শনিবার, ২১ মার্চ, ২০২০

রূপময় ভট্টাচার্য


রূপময় ভট্টাচার্য

পূর্বাশ্রম

যাওয়ার আগে সন্ন্যাসী তার গেরস্থ অতীতকে বললেন -' তুমি আজ থেকে মুক্ত। নিজেকে ভালোবাসার জন্য কারুর অনুমোদন দরকার নেই তোমার।' গৃহস্থ প্রণাম করলো । আর সামান্য গুরুদক্ষিণা হিসেবে হাতে তুলে দিলো ঘরণীর আয়না। কেউ জানলো না - সন্ন্যাসী নিঃশব্দে ঝুলিতে পূর্বাশ্রম লুকিয়ে মিলিয়ে গেলেন দিগন্তে।








লাস্ট স্টেজ

মৃত্যুর মতই সত্যি তুমি। কিছুটা বুঝি, কিছুটা মেনে নিই, কিছুটা ভয় পাই। আর বাকিটা ধূসর চিকিৎসা। জানি এ রোগের নিরাময় নেই। সান্ত্বনা আছে মাত্র। আর আছে, পুরনো কিছু দুর্বোধ্য প্রেসক্রিপশন। কাজ দেবেনা জেনেও রেখে দিয়েছি। এই আশায়, যদি কখনো কোনো ডাক্তার চোখ বুলিয়ে দেখতেন। তারপর গম্ভীর মুখে ভ্রু কুঁচকে চোখে না তাকিয়েই বলতেন -  'ভুল ওষুধ খেয়ে এসেছেন এতদিন।  আর একটু যদি আগে আসতেন আমার কাছে ' ...







নেমন্তন্ন

দুঃখ ,কাল তোমার বাড়ি যাবো। মুড়ি মেখে দিও। তেল লঙ্কা চানাচুর। পেঁয়াজের দাম বেশি। দিতে হবে না। তোমারও তো বাড়ন্ত সংসার। কতজনকে খাওয়াতে হয় রোজ।  দুঃখ, কাল সন্ধে সাড়ে ছয়টায় যাবোই যাবোই তোমার বাড়ি। ধুলোময় বিছানায় বসে আড্ডা হবে। হবে হারিয়ে যাওয়া বন্ধুদের কথা। যেচে নেমন্তন্ন নিলাম। আজ শুধু ডেকো না। অনেক জন্মের ঘুম আজ রাতে আমার বাড়ি আসবে বলেছিল।