বৃহস্পতিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

অরুণিমা মন্ডল দাস



অরুণিমা মন্ডল দাস

অতীত

        শুকনো ঝুড়িতে লেগে থাকা সেই লাল দাগ
                  উনচল্লিশের গেঞ্জি জামা গার্ল ফ্রেন্ড গুলো কেমন যেন অচেনা
    গায়ের গন্ধ ও পরপর ভাপসা দমবন্ধ গুমোট
           অতীতের যে ভীষন রাগ
                  স্মৃতির বারান্দায় বারবার মাংসভাত কচুরী  খেতে আসে
                            সবশেষে কটা থাপ্পড় আর চোখে জল ভরিয়ে
    চাঁদের কাপড়ে গা ঢাকা দেয়---

 অতীতের কানগুলো অনেক লম্বা
   অনেক গভীর -- কষ্টের সিঁড়ি বেয়ে বারবার অতীতের ছাদে উঠতেই থাকি --যন্ত্রনায় মূর্ছা যাই--তবুও ভালো লাগে ওইটুকু কিশোরকুমারের বিরহের গান শুনে হালকা হতে--!



    


          অতীত
         
          তুলশীচারাটি আর কাঁদে না---
             পরব্রম্ভ জেনে গিয়েছে  সেই বাসর রাতেই
                বালিশ আছড়ে সাপ হওয়ার আগেই----
                       সাহসী সঁাকোগুলো ঘুরে বেড়াচ্ছে-- চারিদিকে
                       একঘেঁয়ে ভালোবাসা---
                আমের চাটনী কালো কালো কোলতারে মজা নিচ্ছে---
                    দুঃখ শুষে শরীর কামিনী ---পরকীয়া--

           বাতাস জেনে যাবে ----চুপ্----একদৃষ্টে তাকিয়ে রমণ শুনছে---  
 “দেখতে পাচ্ছো”   অতীতের ও কান, মুখ, টয়লেট, পর্টি আছে---
        সবাই বর্তমান ভেবে খুশি-- অতীত প্রতিটি বিছানার নীচে আজও নির্জনে লুকিয়ে ----- কফির কাপ পাহারা দিচ্ছে---
              চেয়ার ভালোভাবে রেখেই বসবে --নাহলে পড়ে যাবে--





        বিরহ---

         ১)  
   সারা গায়ে আদরের আতর দিতে দিতে হঠাৎ আমার হৃৎপিন্ড উপড়ে নিলে--
    আমি নির্বাক
    মাছ নিয়ে খেলতে খেলতে কাঠকোঠরার মতো শরীরে
 মনে ঠোকরাও--?
    মনের ঘায়ে
   ছিটকে পড়া জমাট রক্ত হাতে নিয়ে মাখতে থাকো?
     কষ্টের পরাগরেণুগুলো গুলি হয়ে তোমার দেহ ছিন্নভিন্ন করতে পারত
       প্রিয় সাদা আশ্বাসগুলো বিষে নীল হয়ে যেতে পারত
এক ঝটকা হাওয়ার টান বারবার ঝড় কে থামিয়ে দেয় ---মন  রোদের মরুভূমিতে পুড়ে মৌরালা ,পুঁটি মাছ ভাজা
অস্থিরতার পারদে পচা জমাট তুলো
       
   ২)
       বছরের পর বছর মুখ না দেখে মনের আলাপ
      দখিনা হাওয়ার নির্জন গুটিগুটি প্রেম
    পা থেকে মাথা অবধি প্রেমিকের হাতড়ানো
          দূরের বৃষ্টির ঝরে পড়াটা শেষ রাতের বোবা সঙ্গম  
     অদেখা প্রেমটা পরপর ঘাস হয়ে যাচ্ছে
           

৩)
     তোমার কবিতার মধ্যে থেকে উঠে আসা কামুক কামড় গুলো ক্যাটবেরী
          রশের কলশীতে ডুবিয়ে এক বোয়াল আছাড়
            শব্দগুলো ভাত খেতে বসেছে আর তুমি ?
           কঁাটা না মাছ?
        গলার ভিতর দিয়ে আদরগুলো বদহজম হয়ে স্মৃতিতে জাবর কাটে
         ফোন বন্ধ , রিংটোন উত্তেজিত এক পুরুষ--
 অতি প্রেমে নিস্তব্ধ ফিলিংসের চরম কামনা
     শরীর বোঝে --ফোন কি বোঝে ?

           ৪)
        ব্লক
    
         সাদা শার্টের লিপস্টিকে উজ্জ্বল স্টিকার
            ম্যাসাজের যৌনতা উরুর উপরে জল আনলে
                 নীল আকাশ কালো হয়ে যায়
          অবৈধ হাওয়ায় জড়িয়ে পড়ে আবহাওয়া দপ্তর
            মৌশুমী বায়ুর অবাধ বিচরন
                   একই বৃষ্টিতে বার বার ভিজলে ব্লকতো খেতেই হয়--