড়াল  ... বেলজিয়ামের দুধ এখন জুঁই ছুঁই-ছুঁই  ... হাঁটুজল বিঘতখানেক ভাইজ্যাগ ... জাগ্লারির অকস্মাৎ ছুঁয়ে আছি দুজনেই ... বিপন্নতা নেই ... সমাপ্তির ঘোড়সওয়ার নেই ... নেই নাইটমেয়ারের ধৃষ্টতা  ... আমাদের আবার কে স্বপ্ন দেখাবে ? স্বপ্ন মানেই গান ভাঙ্গা গাঙ্গুবাই হেঙ্গেলের ধ্রুপদী রেকর্ড ... ফসফরাসের স্নান ... এই তো পাখিজামুন ... কালো কেদারায় শুয়ে শুয়ে ফানেল পরিবর্তন ...  উইধরা কনডোম আমাদের নয় ... আমাদের যত্রতত্রই ডুবুরি ...
তোমাদের রহস্যনীল বার্থপিল আমাদের জন্যে নয় ... আমরা আমাদের এক এবং অদ্বিতীয় আই-পিল ...
...উজবুক নই , নই ভীত ... আলোকবর্না আর আমি শক্ত চোয়াল ......ঋজু লণ্ঠনের সুরম্যস্তন আমাদের ... পিউপায় কেলাসিত চুষিকাঠি ... সেও আমাদের ... ব্যাঙ্গমা ব্যাঙ্গমীর তক্ষককথা ... সব সব আমাদের ... আমরা কোথা থেকে ফিরি আর কোথায় যাই ... ফিসফিস আকারে বৃষ্টি নামে ... অনন্ত মেটিং-সিজন ...সেক্স ? চারখন্ডের সেই নারসিসাস ? ... কে লিখতে পারে ... কে লিখতে পারে সেই যাদুময় ম্যাডোনা আর অন্তরলকের সেতার ... যে লিখতে পারে সেই তো ভূমধ্য সাগরীয় ইন্দ্রজাল ... সেই হিতাকাঙ্ক্ষী কমিক্স একমাত্র তারই  ...
ঝুঁকে থাকি ... ঝুঁকে থাকি সেই অদ্ভুত রিংমাষ্টারের দিকে .. অদ্ভুত গজমোতির সেই লহমা ...  ঘনঘন অশ্বত্থ হই ... গাছ দিই ... কাতুকুতুর ডালপালা করি ... দুষ্টুমিবালকের অহঙ্কার ... আলোকবর্না ... মোহন বাঁশীপর্না ...
নাম নেই ... গোত্র নেই আমাদের ...
শুধু জানি ... জেন্ডারের বাতাস স্তব্ধ হয়ে গেলে ... সেই ঈশ্বরী শয়নছন্দটিও একমাত্র  আমাদের ...
যে কোনো যৌননৌকোর থেকে গ্রহণে আর প্রস্থে বড় ...


৫৪

আলোকবর্ণা এবং রত্নদীপা

তুমি আলোকবর্ণা 

পৃথিবীর সমস্ত বেলেডোনা তোমার ব্রেসিয়ারের মত নির্ভীক ... তোমার অই অন্তরবাসের ঝিম , সুদীর্ঘ নদীগর্ভ , লাগাতার ধর্মযুদ্ধ  ...

তারপর  ... তারপর ... আমি গায়ে মুখে মাখি সেই ক্রুসেডের নক্সা ... রূপান্তরিত হয়ে যাই ঘর বাড়ি ঐশ্বর্যের আকাশ । ভালো লাগে তোমার কাঁকড়া-কর্কট তাই তো তোমাকে বৃশ্চিক করি

ভালো লাগে আমার নিজস্ব অ-জ্যামিতিক পৌরুষ ... আমার গর্বিত বুদ্ধ-নারীত্ব ... আহা ! জনজোয়ার আসুক আমাদের ঘিরে ... রসুলগুল্মের এই পরিবেশ থেকে ...চলো মুক্ত করি নিজেদের ... আমি নারী । তুমি ও জ্যোতিষ্মান নারী এক ... রাতের তারাগ্রাফি তাক করে এসো ছুটি ... মধ্যবর্তি ভঙ্গিমা ...

