মঙ্গলবার, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

বিদিশা দাস




বিদিশা দাস

ভালোবাসা ****

এক আশ্চর্য গভীর নদী।
স্পর্শ করে থাকে,ধুয়ে দেয় হৃদয়ের ক্ষত।
অতল জলের উতলা টানে ভয়ভীতিহীন ভাবে হাঁটা যায় অনন্ত পথ ।
সে হাসায়, সে ভাসায় শাওনদিনের বানে;
সে সভ্যতা স্থাপনের সুখ,রোজনামচার অসুখ
অনুরাগে-অভিমানে ।
যদি পারো শুধু একবার ছুঁয়ে দেখো তাকে,
সে যে আদরের ওমে ধুলোবালি জীবনের সবটুকু সোনামুঠি করে রাখে,
ভালোবাসা সেই আশ্চর্য নদী !
স্নিগ্ধ শীতল কাজললতা জলথইথই,
নিমেষে সর্বনাশী ।।






ভালোবেসে ****

নিঃশেষ হতে হয়,
নতজানু হয়ে নিবেদন করতে হয় সম্পূর্ণটুকু।
যেমন হয়েছিল ব্রজগোপী কূল-শীল-মান-দেহ-গেহ ভুলে !
তবেই ভালোবাসা, ভালোবেসে এসে দাঁড়ায় পাশে।
কেউ কেউ জানে,
সেইসব সুরভিত কাহিনী আকাশের মত
আলো দেয়,ছায়া দেয় আর চুপিচুপি বলে ভালোবেসে শুধু ভালোবেসেই
নিঃস্ব হতে হয় ।।






ভালোবাসায় ***

বেঁধে রাখতে চাই।
ব্যস,আর কিছু জানিনা,
শুরু বা শেষ, ফুল বা ভুল কিছুই না।
একটা ছোট্ট ঘর, ফিকে নীল দেওয়াল
একটা জানালা,লতানো মানিপ্ল্যান্ট;
একটা দরজা, হোঁচট খাওয়া চৌকাঠ;
দুবেলা ডালভাত জীবন, মান-অভিমান;
দেখো এখানেই অপেক্ষায় আছি।
আজীবন শুধু ধরে রাখতে চাই।
একে অন্যায় আবদার বলে ভুল বুঝোনা,
আমি শুধু তোমাকেই ছুঁয়ে ছুঁয়ে থাকতে চাই,
ভালোবাসায় ভালো থাকতে চাই ।।






ভালোবাসি ****

জানো না বুঝি ?
যদি বলি এই চেনাশোনা শহর-অলিগলি,
পলাশ বসন্তবেলা,সূর্যমুখী দিন আর কৃষ্ণচূড়া রাত সবাই জানে ভালোবাসি ।
শুধু তুমিই বোঝোনা !
বলতেই পারো - অতশত বুঝিনা !
বুঝবার প্রয়োজন ও দেখিনা !
না বুঝে তুমি তো বেশ ভালো আছো।
এদিকে পুড়ে যায় ফুল,পোড়ে বকুল-শিমুল-বাউরি বেহায়া মন।
কাঁহাতক অপেক্ষায় থাকা যায় বলো ?
চোখের ভাষা কত কতবার বলতে চেয়েছে,
মনবরাবর হেঁটে এসে দেখতে ত পারো একবার !
আর কী করে বোঝাই বলো ?






ভালো বাসা ***

আশ্রয় খুঁজেছি কতকাল ধরে !
সবথেকে ভালো,সবটুকু আলো নিয়ে
একটা শান্তির ছাদ ধরে থাকবে জীবন,
ছুঁয়ে থাকবে পিপাসিত মন।
কত আতিপাতি করেও বুঝিনা সবথেকে ভালো আশ্রয় কে?
ভালোবাসা...
নাকি ভালো বাসা ?
আশ্রয় খুঁজেছি !
সবটুকু ভালো আর সবথেকে আলো,
ছায়া-মায়া-রঙ সব চেয়েছি।

সবথেকে পরম শান্তিই খুঁজেছি।।