মঙ্গলবার, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

শ্যামলী বন্দোপাধ্যায়



শ্যামলী বন্দোপাধ্যায়

“মধুমাসের পদাবলি”

যদি সইতে পারো

যদি সইতে পারো মধুমাসের বেলা

তবে তৈরি কোরো একটি স্রোতস্বিনী

তাতে বইয়ে দিয়ো গোলাপ গোলাপ খেলা

যদি সইতে পারো মধুমাসের বেলা

বৃন্ত-ডাঁটায় কাঁটার বনভূমি

তবু হর কোরকে একটি গোলাপ ফোটে

যদি সইতে পারো মধুমাসের বেলা

তবে তৈরি কোরো এমন স্রোতস্বিনী

               _______





স্বত্ব ছেড়েচি

দেখা যদি হয় বলে দেব তাকে এবার

নিয়ে যাক তোকে খেয়াঘরে কোনো ঘাটে

স্বত্ব ছেড়েচি, বসন্ত থাকেনা বেকার

দেখা যদি হয় বলে দেব তাকে এবার

অবারিত এই মধুবাতাসের ঘ্রাণে

করুক সে তোর কৌমার্যের হরণ

দেখা যদি হয় বলে দেব তাকে এবার

নিয়ে যাক তোকে খেয়াঘরে কোনো ঘাটে

                 _______



             
হত্যা করেছে কবুতর

সপাটে লাগায় হত্যার ইনজাম

বায়ুবন্দুকে ধরাশায়ী কবুতরী,

সাক্ষী মদন, বেকসুর সেই নাম!

সপাটে লাগায় হত্যার ইনজাম !

ওই হাতে বুঝি সৃষ্টি স্থিতি ও লয় -

একতরফায় বসন্ত বানভাসি.....

সপাটে লাগায় হত্যার ইনজাম

বায়ুবন্দুকে ধরাশায়ী কবুতরী!

              _____

          


অমৃ্তর  ঠিকানায়

দীর্ঘ সে এক চিঠি এসেছিল হাতে

খাকবসন্তে বেশ কিছু মাস পরে

নতুন জীবন নতুন গল্প তাতে

দীর্ঘ সে এক চিঠি এসেছিল হাতে

ইনল্যান্ডের সরু বর্ডারের ভাঁজ..

আখরেতে গাঁথা অমৃতা হলামনা তো

দীর্ঘ সে এক চিঠি এসেছিল হাতে

খাকবসন্তে বেশ কিছু মাস পরে

              ______



এই অভিমান

 কটা বসন্ত গেল হয়নি তো গোনা

সোঁদা হয়ে গেছে কথার সাতকাহন

পুরোনো হয়েছে প্রসবের যন্ত্রণা

কটা বসন্ত গেল হয়নি তো গোনা !

বিরক্ত কোরোনা, লেখার টেবিলে আছি

প্রাণীজ পাথর প্রবাল জমেছে বুকে

কটা বসন্ত গেল হয়নিকো গোনা

কলম ধরেচে কথার সাতকাহন..