আমাদের শরীরে তফাত তো নেই কোনো । বুক দুটি নদীদের জায়গায় বসানো । কুচকাওাজের মত সুদৃঢ় তোমার ক্লিভেজ । আমি বা কিসে কম ? আমারও প্রত্যন্ত গ্রাম , বাদশাহি ভিলেজ ... স্তনের উচ্ছ্বাস ... জল্পায়ু পাখিদের ভিড় ... দ্রাবিড় আর দ্রোণের যুদ্ধ-যুদ্ধ মিড় ... দাঁড় টানো , টান-টান করো কেরলমূর্তির টইটম্বুর ... বিবাহের স্বাদ নিই , আরও স্বাদু আর মশালাদার করি বারুদ শলাকা আর জল প্রপাতের কলসি ... পিছিয়ে থাকুক যুগ ... পিছে থাকুক জটায়ুর জল্পনা ...

আমরা কেউই কম না ... ঘন আর তীক্ষ্ণ ... প্রত্যাখানের মন্তাজ থেকে বেরনো দুটি শ্বাস ... গোপন চুম্বনে বেছে নিয়েছি চুমুসভ্যতার ডাক ...

তোমাকে সিঁড়ি ভাবি , তোমার ঠোঁটকে স্নান মনে করে আস্ত একটা মানুষের জীবন ...যাপন করি । ব্রত যেন কোনো , মন চরাচরির দারুদেশ ... এখানে ঝিরঝিরে সেক্সগাছ ... উদ্ভিদের ক্রোমোজোম মেশানো বৃক্ষ ... বাহারিয়া ফুল ... স্থিরবিন্দু ... বসলে সুন্দর ... দাঁড়ালে আরও সুন্দর ... আড়ালে ভালবাসা পেলে ততোধিক জিওগ্রাফিক ... মেরিলিন - সুন্দর ... আমি তোমার প্যানোরমায় চকিত হই ।। আর তুমি অসহ্য মনরো ... আমাকে পান করো হে জলজ হরিণী ...

আমি চাই তোমার অন্যতর কারুকাজ । তুমি কী চাও ? আমি যে তোমার প্রেমের শরীরে ভাসমান আছি , সমানে আছি তোমার শতস্পর্ধার জিয়নকাঠিতে ।। সহস্র রূপকথা ভিড় করে আসে স্ফটিক ছদ্মবেশে ... অলৌকিক ব্রামূর্তি ... কোথায় তাকে মেপেছি যেন , চেখেছি তার পালংসবুজ উষ্ণতা ... আমার তো লিঙ্গধার নেই ... তাই বলখেলার আকর্ষণও নেই ... তবু দৃপ্ত আমিও , তৃপ্ত হই বিশুদ্ধ বিস্ময় আর পুঁথিচিত্রের বিহঙ্গমে ...

সাধ হয় পাখি হতে । তুমিও পাখি হও আমার সাথে ... পালকের সাদাসিধে সংসার হোক আমাদের । প্রজাপতির হলুদ হার্টবিট সাজিয়ে রাখি পারিবারিক দেওয়ালে ... ফুলের গন্ধে আন্তরিক পিপাসাচড়াই ... তাও থাক ... আমরা লতাপাতানো দুটি মেয়ে ... প্রেমে গেঁথে আছি ... আমাদের পৃথিবীগুলি আগুনের মালসায় সেজে আছে ।

সে আগুন প্রণয়ের , মুগ্ধ ব্যাকরণের । গ্রামারে ভিজে ভিজে পিয়াসিত হয়ে আছে ...  যারা আমাদের বাঁধা দিয়েছিল তারাও এখন গাঢ় শেডের ভিবজিওর , মেনে নিতে শিখেছে কামুক বেতালের স্বরখেয়াল ... একতারার চাঁদস্নান ... দাবানল যেন শুরু , জেগেছে শরীরী কোপেনহেগেন ... ওয়াটারলিলির স্থলপদ্মে আভিসিক্ত করেছে আমাদের যৌথবন্দনা ...

ওগো আলোকবর্ণা ... তুমি স্বরবর্ণ অন্তহীন , ব্যাঞ্জনশিখার হোমসীতা ... আহীর ভৈরব , হার মানা হার ... পরাবো তোমার গলায় ... পীড়িত খরার দেশ থেকে এনে দেবো অর্গাজমের কাজলজিরাফ ... লম্বা লম্বা পায়ের নাচ ... বিন্দু বিন্দু ইমনে আমাদের বিনিময়গুলি ত্বরান্বিত হবে ...

মিশে মিশে যাবো মুখপদ্ম , ভ্রমণের সাদা নির্মাণ ... রস ডাকবে কুলকুল , আলগা হবে মালভূমির চুল ...

রোমকূপগুলি গাইবে ঝঙ্কার ...

চেতনা হারাবো আমরা  ... তোমার লাল আয়নারঙের টপস , আমার ভোরবেলা রঙের জিন্স ঢলে পড়বে একে অপরের গায় , গাঁয়ে গাঁয়ে রটবে বার্তা ... শহরে শহুরে পতঙ্গ চোখ নাচাবে , ভ্রু তুলে দেখবে আমাদের স্রোত ... বইবে ... বইবে মুখরোচক শ্রাবণের দ্রবণ ...

কিছুই আসে-যাবে না আমাদের ... কে জিভ বাড়ালো আর কে প্রথম নাভিতে ছোঁয়ালো নাভি ... এই প্রশ্ন নিয়ে আমাদের কোনো উত্তর দিতে হবে আর ... আমরা স্বচ্ছ পাঁজরের চাইতে নরম , কোমল ঝর্ণার চাইতে কঠিন ... আমাদের প্রথম চুমু ... কুরুক্ষেত্রের মত রঙিন ... তুমি নতুন বউ...  লাজুক আমার অস্থি...  আর আমি সফেনজাহাজিয়া বর ... তোমার সোনারতরী ...

কোরালের শব্দ।  প্রহর বিন্দাস । আমরা বাতাসিয়া সঙ্গমে পেকে উঠবো আর সুরমাফুলের বারান্দা আর বিলিরুবিনের করিডোর আর আমাদের আদরের দোরবিহীন জানালা  ... বাতাসার মিষ্টি বাতাস ... আমাদের আমরাই শরিক-
 মনে মনে কেমন-কেমন করবো ...

চলো আলোকবর্ণা ...

আজ তো কোনো তাড়া নেই ...

 জেলের বাইরের তিহারে বসে থাকি দুজনে । গল্প দারুণ হোক উরুবন্দী । সাথে খুচরো প্যান্টী ... উড়নচণ্ডীবাদ আমাদের থাক শুধু ...

 বরং কয়েনের সন্ত্রাসবাদ থেকে নেমে আসি ... অভিমানের সাইজ আর কাপ-ক্লোরোফিল নিয়ে মাথাব্যথা নেই আর ... স্বপ্নদোষের লাইটপোষ্ট কতখানি লম্বা , তাও আমরা জানি নে ...

শুধু জানি ... সাতলহরীর সেই সুন্দরীগ্লোব  ... মেহনের মাটি তার রাজকীয় বাতাস ... রূপোর গন্ধ প্রজাপতি ... পবিত্র অক্ষরেখাগুলি  ...

 সোনাঝুরির সনাবাথ ... আমরা দুই নারী । আমাদের দুই দ্রাঘিমা । একট মনোক্রোম শাওয়ার ... লিরিল ডার্কনেস ... লিটিল পাহাড় ...

পশ্চিম থেকে পুবের হর্সপাওয়ার ... সিমলেস পিয়ানো থেকে কর্ডলেস পাইন ...কোকেন থেকে কনডোম থেকে আই-পিল ... আমরা পার হয়ে এসেছি হাজার রুফটপ সানসাইন ... তারপর ... অজস্র ডেসডিমোনা আর ড্যাফোডিল ... তারপর ... আলোকবর্ণা আর রত্নদীপা ...

টপলেস চেক ইন । কেন্দ্রীয় ক্যালেন্ডার ।


৫৫

পুরুষদের নিয়ে কবিতা লিখতে ভয় করে খুব। সমস্ত স্মার্তনেস আমার নিমেষে উধাও।

মনে হয় , লেখা শুরু হলেই কবিতা থেকে উঠে দাঁড়াবে পুরুষ। তল্পিতপ্লা খুলবে নিজের। ঝোপঝাড় পাহাড়িবিছে ... আমাকে আঁচড়ে কামড়ে --- বীভৎস পশুটি চাপচাপ ঠেলবে আমায়। সামনে থেকে পেছন থেকে। উন্নয়নের এস্পার ওস্পার থেকে। আধুনিক শ্রীকৃষ্ণ আর পৌরাণিক শ্যামরায় থেকে ... তারপর ধীরে ধীরে নেতিয়ে ... দফা ৩৭৫-৩৭৬ হুল্লোড়ে। ফের লুকিয়ে যাবে পুরুষ কবিতার পুঁইমাচায় ...



সমাপ্ত